দৌলতপুর সীমান্তে উদয়নগর  বিওপি ক্যাম্প ঝুঁকির মধ্যে

#
news image

একসাথে ফারাক্কা বাঁধের সবগুলো গেট খুলে দেয়ায় কুষ্টিয়া অঞ্চলের মানুষের মাঝে ভীতি ও আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে আজ বিকেল পর্যন্ত কুষ্টিয়ার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা ও গড়াই নদীর পানি বিপদ সীমার সোয়া  ২সেন্টিমিটার নীচে রয়েছে। প্রশাসন এ বিষয়ে নজর রাখছে তবে সীমান্তবর্তি দৌলতপুর উপজেলার উদয়নগর  বিজিবির বিওপি ক্যাম্প মারাত্বক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান জানান-নদীকুলবর্তি কুষ্টিয়া অঞ্চলের ২/১টি পয়েন্ট ছাড়া সবগুলোর অবস্থা ভাল রয়েছে।

এর মধ্যে দৌলতপুরে বিজিবির উদয়নগর বিওপি ক্যাম্প মারাত্বক ঝুঁকর মধ্যে রয়েছে। এই ক্যাম্পটি পদ্মা নদীর তিনপাশ দিয়ে ঘেরা। এই ক্যাম্পর ৫০গজের বাইরে পানির অবস্থান। সোমবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী (ফরিদপুর অঞ্চল) ঐ স্থানটি পরিদর্শন করেছেন। ফারাক্কার পানি ছেড়ে দেয়ার ফলে ঐ স্থানের অবস্থা কি হবে তা বলা মুশকিল। তিনি আরো জানান-এছাড়া ভেড়ামারা উপজেলার মসলেমপুর এলাকার বাঁধের ভাঙ্গনরোধে গতকয়েক দিন ধরে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।

এদিকে কুষ্টিয়া শহর রক্ষা মঙ্গলবাড়ির বাঁধে গত সপ্তাহে পর্যাপ্ত বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বুঝা যাবে ফারাক্কার পানির বিরুপ প্রতিক্রিয়া। তিনি জানান, যে কোন পরিস্থিতিতে আমরা প্রস্তত রয়েছি। বিজিবি ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মাহবুব মুর্শেদ জানান-উদয়নগর বিওপি ক্যাম্প ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ক্যাম্পটি খুবই গুরুত্বপুর্ণ। ক্যাম্পের তিন পাশে পদ্মা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এক দিকে মাত্র ৫০ গজের বাইরে পানি প্রবেশ করেছে। আমরা ইতিমধ্যে ক্যাম্পের গুরুত্বপুর্ণ জিনিস সরাতে শুরু করেছি।

 

যে কোন পরিস্থিতিতে সেখানে অতিরিক্ত সৈনিক মোতায়েন রাখা হয়েছে। তিনি জানান, ক্যাম্পটি নদীতে বিলিন হলে ঐ ক্যাম্পের আওতায় সীমান্তবর্তি এলাকা অরক্ষিত হয়ে পড়বে। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম শীল জানান- ফারাক্কার পানি বৃদ্ধিতে কুষ্টিয়ার উপর কি প্রভাব পড়বে তা এঅবস্থায় বলা মুশকিল। তবে নদী রক্ষা বাঁধ গুলো ভাল রয়েছে।

আশা করি তেমন কোন সমস্যা হবে না। তিনি জানান, মঙ্গলবার  দুর্যোগ প্রতিরোধ কমিটির সভায় পরবর্তি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরো জানান, ভেড়ামারার হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পয়েন্টে পানির বিপদ সীমা ১৪.২৫সেন্টিমিটার। সোমবার দুপুরে সেখানে ১২সেন্টিমিটার পানি রেকর্ড করা হয়েছে। তবে ফারাক্কার পানি আসায় পানির পরিমান বৃদ্ধির সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে সোমবার বিকেলে ফারাক্কার গেট খুলে দেয়ার খবরে পুরো জেলায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। সর্বত্র এখবর আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে। ফারাক্কার প্রভাব রাজশাহী, কুষ্টিয়া এবং পাবনা সর্বোচ্চ ক্ষতির আশংকা রয়েছে। ইতিমধ্যে পদ্মা এবং গড়াই নদীর পানি বৃদ্ধি সেই সাথে প্রবল শ্রোতের কারনে নদীর কুলবর্তি মানুষের মাঝে দারুন এক শংকা কাজ করছে।

কুষ্টিয়ার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শারমীন সুলতানা জানান- ফারাক্কার কারনে নদী ভাঙ্গন বা বন্যা পরিস্থিতির অবনতি মোকাবিলায় প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।

