আশাশুনিতে গুলিতে নিহত ৩ শহীদের অভিভাবকদের সংবাদ সম্মেলন

#
news image

গত ৫ আগষ্ট আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরে সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ও তার সহযোগিদের ছোড়া গুলিতে শহীদ হওয়া ৩ যুবকের অভিভাবকরা হত্যাকান্ড নিয়ে তাদের অজ্ঞাতে উদ্দেশ্য মূলক মামলা দায়ের ও অর্থ বাণিজ্যসহ নানা ষড়যন্ত্রের প্রতিকার প্রার্থনা করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বুধবার বিকালে আশাশুনি প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। 

শহীদ আবুল বাশার আদমের পিতা নূর হাকিম সকল অভিভাবকদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ৫ আগষ্ট বিজয় মিছিল সাবেক চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেনের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় সাবেক চেয়ারম্যান ও তার বাড়িতে থাকা অন্যান্য অস্ত্রধারীদের ছোড়া গুলিতে কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের হাফেজ আনাছ বিল্লাহ, কল্যানপুর গ্রামের আবুল বাশার আদম ও হিজলিয়া গ্রামের আলম শহীদ হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে ৯ জন আহত হয়। যার মধ্যে একজনের পা কেটে ফেলতে হয়েছে। এব্যাপারে আমরা থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে মামলা দায়ের করি।

মামলা নং-। কিন্তু পরবর্তীতে ৩য় পক্ষ কল্যানপুর গ্রামের মিনহাজ গাজীর ছেলে আঃ মজিদ বাদী হয়ে আমাদের অজ্ঞাতে বিজ্ঞ আদারতে পৃথক মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে প্রতাপনগর গ্রামের আলহাজ্ব খলিলুর রহমানের ছেলে মোস্তফা হেলালুজ্জামান বাদী হয়ে আমাদের অজ্ঞাতে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেন। নূর হাকিম আরো বলেন, আমরা শহীদ সন্তানদের পিতা, আমরা থানায় মামলা করেছি।

আমরা কাউকে আদালতে মামলা করতে বলিনি। আমরা পরবর্তীতে জানতে পেরেছি হত্যাকান্ডের সময় সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়িতে ৩০/৩৫ জন লোক স্বশস্ত্র অবস্থায় ছিল ও মিছিলে গুলি ছুড়েছিল। জনরোষে নিহত ৬ জন বাদে সবাই অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে পালিয়ে যাওয়া অস্ত্রধারীরা তাদের কাছে থাকা অস্ত্র গোপনে গোপনে ব্যবহার করছে। তারা রাতের বেলায় বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে এবং চাঁদাবাজী ও প্রতারনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানতে পেরেছি। আমরা আরও জেনেছি তৎকালীন ওসি বিশ্বজিৎ কুমার নিহস চেয়ারম্যানের ভাই আজুয়ারকে থানায় ডাকিয়ে নিয়ে পৃথক একটি মামলা রুজু করিয়েছিলেন। 

নূর হাকিম আরও বলেন, আমরা শহীদদের পিতা-অভিভাবক। আমরা যথানিয়মে মামলা করেছি। আমাদের মামলা নষ্ট করতে আমাদের সন্তানদের হত্যাকান্ডের ঘটনা নিয়ে ৩য় পক্ষের মামলা কতটুকু যুক্তিযুক্ত ভাবতে হতবাক হচ্ছি। এখন বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে প্রতারনা করে বিশেষ একটি পক্ষ অর্থ বাণিজ্য করে চলেছে। এমনকি তারা মামলার বাদী বলেও পরিচয় দিচ্ছে।

এব্যাপারে সকলকে সচেতন থাকতে, মিথ্যা প্রচারনার ফাঁদে না পড়তে এবং আইন আদালত ও প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে জোর দাবী জানানো হয়েছে।

নাগরিক নিউজ ডেস্ক

১৩ নভেম্বর, ২০২৪,  11:56 PM

news image

গত ৫ আগষ্ট আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরে সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ও তার সহযোগিদের ছোড়া গুলিতে শহীদ হওয়া ৩ যুবকের অভিভাবকরা হত্যাকান্ড নিয়ে তাদের অজ্ঞাতে উদ্দেশ্য মূলক মামলা দায়ের ও অর্থ বাণিজ্যসহ নানা ষড়যন্ত্রের প্রতিকার প্রার্থনা করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বুধবার বিকালে আশাশুনি প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। 

শহীদ আবুল বাশার আদমের পিতা নূর হাকিম সকল অভিভাবকদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ৫ আগষ্ট বিজয় মিছিল সাবেক চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেনের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় সাবেক চেয়ারম্যান ও তার বাড়িতে থাকা অন্যান্য অস্ত্রধারীদের ছোড়া গুলিতে কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের হাফেজ আনাছ বিল্লাহ, কল্যানপুর গ্রামের আবুল বাশার আদম ও হিজলিয়া গ্রামের আলম শহীদ হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে ৯ জন আহত হয়। যার মধ্যে একজনের পা কেটে ফেলতে হয়েছে। এব্যাপারে আমরা থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে মামলা দায়ের করি।

মামলা নং-। কিন্তু পরবর্তীতে ৩য় পক্ষ কল্যানপুর গ্রামের মিনহাজ গাজীর ছেলে আঃ মজিদ বাদী হয়ে আমাদের অজ্ঞাতে বিজ্ঞ আদারতে পৃথক মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে প্রতাপনগর গ্রামের আলহাজ্ব খলিলুর রহমানের ছেলে মোস্তফা হেলালুজ্জামান বাদী হয়ে আমাদের অজ্ঞাতে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেন। নূর হাকিম আরো বলেন, আমরা শহীদ সন্তানদের পিতা, আমরা থানায় মামলা করেছি।

আমরা কাউকে আদালতে মামলা করতে বলিনি। আমরা পরবর্তীতে জানতে পেরেছি হত্যাকান্ডের সময় সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়িতে ৩০/৩৫ জন লোক স্বশস্ত্র অবস্থায় ছিল ও মিছিলে গুলি ছুড়েছিল। জনরোষে নিহত ৬ জন বাদে সবাই অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে পালিয়ে যাওয়া অস্ত্রধারীরা তাদের কাছে থাকা অস্ত্র গোপনে গোপনে ব্যবহার করছে। তারা রাতের বেলায় বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে এবং চাঁদাবাজী ও প্রতারনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানতে পেরেছি। আমরা আরও জেনেছি তৎকালীন ওসি বিশ্বজিৎ কুমার নিহস চেয়ারম্যানের ভাই আজুয়ারকে থানায় ডাকিয়ে নিয়ে পৃথক একটি মামলা রুজু করিয়েছিলেন। 

নূর হাকিম আরও বলেন, আমরা শহীদদের পিতা-অভিভাবক। আমরা যথানিয়মে মামলা করেছি। আমাদের মামলা নষ্ট করতে আমাদের সন্তানদের হত্যাকান্ডের ঘটনা নিয়ে ৩য় পক্ষের মামলা কতটুকু যুক্তিযুক্ত ভাবতে হতবাক হচ্ছি। এখন বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে প্রতারনা করে বিশেষ একটি পক্ষ অর্থ বাণিজ্য করে চলেছে। এমনকি তারা মামলার বাদী বলেও পরিচয় দিচ্ছে।

এব্যাপারে সকলকে সচেতন থাকতে, মিথ্যা প্রচারনার ফাঁদে না পড়তে এবং আইন আদালত ও প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে জোর দাবী জানানো হয়েছে।