হজের প্রথম ফ্লাইট ৯ মে, এবারও নানা জটিলতা

#
news image

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এ বছর ঈদুল আজহা হতে পারে ১৬ জুন। হজযাত্রার খরচ বেড়ে যাওয়ায় পূরণ হচ্ছে না সৌদির দেওয়া হজের নির্ধারিত কোটা। এবার বাংলাদেশ থেকে হজ করতে যাবেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন।

হজের প্রথম ফ্লাইট হবে আগামী ৯ মে। আর হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন হবে ৮ মে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে হজ অফিস। গতবারের মতো এবারও হজযাত্রী পরিবহন করবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি আরবের সৌদি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স। বিমান ৫০ শতাংশ যাত্রী বহন করবে।

আগামী ২৯ এপ্রিলের মধ্যে সব হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। কোনো এজেন্সির অবহেলার কারণে কারও ভিসা না হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া কোনো হজযাত্রী হজে যেতে অপরাগ হলে হজ এজেন্সি সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ হজযাত্রী প্রতিস্থাপন করতে পারবে। ধর্ম মন্ত্রণালয় ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা গেছে, এবার হজযাত্রী কম। ফ্লাইটও কম হবে। হজযাত্রী পরিবহনের জন্য বিমানের বহরে থাকা বোয়িংয়ের ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে এবারও হজযাত্রীদের হজে যাওয়া নিয়ে নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে। হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) অভিযোগ করেছে, সৌদি আরবে হাজিদের জন্য এখনও বাড়ি ভাড়া করা হয়নি। কারণ ভিসা পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়ি ভাড়া করার ব্যাপারে হজ মিশন, দূতাবাস ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা মিলছে না। বাড়ি ভাড়া করা না গেলে হজ ভিসা করা যাবে না। এবার ২৮ হাজার হজযাত্রীর মুজদালিফায় যাওয়ার বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তারা শুধু মিনা ও আরাফাতে যেতে পারবেন।

হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, মুজদালিফায় হজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ থাকে, যা ওয়াজিব। এটি হাজিদের পালন করতে হয়। অথচ ২৮ হাজার হজযাত্রী মুজদালিফায় যেতে পারবেন না। তারা শুধু মিনা ও আরাফাতে যেতে পারবেন। এ বিষয়ে হজ মিশন ও মন্ত্রণালয়ের কোনো উদ্যোগ দেখছি না। হাব দেখতে চায়, হজ মিশন হাজিদের সমস্যার সমাধান করবে।

হাব সভাপতি বলেন, হজযাত্রীদের জন্য বাড়ি ভাড়া করার জন্য এজেন্সির প্রতিনিধিদের সৌদিতে যেতে হয়। তাদের সৌদির মাল্টিপল ভিজিট ভিসা দেওয়া হয়। হজ অফিসের পরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী এজেন্সিগুলো পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে ভিজিট ভিসার জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু মন্ত্রণালয় এখনও সেটি দিতে পারেনি।

গত বছর এই প্রক্রিয়া হাব করেছে। তারা দায়িত্ব নিয়েও যে পারছে না সেটিও জানায়নি। প্রতিনিধিরা সৌদি আরবে না গেলে বাড়ি ভাড়া সম্পন্ন হবে না। প্রতিনিধি ছাড়া বাড়ি ভাড়া করা যাবে না এবং বাড়ি ভাড়া করা না গেলে হজ ভিসা করা যাবে না। এখনও ফ্লাইট সূচি ঘোষণা করা হয়নি। ফ্লাইট সূচির সঙ্গে বাড়ি ভাড়ার একটা সম্পর্ক রয়েছে।

তিনি বলেন, মোনাজ্জেম ভিসা করে দেওয়ার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের। এটি করে দিতে না পারা তাদের ব্যর্থতা। নানা বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে একাধিক চিঠি দেওয়া হয়েছে। যথাসময়ে উদ্যোগ নিলে এমনটি হতো না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হজ অনুবিভাগের যুগ্মসচিব ড. মো. মঞ্জুরুল হক বলেন, হাব ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে। সৌদি আরব মোনাজ্জেম ভিসা দিচ্ছে না। ওমরাহ ভিসায় যেতে হবে। অধিকাংশ এজেন্সি এভাবে সৌদি গিয়ে কাজ করছে। এজেন্সিগুলো সৌদি অংশের টাকা এখনও জমা দেয়নি। হজ কার্যক্রম সফল করতে আমরা সারাক্ষণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। এজেন্সিগুলোর সঙ্গে প্রতিনিয়ত বৈঠক করছি। অনেক এজেন্সি সহযোগিতা করছে না। আজকেও ৩৫টি এজেন্সিকে শোকজ করা হয়েছে, চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা টাকা জমা দিচ্ছে না।

তিনি বলেন, ২৮ হাজার হাজির মুজদালিফায় যাওয়ার জন্য সৌদি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে এজেন্সিগুলো, মন্ত্রণালয় করেনি। সৌদির কাউন্সিলর এই সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন। আশা করি সমস্যা হবে না। হাব এদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয় না?

