কর্মী সংকটে এয়ার ইন্ডিয়া, বাতিল হচ্ছে ফ্লাইট

#
news image

গণছুটিতে কেবিন ক্রুরা। যার জেরে বুধবার (৮ মে )একাধিক ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস। আর এই ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। একইসঙ্গে টাটার মালিকানাধীন এয়ার ইন্ডিয়াকে ‘দ্রুত সমস্যা সমাধান’ করতে বলেছে কেন্দ্রীয় বেসামরিক উড়োজাহাজ  চলাচল মন্ত্রণালয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৭ মে )রাত থেকেই কর্মী সংকটে ভুগছে এয়ার ইন্ডিয়া। বাতিল হচ্ছে একের পর এক ফ্লাইট। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে প্রায় ৩০০ জন কেবিন ক্রু হঠাৎ ছুটি নিয়েছেন। এমনকি তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ। কোনোভাবেই কেবিন ক্রুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাই উপায় না পেয়ে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বাতিল করতে বাধ্য হয় এয়ার ইন্ডিয়া। জানা গেছে, এরইমধ্যে সবমিলিয়ে ৮৬টি পরিষেবা বাতিল করেছে তারা।

কেন গণছুটিতে গেলেন কেবিন ক্রুরা? এয়ার ইন্ডিয়াকে টাটা অধিগ্রহণ করার পর থেকেই নানা সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে নতুন নিয়োগ পদ্ধতি নিয়েই অসন্তোষ তৈরি হয় কর্মীদের মধ্যে। অনেকের দাবি, ইন্টারভিউতে যে পোস্টের কথা বলা হচ্ছে, আদৌ সেই পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। অনেক কর্মীকেই নিচু পদে নিয়োগ করছে সংস্থা। এ ছাড়াও বেশ কিছু কর্মীকে কারণ ছাড়াই বরখাস্ত করা হয়। এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মী সংগঠন সংস্থাকে চিঠি লিখে এসব সমস্যার কথা তুলে ধরেছে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীরা অসন্তোষ দেখাচ্ছেন। গণছুটিতে যাওয়া প্রতিবাদের অংশ বলেও মনে করছেন অনেকে।

এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের মুখপাত্রের দাবি, 'আমাদের কেবিন ক্রুদের একটি বড় অংশ শেষ মুহূর্তে অসুস্থ বলে জানিয়ে ছুটি নিয়েছেন। এর ফলে উড়োজাহাজ  পরিষেবা বিলম্বিত হচ্ছে। অনেক ফ্লাইট  বাতিলও করতে হয়েছে। বিষয়টি বোঝার জন্য আমরা কেবিন ক্রুদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। দ্রুত সমস্যা সমাধান করে বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।' তিনি আরও বলেন, উড়োজাহাজ পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় আমাদের যাত্রীরা সমস্যায় পড়েছেন। আমরা যাত্রীদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। উড়োজাহাজ  বাতিলের কারণে সমস্যায় পড়া যাত্রীদের টিকিটের সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। কিংবা অন্যদিন যেতে চাইলে তার ব্যবস্থাও করা হবে।

এদিকে ফ্লাইট  বাতিলের কারণে সমস্যায় পড়া যাত্রীরা সমাজিকমাধ্যমে ক্ষোভ জানাচ্ছেন। তারপরই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। যাত্রী সুরক্ষা এবং পরিষেবা দেওয়ার ব্যাপারে দেশের বেসামরিক উড়োজাহাজ  পরিবহন নিয়ামক সংস্থা ডিজিসিএ'র (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন) যে নির্দেশের কথা বলা আছে তা মেনে চলার কথা এয়ার ইন্ডিয়াকে জানিয়েছে কেন্দ্র। এখন দেখার অপেক্ষা, কবে এই সমস্যার সমাধান হয়।

নাগরিক ডেস্ক রিপোর্ট

০৯ মে, ২০২৪,  1:22 PM

news image

গণছুটিতে কেবিন ক্রুরা। যার জেরে বুধবার (৮ মে )একাধিক ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস। আর এই ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। একইসঙ্গে টাটার মালিকানাধীন এয়ার ইন্ডিয়াকে ‘দ্রুত সমস্যা সমাধান’ করতে বলেছে কেন্দ্রীয় বেসামরিক উড়োজাহাজ  চলাচল মন্ত্রণালয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৭ মে )রাত থেকেই কর্মী সংকটে ভুগছে এয়ার ইন্ডিয়া। বাতিল হচ্ছে একের পর এক ফ্লাইট। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে প্রায় ৩০০ জন কেবিন ক্রু হঠাৎ ছুটি নিয়েছেন। এমনকি তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ। কোনোভাবেই কেবিন ক্রুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাই উপায় না পেয়ে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বাতিল করতে বাধ্য হয় এয়ার ইন্ডিয়া। জানা গেছে, এরইমধ্যে সবমিলিয়ে ৮৬টি পরিষেবা বাতিল করেছে তারা।

কেন গণছুটিতে গেলেন কেবিন ক্রুরা? এয়ার ইন্ডিয়াকে টাটা অধিগ্রহণ করার পর থেকেই নানা সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে নতুন নিয়োগ পদ্ধতি নিয়েই অসন্তোষ তৈরি হয় কর্মীদের মধ্যে। অনেকের দাবি, ইন্টারভিউতে যে পোস্টের কথা বলা হচ্ছে, আদৌ সেই পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। অনেক কর্মীকেই নিচু পদে নিয়োগ করছে সংস্থা। এ ছাড়াও বেশ কিছু কর্মীকে কারণ ছাড়াই বরখাস্ত করা হয়। এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মী সংগঠন সংস্থাকে চিঠি লিখে এসব সমস্যার কথা তুলে ধরেছে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীরা অসন্তোষ দেখাচ্ছেন। গণছুটিতে যাওয়া প্রতিবাদের অংশ বলেও মনে করছেন অনেকে।

এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের মুখপাত্রের দাবি, 'আমাদের কেবিন ক্রুদের একটি বড় অংশ শেষ মুহূর্তে অসুস্থ বলে জানিয়ে ছুটি নিয়েছেন। এর ফলে উড়োজাহাজ  পরিষেবা বিলম্বিত হচ্ছে। অনেক ফ্লাইট  বাতিলও করতে হয়েছে। বিষয়টি বোঝার জন্য আমরা কেবিন ক্রুদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। দ্রুত সমস্যা সমাধান করে বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।' তিনি আরও বলেন, উড়োজাহাজ পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় আমাদের যাত্রীরা সমস্যায় পড়েছেন। আমরা যাত্রীদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। উড়োজাহাজ  বাতিলের কারণে সমস্যায় পড়া যাত্রীদের টিকিটের সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। কিংবা অন্যদিন যেতে চাইলে তার ব্যবস্থাও করা হবে।

এদিকে ফ্লাইট  বাতিলের কারণে সমস্যায় পড়া যাত্রীরা সমাজিকমাধ্যমে ক্ষোভ জানাচ্ছেন। তারপরই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। যাত্রী সুরক্ষা এবং পরিষেবা দেওয়ার ব্যাপারে দেশের বেসামরিক উড়োজাহাজ  পরিবহন নিয়ামক সংস্থা ডিজিসিএ'র (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন) যে নির্দেশের কথা বলা আছে তা মেনে চলার কথা এয়ার ইন্ডিয়াকে জানিয়েছে কেন্দ্র। এখন দেখার অপেক্ষা, কবে এই সমস্যার সমাধান হয়।