বোয়ালখালীতে সড়কের ওপর হাট বাজার ঝুঁকিতে যাত্রী পথচারী 

#
news image

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা চৌমুহনীতে সড়কেই বসে বাজার। সপ্তাহের দুইদিন রবিবার ও বুধবার আরকান সড়ক জুড়ে বসা বাজারের কারণে সৃষ্টি হয় যানজটের। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাতায়াতকারীদের। ঝুঁকি নিয়ে চলে বেচাকেনা। জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় বসা বাজারটি ইজারা দেয় বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদ। তবে বাজারের নির্দিষ্ট জায়গার কোনো হদিস নেই। ফলে শেড নির্মাণ করে দিতে পারছে না উপজেলা পরিষদ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিমাদ্রি খীসা বলেন, বাজারটির নির্ধারিত জায়গা রয়েছে বলে জানি। সে জায়গাটি শনাক্ত করা গেলে সেখানেই শেড নির্মাণ করে দেওয়া হবে। নির্ধারিত জায়গাটি কোথায় তা বের করা হবে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গায় বর্তমানে বাজারটি বসছে। নিয়ম অনুযায়ী সড়ক ও মহাসড়কে আশপাশের জায়গা খালি রাখতে হয়।

এতে কোনো ধরণের স্থাপনা নির্মাণের সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, একটি স্বার্থন্বেষী মহল সড়কে বাজার বসিয়ে ফায়দা লুটছে। এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনা করা হবে। সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে, রায়খালী ব্রিজ থেকে শাকপুরা কলেজ পর্যন্ত বিক্রেতারা আরকান সড়কের দুইপাশে পণ্যের পসরা নিয়ে বসেন। ক্রেতারা সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে পণ্য কেনেন। ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় থাকে দুপুর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। এ সময় সড়কে সারি সারি গাড়ি জটলা বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকে। এছাড়া গাড়ির ধাক্কায় ও চাপা পড়ে দূর্ঘটনার শিকার হন পথচারীরা। স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা থেকে সড়কের দুইপাশে টানা থাকে বৈদ্যুতিক তার। বিক্রেতারা এই তার থেকে জ্বালান লাইট। এই তারের সংস্পর্শে গত বছর দুই মাছ বিক্রেতা নিহত হয়েছিলেন। আহতও হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

বাজারে সবজি ও মাছ কিনতে আসা জামসেদ  বলেন, উপজেলার অন্যান্য বাজারের তুলনায় শাকপুরা চৌমুহনী বাজারে কিছুটা সস্তায় পণ্য পাওয়া যায়। সেই কারণে এই বাজারে আসা। তবে সড়কে যানবাহনের সাথে পাল্লা দিয়ে দাঁড়িয়ে বাজার করাটা অস্বস্তিকর। নির্ধারিত শেড নেই, বাজার ব্যবস্থাপনাও খুবই বাজে। সবজি বিক্রেতা  শাহ আলম  জানান, তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ এ বাজারে সবজি বিক্রি করতে আসেন তিনি। সড়কের সাথে লাগিয়ে বাঁশ ও পলিথিন দিয়ে অস্থায়ী শেড বানিয়ে তারা সবজি বিক্রি করেন। গত বছরের কয়েকটি দূর্ঘটনা এখনো তার মনে গেঁথে আছে। তিনিও নিরাপদে বসতে চান এই বাজারে। এজন্য প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

শাকপুরা ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক মেম্বার সেলিম  বলেন, সড়কের ওপর বাজার বসার কারণে যানজটসহ চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। বাজারটির জন্য নির্ধারিত জায়গার প্রয়োজন রয়েছে। শাকপুরা কলেজের সামনে বাজারের নির্ধারিত জায়গা রয়েছে। যা ইউএনও এবং এসিল্যান্ড জানেন। ওই জায়গায় বাজারের জন্য শেড করা হলে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

এম মনির চৌধুরী রানা, চট্টগ্রাম

১০ নভেম্বর, ২০২৪,  4:50 PM

news image

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা চৌমুহনীতে সড়কেই বসে বাজার। সপ্তাহের দুইদিন রবিবার ও বুধবার আরকান সড়ক জুড়ে বসা বাজারের কারণে সৃষ্টি হয় যানজটের। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাতায়াতকারীদের। ঝুঁকি নিয়ে চলে বেচাকেনা। জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় বসা বাজারটি ইজারা দেয় বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদ। তবে বাজারের নির্দিষ্ট জায়গার কোনো হদিস নেই। ফলে শেড নির্মাণ করে দিতে পারছে না উপজেলা পরিষদ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিমাদ্রি খীসা বলেন, বাজারটির নির্ধারিত জায়গা রয়েছে বলে জানি। সে জায়গাটি শনাক্ত করা গেলে সেখানেই শেড নির্মাণ করে দেওয়া হবে। নির্ধারিত জায়গাটি কোথায় তা বের করা হবে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গায় বর্তমানে বাজারটি বসছে। নিয়ম অনুযায়ী সড়ক ও মহাসড়কে আশপাশের জায়গা খালি রাখতে হয়।

এতে কোনো ধরণের স্থাপনা নির্মাণের সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, একটি স্বার্থন্বেষী মহল সড়কে বাজার বসিয়ে ফায়দা লুটছে। এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনা করা হবে। সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে, রায়খালী ব্রিজ থেকে শাকপুরা কলেজ পর্যন্ত বিক্রেতারা আরকান সড়কের দুইপাশে পণ্যের পসরা নিয়ে বসেন। ক্রেতারা সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে পণ্য কেনেন। ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় থাকে দুপুর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। এ সময় সড়কে সারি সারি গাড়ি জটলা বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকে। এছাড়া গাড়ির ধাক্কায় ও চাপা পড়ে দূর্ঘটনার শিকার হন পথচারীরা। স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা থেকে সড়কের দুইপাশে টানা থাকে বৈদ্যুতিক তার। বিক্রেতারা এই তার থেকে জ্বালান লাইট। এই তারের সংস্পর্শে গত বছর দুই মাছ বিক্রেতা নিহত হয়েছিলেন। আহতও হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

বাজারে সবজি ও মাছ কিনতে আসা জামসেদ  বলেন, উপজেলার অন্যান্য বাজারের তুলনায় শাকপুরা চৌমুহনী বাজারে কিছুটা সস্তায় পণ্য পাওয়া যায়। সেই কারণে এই বাজারে আসা। তবে সড়কে যানবাহনের সাথে পাল্লা দিয়ে দাঁড়িয়ে বাজার করাটা অস্বস্তিকর। নির্ধারিত শেড নেই, বাজার ব্যবস্থাপনাও খুবই বাজে। সবজি বিক্রেতা  শাহ আলম  জানান, তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ এ বাজারে সবজি বিক্রি করতে আসেন তিনি। সড়কের সাথে লাগিয়ে বাঁশ ও পলিথিন দিয়ে অস্থায়ী শেড বানিয়ে তারা সবজি বিক্রি করেন। গত বছরের কয়েকটি দূর্ঘটনা এখনো তার মনে গেঁথে আছে। তিনিও নিরাপদে বসতে চান এই বাজারে। এজন্য প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

শাকপুরা ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক মেম্বার সেলিম  বলেন, সড়কের ওপর বাজার বসার কারণে যানজটসহ চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। বাজারটির জন্য নির্ধারিত জায়গার প্রয়োজন রয়েছে। শাকপুরা কলেজের সামনে বাজারের নির্ধারিত জায়গা রয়েছে। যা ইউএনও এবং এসিল্যান্ড জানেন। ওই জায়গায় বাজারের জন্য শেড করা হলে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।