দীর্ঘ ১৬ বছর পর প্রাণ ফিরেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মাঝে

#
news image

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দীর্ঘ ১৬ বছর পর প্রাণ ফিরেছে বিএনপি দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্বস্থি ফিরেছে তাদের মাঝে। প্রায় দেড়যুগ ধরে তাদের নামে মামলা ও হামলার শিকার হয়ে মত প্রকাশে ছিল বাঁধা। ছাত্র-জনতার গলঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে সারা দেশের ন্যায় দৌলতপুরের বিএনপি নেতা-কর্মীরা আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে। একে অপরকে করে মিষ্টিমুখ। দৌলতপুরের ১৪ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের শত সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী আনন্দ শোভাযাত্রা করে দৌলতপুর বিএনপি’র সভাপতি সাবেক এমপি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লার তারাগুনিয়ার বাসভবনের সামনে জড়ো হয়। বাঁধাহীন মুক্ত স্বাধীন চলাচলে সব পথ মিশে তারাগুনিয়ায় এসে। জনতার জননেতা রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা ভাসেন জন তের ভেলায়। মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় ও ফুলে ফুলে সিক্ত হোন তিনি। তবে তিনি আইন শৃঙ্খলার অবনতি না ঘটাতে কঠোর হুসিয়ারি দিয়ে প্রতিহিংসা পরায়ন না হয়ে ক্রোধ সংবরণ করে সকল নেতা-কর্মীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমান এর অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া নির্দেশানা মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারেক রহমান এর নির্দেশ মতোই দলকে চলতে হবে। তার নির্দেশনা হলো দেশে কোন আইনশৃঙ্খলার অবনতি করা যাবে না এবং কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। কারণ বিএনপি সাধারণ মানুষের দল। দেশের ক্ষতি হবে এমন হিংসাত্মক কাজ করতে তিনি নিষেধ করেছেন। সুতরাং দেশনায়ক তারেক রহমানের সিদ্ধান্তই দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেন তিনি। নেতার নির্দেশ মেনে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যান মাঠ পর্যায়ের সাধারণ নেতা-কর্মীরা। এরপর থেকে দৌলতপুর বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক এমপি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা গণ সংযোগ ও মত বিনিময় সভায় ব্যস্ত সময় পার করতে থাকেন।

প্রতিদিনই তিনি বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি দলীয় আঞ্চলিক অফিস উদ্বোধনসহ দলীয় নানা কর্মসূচীতে অংশ নিচ্ছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য দৌলতপুর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাঁর পক্ষে নির্বাচনের মাঠে কাজও শুরু করেছেন। তারাগনিয়া ফুটবল মাঠে বিশাল শান্তি সমাবেশ করে দৌলতপুর বিএনপি’র কান্ডারী ও আপসহীন নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিতও করেছেন। তারাগুনিয়া থানামোড়ে দৌলতপুর বিএনপি দলীয় কার্যালয় উদ্ধোধন করে সেখানে তিনি নিয়মিত বসছেন এবং দৌলতপুরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় ও তাদের সমস্যার কথা শুনে তা দ্রুত সমাধান করেছন।  হাসিনা সরকারের একদলীয় শাসনে অবরুদ্ধ থাকা দৌলতপুর বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা দীর্ঘ ১৬ বছর পর হাসিনা সরকারের পতন হলে তাদের মাঝে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরেছে। সেইসাথে মুক্ত ও স্বাধীন হয়ে দলীয় কর্মকান্ড নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তারা।

গতকাল শনিবার বিকেলে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক স্বাক্ষাতকারে দৌলতপুর বিএনপি’র সভাপতি ও বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা বলেন, গত ৫ আগষ্টের পূর্বে সারা বায়লাদেশে যেমন অনাচার অত্যাচার বিগত সরকার করেছে, আমার থানাতেও তেমন ঘটনা ঘটেছে। তারা আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের নামে ৩৯টি মামলা দিয়েছে সেসব মামলার ১৬০০ আসামি। এসব মামলায় আমি নিজেও জেল খেটেছি, আমার দলের নেতা-কর্মীরাও জেল খেটেছে। আমাদের নেতা-কর্মীদের জমি জমা ও হাটবাজার জোর করে দখল করে নিয়েছে। তারা হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে থানা মামলাও নেয়নি। করেছে চঁদাবাজি। ৫ আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানের পর দৌলতপুরে যাতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি না ঘটে, আমাদের নেতা-কর্মীরা না ঘটায় তা শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমার দলের লোকসহ যারা আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাবে তাদের নামে মামলা দিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করারও নিদের্শনা দেন তিনি। এসময় বিএনপি দলীয় স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মোঃ জিয়াউর রহমান, কুষ্টিয়া

