এখনও থামছে না মোরেলগঞ্জের সন্তান  শহীদ আলভীর পরিবারের কান্না

#
news image

কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ গ্রহনের এক পর্যায় স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা  হটাও আন্দোলনে রুপ নেয় বৈশম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ছাত্রদের এ আন্দোলনে শরীক হয় নারী, শিশু, যুবা বৃদ্ধাসহ সকল বয়সের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। তেমনি আন্দোলনের এ টাল- মাটাল মুহুর্তে ঘরে বসে থাকতে পারেনি মোরেলগঞ্জের সন্তান কিশোর শাহরিয়ার হাসান আলভী। ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সহপাঠীদের সাথে আন্দেলনে অংশ নিয়ে গত ৪ আগষ্ট সন্ধায় পুলিশের ছোড়া বুলেট কেড়ে নেয় নবম শ্রেণির ছাত্র শাহরিয়া হাসান আলভীর (১৫) জীবন। কিশোর আলভী বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার  বহরবুনিয়া ইউনিয়নের মো. আবুল হাসানের একমাত্র ছেলে।

 আলভীর বাবার সাথে কথা বলে জানাগেছে, তিনি একজন ক্ষুদে ব্যবসায়ী, জীবীকার প্রয়োজনে পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। পরিবার নিয়ে থাকছেন মিরপুর পল্লবীতে বাসা ভাড়া নিয়ে। শাহরিয়ার হাসান আলভী তার একমাত্র পুত্র সন্তান। লেখা- পড়া করতো দেশ ট্যাকনিক্যাল কলেজের এসএসসি ভোকেশনাল শাখার নবম শ্রেণিতে। আর ওই কলেজেরই শিক্ষার্থী তার সহপাঠীদের সাথে বৈশম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোনের কর্মসূচিতে অংশ গ্রহন করে কিশোর আলভী। প্রতিদিনকার মত গত ৪ আগষ্ট সহপাঠী শিক্ষার্থীদের সাথে আন্দোলনে মাঠে নেমে  সন্ধার দিকে মিরপুর -১০ এ অবস্থানকালে পুলিশের ছোড়া বুলেট বিদ্ধ হয় আলভীর বুকে।  রক্তাক্ত আলভীকে উদ্ধার করে আজমল হাসপাতালে নিয়ে যায় তার সহপাঠীরা। হাসপাতালে নেয়ার পরপরই আলভী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ওই রাতেই জানাজা শেষে তার লাশ কলসি কবরস্তানে দাফন করা হয়। 

পুত্রশোকে কাতর আলভীর বাবা আবুল হাসান আরো জানান, ছেলে আলভী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে এ খবর শোনার পর থেকেই তার স্ত্রী ( আলভীর মা) অসুস্থ। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে পাগল প্রায় অবস্থা। খাওয়া- দাওয়া প্রায় ছেড়েই দিয়েছে, দিন- রাত শুধু ঢুকড়ে- ঢুকড়ে কাদেন আর প্রলাপ বকেন। আলভীর একমাত্র বোন ৩য় শ্রণির ছাত্রি ৮ বছরের আলিফাও ভাইকে হারানোর শোক সইতে না পেরে সেও সারদিন কাদছে। ঘটনার ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও থামছে না আলভীর  পরিবারের কান্না।  একমাত্র পুত্র হারা বাবা আবুল হাসানের আকুতি, যে পুলিশ সদস্য তার বুকের ধনকে কেড়ে নিয়েছে তদন্ত করে সেই পুলিশ সদস্যসহ ওই হত্যাকান্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। তিনি তার সন্তানের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রর্থনা করেন।  আল্লাহ যেন তার আলভীকে শহিদ হিসেবে কবুল করেন।

বিএম. মাহবুব, মোরেলগঞ্জ, বাগেরহাট

১৯ আগস্ট, ২০২৪,  7:28 PM

news image

কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ গ্রহনের এক পর্যায় স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা  হটাও আন্দোলনে রুপ নেয় বৈশম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ছাত্রদের এ আন্দোলনে শরীক হয় নারী, শিশু, যুবা বৃদ্ধাসহ সকল বয়সের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। তেমনি আন্দোলনের এ টাল- মাটাল মুহুর্তে ঘরে বসে থাকতে পারেনি মোরেলগঞ্জের সন্তান কিশোর শাহরিয়ার হাসান আলভী। ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সহপাঠীদের সাথে আন্দেলনে অংশ নিয়ে গত ৪ আগষ্ট সন্ধায় পুলিশের ছোড়া বুলেট কেড়ে নেয় নবম শ্রেণির ছাত্র শাহরিয়া হাসান আলভীর (১৫) জীবন। কিশোর আলভী বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার  বহরবুনিয়া ইউনিয়নের মো. আবুল হাসানের একমাত্র ছেলে।

 আলভীর বাবার সাথে কথা বলে জানাগেছে, তিনি একজন ক্ষুদে ব্যবসায়ী, জীবীকার প্রয়োজনে পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। পরিবার নিয়ে থাকছেন মিরপুর পল্লবীতে বাসা ভাড়া নিয়ে। শাহরিয়ার হাসান আলভী তার একমাত্র পুত্র সন্তান। লেখা- পড়া করতো দেশ ট্যাকনিক্যাল কলেজের এসএসসি ভোকেশনাল শাখার নবম শ্রেণিতে। আর ওই কলেজেরই শিক্ষার্থী তার সহপাঠীদের সাথে বৈশম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোনের কর্মসূচিতে অংশ গ্রহন করে কিশোর আলভী। প্রতিদিনকার মত গত ৪ আগষ্ট সহপাঠী শিক্ষার্থীদের সাথে আন্দোলনে মাঠে নেমে  সন্ধার দিকে মিরপুর -১০ এ অবস্থানকালে পুলিশের ছোড়া বুলেট বিদ্ধ হয় আলভীর বুকে।  রক্তাক্ত আলভীকে উদ্ধার করে আজমল হাসপাতালে নিয়ে যায় তার সহপাঠীরা। হাসপাতালে নেয়ার পরপরই আলভী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ওই রাতেই জানাজা শেষে তার লাশ কলসি কবরস্তানে দাফন করা হয়। 

পুত্রশোকে কাতর আলভীর বাবা আবুল হাসান আরো জানান, ছেলে আলভী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে এ খবর শোনার পর থেকেই তার স্ত্রী ( আলভীর মা) অসুস্থ। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে পাগল প্রায় অবস্থা। খাওয়া- দাওয়া প্রায় ছেড়েই দিয়েছে, দিন- রাত শুধু ঢুকড়ে- ঢুকড়ে কাদেন আর প্রলাপ বকেন। আলভীর একমাত্র বোন ৩য় শ্রণির ছাত্রি ৮ বছরের আলিফাও ভাইকে হারানোর শোক সইতে না পেরে সেও সারদিন কাদছে। ঘটনার ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও থামছে না আলভীর  পরিবারের কান্না।  একমাত্র পুত্র হারা বাবা আবুল হাসানের আকুতি, যে পুলিশ সদস্য তার বুকের ধনকে কেড়ে নিয়েছে তদন্ত করে সেই পুলিশ সদস্যসহ ওই হত্যাকান্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। তিনি তার সন্তানের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রর্থনা করেন।  আল্লাহ যেন তার আলভীকে শহিদ হিসেবে কবুল করেন।