মোঃ জিয়াউর রহমান, কুষ্টিয়া

২৭ আগস্ট, ২০২৪,  7:17 PM

news image

একসাথে ফারাক্কা বাঁধের সবগুলো গেট খুলে দেয়ায় কুষ্টিয়া অঞ্চলের মানুষের মাঝে ভীতি ও আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে আজ বিকেল পর্যন্ত কুষ্টিয়ার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা ও গড়াই নদীর পানি বিপদ সীমার সোয়া  ২সেন্টিমিটার নীচে রয়েছে। প্রশাসন এ বিষয়ে নজর রাখছে তবে সীমান্তবর্তি দৌলতপুর উপজেলার উদয়নগর  বিজিবির বিওপি ক্যাম্প মারাত্বক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান জানান-নদীকুলবর্তি কুষ্টিয়া অঞ্চলের ২/১টি পয়েন্ট ছাড়া সবগুলোর অবস্থা ভাল রয়েছে।

এর মধ্যে দৌলতপুরে বিজিবির উদয়নগর বিওপি ক্যাম্প মারাত্বক ঝুঁকর মধ্যে রয়েছে। এই ক্যাম্পটি পদ্মা নদীর তিনপাশ দিয়ে ঘেরা। এই ক্যাম্পর ৫০গজের বাইরে পানির অবস্থান। সোমবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী (ফরিদপুর অঞ্চল) ঐ স্থানটি পরিদর্শন করেছেন। ফারাক্কার পানি ছেড়ে দেয়ার ফলে ঐ স্থানের অবস্থা কি হবে তা বলা মুশকিল। তিনি আরো জানান-এছাড়া ভেড়ামারা উপজেলার মসলেমপুর এলাকার বাঁধের ভাঙ্গনরোধে গতকয়েক দিন ধরে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।

এদিকে কুষ্টিয়া শহর রক্ষা মঙ্গলবাড়ির বাঁধে গত সপ্তাহে পর্যাপ্ত বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বুঝা যাবে ফারাক্কার পানির বিরুপ প্রতিক্রিয়া। তিনি জানান, যে কোন পরিস্থিতিতে আমরা প্রস্তত রয়েছি। বিজিবি ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মাহবুব মুর্শেদ জানান-উদয়নগর বিওপি ক্যাম্প ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ক্যাম্পটি খুবই গুরুত্বপুর্ণ। ক্যাম্পের তিন পাশে পদ্মা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এক দিকে মাত্র ৫০ গজের বাইরে পানি প্রবেশ করেছে। আমরা ইতিমধ্যে ক্যাম্পের গুরুত্বপুর্ণ জিনিস সরাতে শুরু করেছি।

 

যে কোন পরিস্থিতিতে সেখানে অতিরিক্ত সৈনিক মোতায়েন রাখা হয়েছে। তিনি জানান, ক্যাম্পটি নদীতে বিলিন হলে ঐ ক্যাম্পের আওতায় সীমান্তবর্তি এলাকা অরক্ষিত হয়ে পড়বে। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম শীল জানান- ফারাক্কার পানি বৃদ্ধিতে কুষ্টিয়ার উপর কি প্রভাব পড়বে তা এঅবস্থায় বলা মুশকিল। তবে নদী রক্ষা বাঁধ গুলো ভাল রয়েছে।

আশা করি তেমন কোন সমস্যা হবে না। তিনি জানান, মঙ্গলবার  দুর্যোগ প্রতিরোধ কমিটির সভায় পরবর্তি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরো জানান, ভেড়ামারার হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পয়েন্টে পানির বিপদ সীমা ১৪.২৫সেন্টিমিটার। সোমবার দুপুরে সেখানে ১২সেন্টিমিটার পানি রেকর্ড করা হয়েছে। তবে ফারাক্কার পানি আসায় পানির পরিমান বৃদ্ধির সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে সোমবার বিকেলে ফারাক্কার গেট খুলে দেয়ার খবরে পুরো জেলায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। সর্বত্র এখবর আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে। ফারাক্কার প্রভাব রাজশাহী, কুষ্টিয়া এবং পাবনা সর্বোচ্চ ক্ষতির আশংকা রয়েছে। ইতিমধ্যে পদ্মা এবং গড়াই নদীর পানি বৃদ্ধি সেই সাথে প্রবল শ্রোতের কারনে নদীর কুলবর্তি মানুষের মাঝে দারুন এক শংকা কাজ করছে।

কুষ্টিয়ার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শারমীন সুলতানা জানান- ফারাক্কার কারনে নদী ভাঙ্গন বা বন্যা পরিস্থিতির অবনতি মোকাবিলায় প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।