দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরঝড় চলতে পারে সপ্তাহজুড়ে

#
news image

দুই দশকের বেশি সময়ের মধ্যে ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ সৌরঝড় শুক্রবার পৃথিবীতে আঘাত হেনেছে। এতে অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্যের আকাশে বর্ণিল আলো বা মেরুজ্যোতি (অরোরা) দেখা যায়। সপ্তাহজুড়ে চলতে পারে এ সৌরঝড়। যার প্রভাবে স্যাটেলাইটের কার্যক্রম ও বিদ্যুৎ পরিসেবায় বিঘœ ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। টাইমস অব ইসরায়েল ও এপি। পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের পরিবর্তনের কারণে সম্ভাব্য বিঘœ সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে স্যাটেলাইট অপারেটর, বিমান পরিবহন সংস্থা ও বিদ্যুৎ গ্রিডগুলোকে পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনওএএ) মহাকাশীয় আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে, শুক্রবার গ্রিনিচ মানসময় (জিএমটি) ১৬টার (বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা) পর বেশ কয়েকটি ‘করোনাল ম্যাস ইজেকশন (সিএমই)’ বা ব্যাপকভাবে জ্যোতির্বলয় নির্গমনের প্রথম দফার ঘটনা ঘটে। এর ফলে সূর্য থেকে পৃথিবীতে প্লাজমা ও চৌম্বকক্ষেত্রের উদ্?গিরণ হয়। সূর্য যখন প্রচুর পরিমাণ শক্তি উগরে দেয় বা নির্গত করে ঠিক সেই সময় এই রকম ভূচৌম্বকীয় ঝড়ের সৃষ্টি হয়। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার রিপোর্ট অনুযায়ী, সূর্য তার ১১ বছরের দীর্ঘ সৌরচক্র অতিক্রম করছে। এই কারণে, করোনাল ম্যাস ইজেকশন এবং সৌরশিখা ঘটছে, যা ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলতে থাকবে।

সৌরঝড়ের কারণে স্যাটেলাইটে শর্ট সার্কিট হয়। পাওয়ার গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব কারণে মহাকাশচারীদের জীবনও হুমকির মুখে পড়তে পারে। ২০০৩ সালের অক্টোবরে কথিত ‘হ্যালোইন স্টর্ম’-এর পরে পৃথিবীতে এত শক্তিশালী সৌরঝড় আঘাত হানার ঘটনা এটিই প্রথম।

নাগরিক ডেস্ক রিপোর্ট

১২ মে, ২০২৪,  2:09 PM

news image

দুই দশকের বেশি সময়ের মধ্যে ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ সৌরঝড় শুক্রবার পৃথিবীতে আঘাত হেনেছে। এতে অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্যের আকাশে বর্ণিল আলো বা মেরুজ্যোতি (অরোরা) দেখা যায়। সপ্তাহজুড়ে চলতে পারে এ সৌরঝড়। যার প্রভাবে স্যাটেলাইটের কার্যক্রম ও বিদ্যুৎ পরিসেবায় বিঘœ ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। টাইমস অব ইসরায়েল ও এপি। পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের পরিবর্তনের কারণে সম্ভাব্য বিঘœ সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে স্যাটেলাইট অপারেটর, বিমান পরিবহন সংস্থা ও বিদ্যুৎ গ্রিডগুলোকে পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনওএএ) মহাকাশীয় আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে, শুক্রবার গ্রিনিচ মানসময় (জিএমটি) ১৬টার (বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা) পর বেশ কয়েকটি ‘করোনাল ম্যাস ইজেকশন (সিএমই)’ বা ব্যাপকভাবে জ্যোতির্বলয় নির্গমনের প্রথম দফার ঘটনা ঘটে। এর ফলে সূর্য থেকে পৃথিবীতে প্লাজমা ও চৌম্বকক্ষেত্রের উদ্?গিরণ হয়। সূর্য যখন প্রচুর পরিমাণ শক্তি উগরে দেয় বা নির্গত করে ঠিক সেই সময় এই রকম ভূচৌম্বকীয় ঝড়ের সৃষ্টি হয়। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার রিপোর্ট অনুযায়ী, সূর্য তার ১১ বছরের দীর্ঘ সৌরচক্র অতিক্রম করছে। এই কারণে, করোনাল ম্যাস ইজেকশন এবং সৌরশিখা ঘটছে, যা ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলতে থাকবে।

সৌরঝড়ের কারণে স্যাটেলাইটে শর্ট সার্কিট হয়। পাওয়ার গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব কারণে মহাকাশচারীদের জীবনও হুমকির মুখে পড়তে পারে। ২০০৩ সালের অক্টোবরে কথিত ‘হ্যালোইন স্টর্ম’-এর পরে পৃথিবীতে এত শক্তিশালী সৌরঝড় আঘাত হানার ঘটনা এটিই প্রথম।