আগের নিয়মেই হচ্ছে বৃত্তি পরীক্ষা

#
news image

পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা। ক্লাসের বাছাই করা ও আগ্রহী শিক্ষার্থীরা সুযোগ পাবে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার। গত বছর আওয়ামী  লীগ সরকার বৃত্তি পরীক্ষা না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলো।

অন্তর্র্বতী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ দায়িত্ব নেওয়ার পর বলেছিলেন একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই পরিবর্তন হবে, যাতে শিক্ষার্থীদের ওপর তা চাপ হয়ে না দাঁড়ায়। এমন প্রেক্ষাপটে একটি নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এতে বলা হয়েছে এখন যে পাঠ্যবইগুলো শিক্ষার্থীরা পড়ছে, এই বছর তাই পড়ে যাবে, তবে মূল্যায়ন হবে আগের মতো পরীক্ষার মাধ্যমে। ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে বই পরিবর্তন হবে।

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১’ বাতিল করেছে অন্তর্র্বতী সরকার। ২০১২ সালে প্রণীত সৃজনশীল পদ্ধতি বহাল করা হয়েছে। এতে গতানুগতিক ধারায় আগের মতো বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। ফলে আগের নিয়মে বৃত্তি পরীক্ষা হবে কি না, তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, আগামী শিক্ষাবর্ষে পুরোনো পদ্ধতিতে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রাথমিকের সমাপনীর (পঞ্চম শ্রেণি) আগে পৃথক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

দফায় দফায় পরীক্ষা নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ বাড়বে বলেই বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছিল। এখন তা আবার চালু করলে কোচিং ও গাইড ব্যবসা রমরমা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বলেন, এটা নতুন কিছু না। আগের নিয়মে আবার ফেরা হচ্ছে। পঞ্চম শ্রেণির সব শিক্ষার্থীকে বৃত্তি পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হবে না। যারা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আগ্রহী, কেবল তাদের পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হবে। এমনটিই ছিল একসময়। শিশুরা ছোটবেলা থেকে প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে বড় হতে শিখবে।

নাগরিক নিউজ ডেস্ক

১৫ নভেম্বর, ২০২৪,  11:55 PM

news image

পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা। ক্লাসের বাছাই করা ও আগ্রহী শিক্ষার্থীরা সুযোগ পাবে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার। গত বছর আওয়ামী  লীগ সরকার বৃত্তি পরীক্ষা না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলো।

অন্তর্র্বতী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ দায়িত্ব নেওয়ার পর বলেছিলেন একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই পরিবর্তন হবে, যাতে শিক্ষার্থীদের ওপর তা চাপ হয়ে না দাঁড়ায়। এমন প্রেক্ষাপটে একটি নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এতে বলা হয়েছে এখন যে পাঠ্যবইগুলো শিক্ষার্থীরা পড়ছে, এই বছর তাই পড়ে যাবে, তবে মূল্যায়ন হবে আগের মতো পরীক্ষার মাধ্যমে। ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে বই পরিবর্তন হবে।

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১’ বাতিল করেছে অন্তর্র্বতী সরকার। ২০১২ সালে প্রণীত সৃজনশীল পদ্ধতি বহাল করা হয়েছে। এতে গতানুগতিক ধারায় আগের মতো বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। ফলে আগের নিয়মে বৃত্তি পরীক্ষা হবে কি না, তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, আগামী শিক্ষাবর্ষে পুরোনো পদ্ধতিতে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রাথমিকের সমাপনীর (পঞ্চম শ্রেণি) আগে পৃথক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

দফায় দফায় পরীক্ষা নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ বাড়বে বলেই বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছিল। এখন তা আবার চালু করলে কোচিং ও গাইড ব্যবসা রমরমা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বলেন, এটা নতুন কিছু না। আগের নিয়মে আবার ফেরা হচ্ছে। পঞ্চম শ্রেণির সব শিক্ষার্থীকে বৃত্তি পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হবে না। যারা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আগ্রহী, কেবল তাদের পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হবে। এমনটিই ছিল একসময়। শিশুরা ছোটবেলা থেকে প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে বড় হতে শিখবে।