শিরোনামঃ
সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস উদযাপন লাল বেনারসিতে দ্যুতি ছড়ালেন সাদিয়া আয়মান ফেলানীর নামে গুলশানে সড়ক, সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে ‘ফেলানী এভিনিউ’ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে সরকার সব ব্যবস্থা নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা জুড়ীতে অবৈধ বালু উত্তোলন: দুটি নৌকা জব্দ  আসিফ ও মাহফুজ কোন দলে যোগ দিচ্ছেন? প্লাস্টিক সার্জারি নিয়ে কঠোর সমালোচনা করলেন কেট উইন্সলেট ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের পরই পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের আপিল শুনানি ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ১২ ফেব্রুয়ারি, তফসিল ঘোষণা করলেন সিইসি শীতে কোনটা ব্যবহার করবেন, গ্লিসারিন নাকি জেলি?

টানা ছুটিতেও শঙ্কায় কক্সবাজারের ব্যবসায়ীরা

#
news image

 প্রতিবছর ঈদের ছুটিতে পর্যটকে ভরপুর হয় কক্সবাজার। তবে, এবার ঈদ ও পহেলা বৈশাখ নিয়ে দেশ টানা ছুটি থাকলেও বিগত সময়ের মতো কক্সবাজারে হোটেল-মোটেলে আগাম বুকিং নেই। টানা ৬ দিন ছুটিতে কেবল ১২ ও ১৩ এপ্রিল বুকিং ৮০-৯০ শতাংশ হলেও বাকি দিনগুলো উল্লেখ করার মতো বুকিং নেই। এ সময়টাতে ছাড় দিয়েও বুকিং আশানুরূপ পাচ্ছে না বলে দাবি হোটেল কর্তৃপক্ষের।

কক্সবাজার হোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, প্রতি বছর ঈদ ও দিবস ভিত্তিক ছুটিতে লাখো পর্যটকে সরগরম হয় কক্সবাজার। এবারো আমাদের আশা আগের মতোই পর্যটক সমাগম হবে। কিন্তু চৈত্রের দাবদাহে পুড়ছে সারা দেশ। এ কারণে, আশানুরূপ পর্যটক আসবে কি না- সন্দেহ রয়েছে।

তবে, পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন ঈদের আগেই হয়তো আরও কিছু বুকিং হতে পারে। এ অবস্থা চললে এবারের ঈদে ব্যবসা মন্দা হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। অতীতের মতো পর্যটকদের নিরাপত্তায় সবধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। আর পর্যটক হয়রানি বন্ধে ভ্রম্যমান আদালত পরিচালনার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

এদিকে ঈদের ছুটিতে আসা পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে সাজাতে ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা। হোটেলের ভেতর-বাহিরে রং ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ সব দিকে খেয়াল রাখছেন কর্তৃপক্ষ। কক্সবাজার হোটেল, গেস্ট হাউজ ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম নেওয়াজ বলেন, বিগত সময়গুলোতে রোজার ১৫ দিনের মধ্যে হোটেলের ৬০ ভাগ কক্ষ বুকিং হতো। এবারে চৈত্রের দাবদাহের কারণে সেই পারসেন্টিস কম। তারপরও আমরা আশাবাদী ব্যবসা ভাল হবে। পর্যটকদের পরিচ্ছন্ন আবহ দিতে হোটেল-মোটেলগুলোকে পরিষ্কার করা হচ্ছে। তবে, বিগত সময়ের হিসেবে করলে এবারে ঈদের মৌসুমে তেমন একটা ব্যবসা নাও হতে পারে।

তারকা হোটেল ওশান প্যারাডাইসের বিপনন ইনচার্জ ইমতিয়াজ সোমেল বলেন, ঈদ বলে নয়, আমরা সব সময় পর্যটকদের সেবা দিতে প্রস্তুত থাকি। তবে এবারের ঈদের আগে পরে প্রায় ১০ দিনের ছুটি থাকলেও ব্যবসা হতে পারে মাত্র ৪ দিন। এখনো হোটেল কক্ষের তেমন বুকিং না হলেও ১২ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল ৩ দিন ৯০শতাংশ বুকিং রয়েছে আমাদের।

ওশান প্যারাডাইসের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, এবার বাংলা নববর্ষও ঈদের ছুটির পর পরই পড়েছে। করোনা ও রোজার মাঝে পড়ায় গত কয়েক বছর বাংলা নববর্ষ বরণে অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। কিন্তু এবার পুরোনো ঐতিহ্য ধরে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে পহেলা বৈশাখ থেকে তিনদিনের মেলার আয়োজন করছে ওশান প্যারাডাইস কর্তৃপক্ষ। বাঙালিয়ানা ষোলআনা পূর্ণ করতে জলের গান ব্যান্ডদলসহ নানা আয়োজন থাকছে মেলায়।

হোটেল দি সী প্রিন্সেস’র ম্যানেজার মাজেদুল বশর চৌধুরী সুজন বলেন, ঈদের সময়ও রুম ভাড়ায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেয়া হয়েছে। এরপরও পুরো বন্ধ জুড়ে শতভাগ বুকিং নেই। ঈদের পরদিন শুক্রবার থেকে দুদিন শতভাগ বুকিং রয়েছে। অন্য দিনগুলোতে বুকিং তেমন না থাকায় ধারণা করছি এবারের ঈদে আগের মতো ব্যবসা হবে না।

এদিকে, পর্যটকের নিরাপত্তায় কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, পর্যটকের সেবা নিশ্চিত ও নিরাপত্তায় সচেষ্ট রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে বৈঠক হয়েছে। আগত অতিথিদের ভালো অনুভূতি দিতে প্রস্তুত সবাই। পর্যটন স্পটগুলো এবং সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে পোশাকধারীদের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা থাকবে। সবজায়গায় থাকবে মনিটরিং।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, পর্যটকদের হয়রানি বন্ধে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া আছে জেলা প্রশাসনের। কোন হোটেলে অতিরিক্ত ভাড়া কিংবা চালকের হাতে হয়রানির অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নাগরিক প্রতিবেদন

১০ এপ্রিল, ২০২৪,  3:48 PM

news image

 প্রতিবছর ঈদের ছুটিতে পর্যটকে ভরপুর হয় কক্সবাজার। তবে, এবার ঈদ ও পহেলা বৈশাখ নিয়ে দেশ টানা ছুটি থাকলেও বিগত সময়ের মতো কক্সবাজারে হোটেল-মোটেলে আগাম বুকিং নেই। টানা ৬ দিন ছুটিতে কেবল ১২ ও ১৩ এপ্রিল বুকিং ৮০-৯০ শতাংশ হলেও বাকি দিনগুলো উল্লেখ করার মতো বুকিং নেই। এ সময়টাতে ছাড় দিয়েও বুকিং আশানুরূপ পাচ্ছে না বলে দাবি হোটেল কর্তৃপক্ষের।

কক্সবাজার হোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, প্রতি বছর ঈদ ও দিবস ভিত্তিক ছুটিতে লাখো পর্যটকে সরগরম হয় কক্সবাজার। এবারো আমাদের আশা আগের মতোই পর্যটক সমাগম হবে। কিন্তু চৈত্রের দাবদাহে পুড়ছে সারা দেশ। এ কারণে, আশানুরূপ পর্যটক আসবে কি না- সন্দেহ রয়েছে।

তবে, পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন ঈদের আগেই হয়তো আরও কিছু বুকিং হতে পারে। এ অবস্থা চললে এবারের ঈদে ব্যবসা মন্দা হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। অতীতের মতো পর্যটকদের নিরাপত্তায় সবধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। আর পর্যটক হয়রানি বন্ধে ভ্রম্যমান আদালত পরিচালনার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

এদিকে ঈদের ছুটিতে আসা পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে সাজাতে ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা। হোটেলের ভেতর-বাহিরে রং ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ সব দিকে খেয়াল রাখছেন কর্তৃপক্ষ। কক্সবাজার হোটেল, গেস্ট হাউজ ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম নেওয়াজ বলেন, বিগত সময়গুলোতে রোজার ১৫ দিনের মধ্যে হোটেলের ৬০ ভাগ কক্ষ বুকিং হতো। এবারে চৈত্রের দাবদাহের কারণে সেই পারসেন্টিস কম। তারপরও আমরা আশাবাদী ব্যবসা ভাল হবে। পর্যটকদের পরিচ্ছন্ন আবহ দিতে হোটেল-মোটেলগুলোকে পরিষ্কার করা হচ্ছে। তবে, বিগত সময়ের হিসেবে করলে এবারে ঈদের মৌসুমে তেমন একটা ব্যবসা নাও হতে পারে।

তারকা হোটেল ওশান প্যারাডাইসের বিপনন ইনচার্জ ইমতিয়াজ সোমেল বলেন, ঈদ বলে নয়, আমরা সব সময় পর্যটকদের সেবা দিতে প্রস্তুত থাকি। তবে এবারের ঈদের আগে পরে প্রায় ১০ দিনের ছুটি থাকলেও ব্যবসা হতে পারে মাত্র ৪ দিন। এখনো হোটেল কক্ষের তেমন বুকিং না হলেও ১২ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল ৩ দিন ৯০শতাংশ বুকিং রয়েছে আমাদের।

ওশান প্যারাডাইসের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, এবার বাংলা নববর্ষও ঈদের ছুটির পর পরই পড়েছে। করোনা ও রোজার মাঝে পড়ায় গত কয়েক বছর বাংলা নববর্ষ বরণে অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। কিন্তু এবার পুরোনো ঐতিহ্য ধরে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে পহেলা বৈশাখ থেকে তিনদিনের মেলার আয়োজন করছে ওশান প্যারাডাইস কর্তৃপক্ষ। বাঙালিয়ানা ষোলআনা পূর্ণ করতে জলের গান ব্যান্ডদলসহ নানা আয়োজন থাকছে মেলায়।

হোটেল দি সী প্রিন্সেস’র ম্যানেজার মাজেদুল বশর চৌধুরী সুজন বলেন, ঈদের সময়ও রুম ভাড়ায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেয়া হয়েছে। এরপরও পুরো বন্ধ জুড়ে শতভাগ বুকিং নেই। ঈদের পরদিন শুক্রবার থেকে দুদিন শতভাগ বুকিং রয়েছে। অন্য দিনগুলোতে বুকিং তেমন না থাকায় ধারণা করছি এবারের ঈদে আগের মতো ব্যবসা হবে না।

এদিকে, পর্যটকের নিরাপত্তায় কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, পর্যটকের সেবা নিশ্চিত ও নিরাপত্তায় সচেষ্ট রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে বৈঠক হয়েছে। আগত অতিথিদের ভালো অনুভূতি দিতে প্রস্তুত সবাই। পর্যটন স্পটগুলো এবং সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে পোশাকধারীদের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা থাকবে। সবজায়গায় থাকবে মনিটরিং।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, পর্যটকদের হয়রানি বন্ধে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া আছে জেলা প্রশাসনের। কোন হোটেলে অতিরিক্ত ভাড়া কিংবা চালকের হাতে হয়রানির অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।