থানা ঘেরাও সংঘর্ষে ৩ পুলিশ সদস্যসহ ৩০ জন আহত

#
news image

ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানায় আটক আওয়ামী লীগ নেতা মুস্তাক শিকদারকে বিনাশর্তে ছেড়ে দেয়া এবং শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম চৌধুরির কথিত দুর্নীতির প্রতবাদ এবং তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে স্থানীয় জনতা রোববার বিকালে থানা ঘেরাও করলে পুলিশ ও জনতার মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায় । আহতদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঝিনাইদহ সদর হাসাপাতাল ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। শৈলকুপা শহর ও আশেপাশের এলাকায় এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। 

স্থানীয়রা জানায়, ধাওড়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মুস্তাক শিকদারকে শৈলকুপা থানার পুলিশ রোববার সকালে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। খবরটি এলাকায় পৌছালে এলাকার অসংখ্য মানুষ রোববার দুপুর ৩টার দিকে শৈলকুপা থানার সামনে জড়ো হয়। তারা তাদের নেতা মুস্তাক শিকদারকে বিনাশর্তে ছেড়ে দেয়া এবং শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম চৌধুরিকে প্রত্যাহারের দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকে। তারা শৈলকুপা থানার দিকে অগ্রসর হতে গেলে পুলিশ প্রথমে বাঁধা দেয়। উত্তেজিত জনতা কয়েকটি ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ প্রায় একশ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে শৈলকুপা থানা এলাকা রনক্ষেত্রে পরিনত হয়। পুলিশের গুলি ও ইটপাটকেলের আঘাতে ফিরোজ শিকদার, আলী আকবর, আসগর মন্ডল, তুহিন জোয়ার্দার, নাফিজ, সালামত আলী , জান্নাত, আসাদুজ্জামান, সাত্তার শিকদার, ইমন শিকদার, আব্দুল ওয়াহাব,  জালাল ও ফারুকসহ প্রায় ২৭ জন গ্রামবাসি এবং তাদের ইটের আঘাতে পুলিশের তদন্ত পরিদর্শক রিয়াজুলসহ ৩-৪জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। 

ধওড়া গামের কয়েকজন জানান, তারা তাদের নেতাকে উদ্দেশ্যমূলক আটক করার প্রতিবাদে তাকে নি:শর্ত ছেড়ে দেয়া এবং ওসি শফিকুল ইসলাম চৌধুরিকে প্রত্যাহারের দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকলে পুলিশ বিনা উস্কানিতে টিয়ারগ্যাস এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ইটপাটকেল ছুড়তে বাধ্য হয়।  শৈলকুপা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম চৌধুরির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, একটি নির্দিষ্ট মামলায় পুলিশ মুস্তাক শিকদারকে আটক করার পরপরই অসংখ্য মানুষ থানা ঘেরাও করার চেষ্টা করে। তারা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এতে পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত রিয়াজুলসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। আক্রমনকারিরা পুলিশের গাড়িও ভাংচুর করে বলে ওসি দাবি করেন। তিনি জানান, আত্মরক্ষার্থে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়াররাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড় ছোড়ে। এ ঘটনায় জিঞ্জাসাবাদের জন্য ৩-৪ জনকে থানায় নেয়া হয়েছে। বর্তমাণে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্ত বলে জানান ওসি । 

উল্লেখ্য, শৈলকুপা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম চৌধুরিকে প্রত্যাহারের দাবিতে গত কয়েকদিন যাবত উত্তাল শৈলকুপা। ওসির কথিত দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে সোচ্চার শৈলকুপার মানুষ। গত শুক্রবার শৈলকুপায় একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আজম ওসি শফিকুল ইসলাম চৌধুরিকে অবিলম্বে প্রত্যাহার না করা হলে তার গলায় গামছা বেধে বিদায় দেয়া হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন। 

 

দেলোয়ার কবীর, ঝিনাইদহ

০৯ জুন, ২০২৪,  9:43 PM

news image

ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানায় আটক আওয়ামী লীগ নেতা মুস্তাক শিকদারকে বিনাশর্তে ছেড়ে দেয়া এবং শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম চৌধুরির কথিত দুর্নীতির প্রতবাদ এবং তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে স্থানীয় জনতা রোববার বিকালে থানা ঘেরাও করলে পুলিশ ও জনতার মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায় । আহতদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঝিনাইদহ সদর হাসাপাতাল ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। শৈলকুপা শহর ও আশেপাশের এলাকায় এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। 

স্থানীয়রা জানায়, ধাওড়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মুস্তাক শিকদারকে শৈলকুপা থানার পুলিশ রোববার সকালে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। খবরটি এলাকায় পৌছালে এলাকার অসংখ্য মানুষ রোববার দুপুর ৩টার দিকে শৈলকুপা থানার সামনে জড়ো হয়। তারা তাদের নেতা মুস্তাক শিকদারকে বিনাশর্তে ছেড়ে দেয়া এবং শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম চৌধুরিকে প্রত্যাহারের দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকে। তারা শৈলকুপা থানার দিকে অগ্রসর হতে গেলে পুলিশ প্রথমে বাঁধা দেয়। উত্তেজিত জনতা কয়েকটি ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ প্রায় একশ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে শৈলকুপা থানা এলাকা রনক্ষেত্রে পরিনত হয়। পুলিশের গুলি ও ইটপাটকেলের আঘাতে ফিরোজ শিকদার, আলী আকবর, আসগর মন্ডল, তুহিন জোয়ার্দার, নাফিজ, সালামত আলী , জান্নাত, আসাদুজ্জামান, সাত্তার শিকদার, ইমন শিকদার, আব্দুল ওয়াহাব,  জালাল ও ফারুকসহ প্রায় ২৭ জন গ্রামবাসি এবং তাদের ইটের আঘাতে পুলিশের তদন্ত পরিদর্শক রিয়াজুলসহ ৩-৪জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। 

ধওড়া গামের কয়েকজন জানান, তারা তাদের নেতাকে উদ্দেশ্যমূলক আটক করার প্রতিবাদে তাকে নি:শর্ত ছেড়ে দেয়া এবং ওসি শফিকুল ইসলাম চৌধুরিকে প্রত্যাহারের দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকলে পুলিশ বিনা উস্কানিতে টিয়ারগ্যাস এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ইটপাটকেল ছুড়তে বাধ্য হয়।  শৈলকুপা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম চৌধুরির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, একটি নির্দিষ্ট মামলায় পুলিশ মুস্তাক শিকদারকে আটক করার পরপরই অসংখ্য মানুষ থানা ঘেরাও করার চেষ্টা করে। তারা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এতে পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত রিয়াজুলসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। আক্রমনকারিরা পুলিশের গাড়িও ভাংচুর করে বলে ওসি দাবি করেন। তিনি জানান, আত্মরক্ষার্থে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়াররাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড় ছোড়ে। এ ঘটনায় জিঞ্জাসাবাদের জন্য ৩-৪ জনকে থানায় নেয়া হয়েছে। বর্তমাণে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্ত বলে জানান ওসি । 

উল্লেখ্য, শৈলকুপা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম চৌধুরিকে প্রত্যাহারের দাবিতে গত কয়েকদিন যাবত উত্তাল শৈলকুপা। ওসির কথিত দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে সোচ্চার শৈলকুপার মানুষ। গত শুক্রবার শৈলকুপায় একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আজম ওসি শফিকুল ইসলাম চৌধুরিকে অবিলম্বে প্রত্যাহার না করা হলে তার গলায় গামছা বেধে বিদায় দেয়া হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন।