ভাগ্য বদলের আশায় গভীর রাতে মাটি খুঁড়ে স্বর্নের সন্ধান

#
news image

এক সময় কথিত ছিল জ্বীনের সোনার হাড়ি পেয়ে ভাগ্য পরিবর্তন। লক্ষ টাকার স্বপ্ন দেখে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণে মাটি খুঁড়ে চলেছেন হাজার হাজার মানুষ। ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার কাতিহার আরবিবি ইট ভাটায় বৃহস্পতিবার
(২৪ মে) দিবাগত রাতে বিভিন্ন বয়সের হাজার হাজার নারী পুরুষ কোদাল, কেউ বাসিলা,কেউ খুন্তি নিয়ে এসেছেন স্বর্নের খোঁজে। শিশু মহিলা থেকে শুরু করে বৃদ্ধরা পর্যন্ত দলে দলে স্বর্ণ পাওয়ার সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় ,পাহাড় সম কাতিহার আরবিবি ইট ভাটায় মাটির স্তূপ গুলি স্বর্নের মতই জ্বলজ্বল করে জ্বলছে। রাতের অন্ধকারে মানুষের হাতে থাকা টর্চ, মোবাইল ফোনের আলোতে ইটভাটার মাটির স্তুপ স্বর্ণালী রূপ ধারণ করেছে। দূর থেকে গভীর অন্ধকারে টর্চের আলোয় আলোকিত স্বর্ণালী এক পাহাড়ের দৃশ্য যে কেউ দেখলেই চমকে উঠবে। মনে হবে বাংলাদেশের উত্তরের এ প্রত্যন্ত অঞ্চলে অলৌকিকভাবে কোন সোনার পাহাড় দাঁড়িয়ে আছে। হাজারো মানুষের বিশ্বাস আর আস্থা এখন কাতিহারের ইট ভাটার মাটির স্তুপ।

কেউ  ভাগ্য বদলের আশায় আবার কেউ শখের বসে গভীর রাতে খুড়ে চলছে এ অনাকাঙ্খিত স্বর্ণ।স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার কাতিহার আরবিবি ইট ভাটায় গত বেশ কিছু দিন ধরে চলছে মাটি স্বর্নের খোঁজে খনন প্রতিযোগিতা। গ্রামের বিভিন্ন বয়সের নারী —পুরুষ বাড়ি হতে কোদাল বসিলা নিয়ে ওই ভাটায় আসছেন দলেদলে। দেখা গেছে এদের মধ্যে শ্রমিক শ্রেনীর মানুষই বেশি। সোনা পেলে নিজেদের ভাগ্য বদল হবে এই আশায় কেউ বসে নেই। আশপাশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকেও ছোটখাটো যানবাহন নিয়ে স্বর্ণের সন্ধানে ভাগ্য বদলের জন্য ছুটে এসেছেন নানান পেশার মানুষ। আবার  নিরাশ হয়েও ফিরছেন অনেকেই।

ইট ভাটার আশপাশ জুড়ে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী খাবার দোকান। দোকানদারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাটি খুঁড়ে বেশ কিছুদিন থেকেই অনেকে সোনা পাচ্ছেন। স্থানীয় লোকজনের দাবি ওই ভাটার মাটির স্তুপে বেশ কিছুদিন থেকেই সোনা পাচ্ছেন লোকজন । ইতোমধ্যে অনেকের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে। সম্প্রতি সোনা বিক্রি করে অনেকেই মোটরসাইকেল কিনেছেন এমন কোথাও অনেকের মুখে শোনা গেছে। কিন্তু কে কে সোনা পেয়েছেন এ কথা স্বীকার করছেন না কেউ। তাদের দাবি অনেকেই সোনা পেয়েছেন ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে পারেন এই ভয়ে মুখ খুলছেন না কেউ।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ছুটে আসা নারী— পুরুষদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা বিরক্তি প্রকাশ করছেন। গভীর রাতে তাদের হাতে হাতে বাসিলা, সাবাল নিয়ে ঘেমে যাওয়া শরীরে ক্লান্তির ছোঁয়া। তারা জানান অনেকে সোনা পাচ্ছে, তাই আমারাও খুঁড়ে দেখছি। চেষ্টা করতে দোষ কিসের। আরবিবি ইটভাটার ব্যবস্থাপক লিটন আলী বলেন, কাতিহার সামরাই মন্দিরের পাশ থেকে মাটি খনন করে ইটভাটায় স্তূপ করা হয়েছে। গুজব উঠেছে ঐ মাটির স্তূপ থেকে নাকি স্বর্ণের জিনিস পাওয়া গেছে। এরপর থেকেই সাধারণ মানুষ দিন রাত
ঐ মাটির স্তূপ খনন করে স্বর্নের সন্ধান করছে।

সফিকুল ইসলাম শিল্পী, রাণীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও

২৪ মে, ২০২৪,  6:24 PM

news image

এক সময় কথিত ছিল জ্বীনের সোনার হাড়ি পেয়ে ভাগ্য পরিবর্তন। লক্ষ টাকার স্বপ্ন দেখে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণে মাটি খুঁড়ে চলেছেন হাজার হাজার মানুষ। ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার কাতিহার আরবিবি ইট ভাটায় বৃহস্পতিবার
(২৪ মে) দিবাগত রাতে বিভিন্ন বয়সের হাজার হাজার নারী পুরুষ কোদাল, কেউ বাসিলা,কেউ খুন্তি নিয়ে এসেছেন স্বর্নের খোঁজে। শিশু মহিলা থেকে শুরু করে বৃদ্ধরা পর্যন্ত দলে দলে স্বর্ণ পাওয়ার সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় ,পাহাড় সম কাতিহার আরবিবি ইট ভাটায় মাটির স্তূপ গুলি স্বর্নের মতই জ্বলজ্বল করে জ্বলছে। রাতের অন্ধকারে মানুষের হাতে থাকা টর্চ, মোবাইল ফোনের আলোতে ইটভাটার মাটির স্তুপ স্বর্ণালী রূপ ধারণ করেছে। দূর থেকে গভীর অন্ধকারে টর্চের আলোয় আলোকিত স্বর্ণালী এক পাহাড়ের দৃশ্য যে কেউ দেখলেই চমকে উঠবে। মনে হবে বাংলাদেশের উত্তরের এ প্রত্যন্ত অঞ্চলে অলৌকিকভাবে কোন সোনার পাহাড় দাঁড়িয়ে আছে। হাজারো মানুষের বিশ্বাস আর আস্থা এখন কাতিহারের ইট ভাটার মাটির স্তুপ।

কেউ  ভাগ্য বদলের আশায় আবার কেউ শখের বসে গভীর রাতে খুড়ে চলছে এ অনাকাঙ্খিত স্বর্ণ।স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার কাতিহার আরবিবি ইট ভাটায় গত বেশ কিছু দিন ধরে চলছে মাটি স্বর্নের খোঁজে খনন প্রতিযোগিতা। গ্রামের বিভিন্ন বয়সের নারী —পুরুষ বাড়ি হতে কোদাল বসিলা নিয়ে ওই ভাটায় আসছেন দলেদলে। দেখা গেছে এদের মধ্যে শ্রমিক শ্রেনীর মানুষই বেশি। সোনা পেলে নিজেদের ভাগ্য বদল হবে এই আশায় কেউ বসে নেই। আশপাশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকেও ছোটখাটো যানবাহন নিয়ে স্বর্ণের সন্ধানে ভাগ্য বদলের জন্য ছুটে এসেছেন নানান পেশার মানুষ। আবার  নিরাশ হয়েও ফিরছেন অনেকেই।

ইট ভাটার আশপাশ জুড়ে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী খাবার দোকান। দোকানদারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাটি খুঁড়ে বেশ কিছুদিন থেকেই অনেকে সোনা পাচ্ছেন। স্থানীয় লোকজনের দাবি ওই ভাটার মাটির স্তুপে বেশ কিছুদিন থেকেই সোনা পাচ্ছেন লোকজন । ইতোমধ্যে অনেকের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে। সম্প্রতি সোনা বিক্রি করে অনেকেই মোটরসাইকেল কিনেছেন এমন কোথাও অনেকের মুখে শোনা গেছে। কিন্তু কে কে সোনা পেয়েছেন এ কথা স্বীকার করছেন না কেউ। তাদের দাবি অনেকেই সোনা পেয়েছেন ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে পারেন এই ভয়ে মুখ খুলছেন না কেউ।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ছুটে আসা নারী— পুরুষদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা বিরক্তি প্রকাশ করছেন। গভীর রাতে তাদের হাতে হাতে বাসিলা, সাবাল নিয়ে ঘেমে যাওয়া শরীরে ক্লান্তির ছোঁয়া। তারা জানান অনেকে সোনা পাচ্ছে, তাই আমারাও খুঁড়ে দেখছি। চেষ্টা করতে দোষ কিসের। আরবিবি ইটভাটার ব্যবস্থাপক লিটন আলী বলেন, কাতিহার সামরাই মন্দিরের পাশ থেকে মাটি খনন করে ইটভাটায় স্তূপ করা হয়েছে। গুজব উঠেছে ঐ মাটির স্তূপ থেকে নাকি স্বর্ণের জিনিস পাওয়া গেছে। এরপর থেকেই সাধারণ মানুষ দিন রাত
ঐ মাটির স্তূপ খনন করে স্বর্নের সন্ধান করছে।