০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪,  4:27 PM

news image

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দীর্ঘ ১৬ বছর পর প্রাণ ফিরেছে বিএনপি দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্বস্থি ফিরেছে তাদের মাঝে। প্রায় দেড়যুগ ধরে তাদের নামে মামলা ও হামলার শিকার হয়ে মত প্রকাশে ছিল বাঁধা। ছাত্র-জনতার গলঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে সারা দেশের ন্যায় দৌলতপুরের বিএনপি নেতা-কর্মীরা আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে। একে অপরকে করে মিষ্টিমুখ। দৌলতপুরের ১৪ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের শত সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী আনন্দ শোভাযাত্রা করে দৌলতপুর বিএনপি’র সভাপতি সাবেক এমপি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লার তারাগুনিয়ার বাসভবনের সামনে জড়ো হয়। বাঁধাহীন মুক্ত স্বাধীন চলাচলে সব পথ মিশে তারাগুনিয়ায় এসে। জনতার জননেতা রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা ভাসেন জন তের ভেলায়। মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় ও ফুলে ফুলে সিক্ত হোন তিনি। তবে তিনি আইন শৃঙ্খলার অবনতি না ঘটাতে কঠোর হুসিয়ারি দিয়ে প্রতিহিংসা পরায়ন না হয়ে ক্রোধ সংবরণ করে সকল নেতা-কর্মীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমান এর অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া নির্দেশানা মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারেক রহমান এর নির্দেশ মতোই দলকে চলতে হবে। তার নির্দেশনা হলো দেশে কোন আইনশৃঙ্খলার অবনতি করা যাবে না এবং কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। কারণ বিএনপি সাধারণ মানুষের দল। দেশের ক্ষতি হবে এমন হিংসাত্মক কাজ করতে তিনি নিষেধ করেছেন। সুতরাং দেশনায়ক তারেক রহমানের সিদ্ধান্তই দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেন তিনি। নেতার নির্দেশ মেনে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যান মাঠ পর্যায়ের সাধারণ নেতা-কর্মীরা। এরপর থেকে দৌলতপুর বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক এমপি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা গণ সংযোগ ও মত বিনিময় সভায় ব্যস্ত সময় পার করতে থাকেন।

প্রতিদিনই তিনি বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি দলীয় আঞ্চলিক অফিস উদ্বোধনসহ দলীয় নানা কর্মসূচীতে অংশ নিচ্ছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য দৌলতপুর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাঁর পক্ষে নির্বাচনের মাঠে কাজও শুরু করেছেন। তারাগনিয়া ফুটবল মাঠে বিশাল শান্তি সমাবেশ করে দৌলতপুর বিএনপি’র কান্ডারী ও আপসহীন নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিতও করেছেন। তারাগুনিয়া থানামোড়ে দৌলতপুর বিএনপি দলীয় কার্যালয় উদ্ধোধন করে সেখানে তিনি নিয়মিত বসছেন এবং দৌলতপুরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় ও তাদের সমস্যার কথা শুনে তা দ্রুত সমাধান করেছন।  হাসিনা সরকারের একদলীয় শাসনে অবরুদ্ধ থাকা দৌলতপুর বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা দীর্ঘ ১৬ বছর পর হাসিনা সরকারের পতন হলে তাদের মাঝে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরেছে। সেইসাথে মুক্ত ও স্বাধীন হয়ে দলীয় কর্মকান্ড নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তারা।

গতকাল শনিবার বিকেলে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক স্বাক্ষাতকারে দৌলতপুর বিএনপি’র সভাপতি ও বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা বলেন, গত ৫ আগষ্টের পূর্বে সারা বায়লাদেশে যেমন অনাচার অত্যাচার বিগত সরকার করেছে, আমার থানাতেও তেমন ঘটনা ঘটেছে। তারা আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের নামে ৩৯টি মামলা দিয়েছে সেসব মামলার ১৬০০ আসামি। এসব মামলায় আমি নিজেও জেল খেটেছি, আমার দলের নেতা-কর্মীরাও জেল খেটেছে। আমাদের নেতা-কর্মীদের জমি জমা ও হাটবাজার জোর করে দখল করে নিয়েছে। তারা হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে থানা মামলাও নেয়নি। করেছে চঁদাবাজি। ৫ আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানের পর দৌলতপুরে যাতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি না ঘটে, আমাদের নেতা-কর্মীরা না ঘটায় তা শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমার দলের লোকসহ যারা আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাবে তাদের নামে মামলা দিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করারও নিদের্শনা দেন তিনি। এসময় বিএনপি দলীয় স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।