তিনি বলেন, আগামী ৯ জুন হজের প্রথম ফ্লাইট শুরু হবে। এবারও তিনটি এয়ারলাইন্স হজযাত্রী পরিবহন করবে। এবার হজে যাবেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন। এর বাইরে কারও যাওয়ার সুযোগ নেই।

রাজধানীর আশকোনা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান জানান, আগামী ৮ মে হজ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিম বলেন, ৯ মে শুরু হচ্ছে বিমানের হজ ফ্লাইট। এ উপলক্ষে বিমানের দক্ষ পাইলট, কেবিন ক্রুসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

হজ অনুবিভাগের তথ্যানুযায়ী, এ মৌসুমের হজের নিবন্ধন শুরু হয় গত বছর ১৫ নভেম্বর এবং ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে। হজে গমনেচ্ছুদের প্রত্যাশিত সাড়া না মেলায় সময় বাড়ানো হয় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তাতেও কোটার অর্ধেকও পূরণ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। প্রত্যাশিত কোটা পূরণ না হওয়ায় তৃতীয় দফায় ১ ফেব্রুয়ারি এবং সবশেষ ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। চতুর্থ দফায় সময় বাড়িয়েও ৪৪ হাজার ১৪টি কোটা খালি রেখে গত ৬ ফেব্রুয়ারি শেষ হয় হজ নিবন্ধন প্রক্রিয়া।

এবার সরকারি-বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৮৩ হাজার ১৮৪ জন হজযাত্রী। সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৪ হাজার ২৮৯ জন। আর বেসরকারিভাবে করেছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। এখনও কোটা খালি রয়েছে ৪৪ হাজার ১৪টি। এ বছর সৌদি আরব বাংলাদেশিদের জন্য ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮টি কোটা নির্ধারণ করে দিয়েছিল।

নাগরিক প্রতিবেদন

১৯ এপ্রিল, ২০২৪,  6:18 PM

news image

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এ বছর ঈদুল আজহা হতে পারে ১৬ জুন। হজযাত্রার খরচ বেড়ে যাওয়ায় পূরণ হচ্ছে না সৌদির দেওয়া হজের নির্ধারিত কোটা। এবার বাংলাদেশ থেকে হজ করতে যাবেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন।

হজের প্রথম ফ্লাইট হবে আগামী ৯ মে। আর হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন হবে ৮ মে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে হজ অফিস। গতবারের মতো এবারও হজযাত্রী পরিবহন করবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি আরবের সৌদি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স। বিমান ৫০ শতাংশ যাত্রী বহন করবে।

আগামী ২৯ এপ্রিলের মধ্যে সব হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। কোনো এজেন্সির অবহেলার কারণে কারও ভিসা না হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া কোনো হজযাত্রী হজে যেতে অপরাগ হলে হজ এজেন্সি সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ হজযাত্রী প্রতিস্থাপন করতে পারবে। ধর্ম মন্ত্রণালয় ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা গেছে, এবার হজযাত্রী কম। ফ্লাইটও কম হবে। হজযাত্রী পরিবহনের জন্য বিমানের বহরে থাকা বোয়িংয়ের ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে এবারও হজযাত্রীদের হজে যাওয়া নিয়ে নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে। হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) অভিযোগ করেছে, সৌদি আরবে হাজিদের জন্য এখনও বাড়ি ভাড়া করা হয়নি। কারণ ভিসা পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়ি ভাড়া করার ব্যাপারে হজ মিশন, দূতাবাস ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা মিলছে না। বাড়ি ভাড়া করা না গেলে হজ ভিসা করা যাবে না। এবার ২৮ হাজার হজযাত্রীর মুজদালিফায় যাওয়ার বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তারা শুধু মিনা ও আরাফাতে যেতে পারবেন।

হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, মুজদালিফায় হজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ থাকে, যা ওয়াজিব। এটি হাজিদের পালন করতে হয়। অথচ ২৮ হাজার হজযাত্রী মুজদালিফায় যেতে পারবেন না। তারা শুধু মিনা ও আরাফাতে যেতে পারবেন। এ বিষয়ে হজ মিশন ও মন্ত্রণালয়ের কোনো উদ্যোগ দেখছি না। হাব দেখতে চায়, হজ মিশন হাজিদের সমস্যার সমাধান করবে।

হাব সভাপতি বলেন, হজযাত্রীদের জন্য বাড়ি ভাড়া করার জন্য এজেন্সির প্রতিনিধিদের সৌদিতে যেতে হয়। তাদের সৌদির মাল্টিপল ভিজিট ভিসা দেওয়া হয়। হজ অফিসের পরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী এজেন্সিগুলো পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে ভিজিট ভিসার জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু মন্ত্রণালয় এখনও সেটি দিতে পারেনি।

গত বছর এই প্রক্রিয়া হাব করেছে। তারা দায়িত্ব নিয়েও যে পারছে না সেটিও জানায়নি। প্রতিনিধিরা সৌদি আরবে না গেলে বাড়ি ভাড়া সম্পন্ন হবে না। প্রতিনিধি ছাড়া বাড়ি ভাড়া করা যাবে না এবং বাড়ি ভাড়া করা না গেলে হজ ভিসা করা যাবে না। এখনও ফ্লাইট সূচি ঘোষণা করা হয়নি। ফ্লাইট সূচির সঙ্গে বাড়ি ভাড়ার একটা সম্পর্ক রয়েছে।

তিনি বলেন, মোনাজ্জেম ভিসা করে দেওয়ার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের। এটি করে দিতে না পারা তাদের ব্যর্থতা। নানা বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে একাধিক চিঠি দেওয়া হয়েছে। যথাসময়ে উদ্যোগ নিলে এমনটি হতো না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হজ অনুবিভাগের যুগ্মসচিব ড. মো. মঞ্জুরুল হক বলেন, হাব ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে। সৌদি আরব মোনাজ্জেম ভিসা দিচ্ছে না। ওমরাহ ভিসায় যেতে হবে। অধিকাংশ এজেন্সি এভাবে সৌদি গিয়ে কাজ করছে। এজেন্সিগুলো সৌদি অংশের টাকা এখনও জমা দেয়নি। হজ কার্যক্রম সফল করতে আমরা সারাক্ষণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। এজেন্সিগুলোর সঙ্গে প্রতিনিয়ত বৈঠক করছি। অনেক এজেন্সি সহযোগিতা করছে না। আজকেও ৩৫টি এজেন্সিকে শোকজ করা হয়েছে, চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা টাকা জমা দিচ্ছে না।

তিনি বলেন, ২৮ হাজার হাজির মুজদালিফায় যাওয়ার জন্য সৌদি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে এজেন্সিগুলো, মন্ত্রণালয় করেনি। সৌদির কাউন্সিলর এই সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন। আশা করি সমস্যা হবে না। হাব এদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয় না?

তিনি বলেন, আগামী ৯ জুন হজের প্রথম ফ্লাইট শুরু হবে। এবারও তিনটি এয়ারলাইন্স হজযাত্রী পরিবহন করবে। এবার হজে যাবেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন। এর বাইরে কারও যাওয়ার সুযোগ নেই।

রাজধানীর আশকোনা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান জানান, আগামী ৮ মে হজ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিম বলেন, ৯ মে শুরু হচ্ছে বিমানের হজ ফ্লাইট। এ উপলক্ষে বিমানের দক্ষ পাইলট, কেবিন ক্রুসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

হজ অনুবিভাগের তথ্যানুযায়ী, এ মৌসুমের হজের নিবন্ধন শুরু হয় গত বছর ১৫ নভেম্বর এবং ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে। হজে গমনেচ্ছুদের প্রত্যাশিত সাড়া না মেলায় সময় বাড়ানো হয় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তাতেও কোটার অর্ধেকও পূরণ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। প্রত্যাশিত কোটা পূরণ না হওয়ায় তৃতীয় দফায় ১ ফেব্রুয়ারি এবং সবশেষ ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। চতুর্থ দফায় সময় বাড়িয়েও ৪৪ হাজার ১৪টি কোটা খালি রেখে গত ৬ ফেব্রুয়ারি শেষ হয় হজ নিবন্ধন প্রক্রিয়া।

এবার সরকারি-বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৮৩ হাজার ১৮৪ জন হজযাত্রী। সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৪ হাজার ২৮৯ জন। আর বেসরকারিভাবে করেছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। এখনও কোটা খালি রয়েছে ৪৪ হাজার ১৪টি। এ বছর সৌদি আরব বাংলাদেশিদের জন্য ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮টি কোটা নির্ধারণ করে দিয়েছিল।