ঝিনাইদহে ফাতেমা নামের এক গৃহবধুকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে তার ছেলের বউ। শুক্রবার ভোররাতে সদর উপজেলার খালকুলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার অভিযুক্ত ২ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকৃতরা হলো দুর্গারপুর গ্রামের বাদল মন্ডলের ছেলে সাগর হোসেন ও পশ্চিম ঝিনাইদহের ফেলু সরকারের ছেলে সুশান্ত। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, খালকুলা গ্রামের অবেদ আলী ও তার ছেলে মেহেদী বিদেশে থাকেন। তার বাড়িতে স্ত্রী ফাতেমা খাতুন ও  বৌমা বিথী খাতুন থাকেন। বাড়ির পুরুষ মাসুষেরা বিদেশে অবস্থানের সুযোগে বৃহস্পতিবার রাতে দু’জন ডাকাত বাড়ির দেয়াল ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে শ্বাশুড়ি ফাতেমাকে গলা কেটে হত্যা করে।

এরপর তার ছেলের স্ত্রী বিথী খাতুনের গলায়ও ছুরিকাঘাত করে কিছু নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ছেলের স্ত্রী বিথী খাতুন গোঙাতে গোঙাতে পাশের বাড়িতে গিয়ে পড়ে যায়। তারপর স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশ ফাতেমা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে। আহত বিথীকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আটকৃতরা হলো দুর্গাপুর গ্রামের বাদল মন্ডলের ছেলে সাগর হোসেন ও পশ্চিম ঝিনাইদহের ফেলু সরকারের ছেলে সুশান্ত।  ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শাহীন উদ্দিন জানান, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ২ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর পুরা ঘটনা জানা যাবে।