রূপগঞ্জে অর্থের বিনিময়ে এসএসসি নির্বাচনী পরিক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ
মনজুর এলাহী, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ
০৬ নভেম্বর, ২০২৪, 9:41 AM
রূপগঞ্জে অর্থের বিনিময়ে এসএসসি নির্বাচনী পরিক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা স্কুল এন্ড কলেজে অর্থের বিনিময়ে এসএসসি ২০২৫ এর নির্বাচনী পরিক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ৩ নভেম্বর রবিবার এ ঘটনা ঘটে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের খবরে নোটিশের মাধ্যমে পরিক্ষাটি বাতিল করেছে স্কুল এন্ড কলেজের কর্তৃপক্ষ। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভুলতা স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুরাইয়া পারভীন। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ভুলতা স্কুল এন্ড কলেজে ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ অক্টোবর এসএসসি ২০২৫ এর দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরিক্ষা শুরু হয়। গত রবিবারে গণিত পরিক্ষা শুরু হয়। পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের আল রাব্বির কাছ থেকে চার পৃষ্ঠা লিখিত একটি নকল খাতা উদ্ধার করে পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক দায়িত্বরত শিক্ষক মিরাজ। ওই লিখিত নকল খাতার সঙ্গে প্রশ্নপত্র হুবহু মিলে যাওয়ায় ওই গণিত পরিক্ষা সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ভুলতা স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ২৪ অক্টোবর আমাদের নির্বাচনী পরিক্ষা শুরু হয়। গত রবিবার গণিত পরিক্ষা চলাকালীন সময় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আমাদের পরিক্ষা বাতিল করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। আমরা এ স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর থেকে বিগত দিনে এ ভুলতাস্কুল এন্ড কলেজে কোনো দিন কোনো পরিক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। আমরা চাই এ প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে খুজে বের করে তাদের শাস্তি দেওয়া হোক। আর যাতে ভবিষ্যতে কোনো পরিক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস না হয়।
এ ব্যাপারে ভুলতা স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুরাইয়া পারভীন বলেন, চলতি দশম শ্রেণির নির্বাচনী গণিত পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে নকল উদ্ধার করা হয়। সেই নকলের সঙ্গে প্রশ্নপত্রের হুবহু মিলে যাওয়ায় আমরা স্কুলের অন্যন্য শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে গণিত পরিক্ষাটি বাতিল করেছি এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ইসমাইল হোসেন বলেন- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজেরা প্রশ্নপত্র তৈরি না করে অন্যত্র থেকে প্রশ্নপত্র কিনে নিজেদের নামে ছাপানোর কারণে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটে। আমি রূপগঞ্জ উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বলবো তারা যেন নিজেরাই প্রশ্নপত্র তৈরি করে। তাহলে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনা না ঘটতে পারে।
এদিকে ভুলতা স্কুল এন্ড কলেজের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনাটি তদন্ত করে যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদেরকে খুজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
মনজুর এলাহী, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ
০৬ নভেম্বর, ২০২৪, 9:41 AM
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা স্কুল এন্ড কলেজে অর্থের বিনিময়ে এসএসসি ২০২৫ এর নির্বাচনী পরিক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ৩ নভেম্বর রবিবার এ ঘটনা ঘটে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের খবরে নোটিশের মাধ্যমে পরিক্ষাটি বাতিল করেছে স্কুল এন্ড কলেজের কর্তৃপক্ষ। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভুলতা স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুরাইয়া পারভীন। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ভুলতা স্কুল এন্ড কলেজে ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ অক্টোবর এসএসসি ২০২৫ এর দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরিক্ষা শুরু হয়। গত রবিবারে গণিত পরিক্ষা শুরু হয়। পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের আল রাব্বির কাছ থেকে চার পৃষ্ঠা লিখিত একটি নকল খাতা উদ্ধার করে পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক দায়িত্বরত শিক্ষক মিরাজ। ওই লিখিত নকল খাতার সঙ্গে প্রশ্নপত্র হুবহু মিলে যাওয়ায় ওই গণিত পরিক্ষা সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ভুলতা স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ২৪ অক্টোবর আমাদের নির্বাচনী পরিক্ষা শুরু হয়। গত রবিবার গণিত পরিক্ষা চলাকালীন সময় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আমাদের পরিক্ষা বাতিল করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। আমরা এ স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর থেকে বিগত দিনে এ ভুলতাস্কুল এন্ড কলেজে কোনো দিন কোনো পরিক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। আমরা চাই এ প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে খুজে বের করে তাদের শাস্তি দেওয়া হোক। আর যাতে ভবিষ্যতে কোনো পরিক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস না হয়।
এ ব্যাপারে ভুলতা স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুরাইয়া পারভীন বলেন, চলতি দশম শ্রেণির নির্বাচনী গণিত পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে নকল উদ্ধার করা হয়। সেই নকলের সঙ্গে প্রশ্নপত্রের হুবহু মিলে যাওয়ায় আমরা স্কুলের অন্যন্য শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে গণিত পরিক্ষাটি বাতিল করেছি এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ইসমাইল হোসেন বলেন- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজেরা প্রশ্নপত্র তৈরি না করে অন্যত্র থেকে প্রশ্নপত্র কিনে নিজেদের নামে ছাপানোর কারণে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটে। আমি রূপগঞ্জ উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বলবো তারা যেন নিজেরাই প্রশ্নপত্র তৈরি করে। তাহলে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনা না ঘটতে পারে।
এদিকে ভুলতা স্কুল এন্ড কলেজের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনাটি তদন্ত করে যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদেরকে খুজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।