চন্দ্রনাথ পাহাড় ঘিরে উসকানির অভিযোগ, কঠোর নজরদারির নির্দেশ

#
news image

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী তীর্থস্থান চন্দ্রনাথ পাহাড় ঘিরে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। এ ধরনের যেকোনো কার্যক্রম দেখামাত্র ব্যবস্থা নিতে মাঠ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা।

বুধবার (২৭ আগস্ট) সকালে ঢাকার রেলভবনে চন্দ্রনাথধাম (কাঞ্চননাথ–চন্দ্রনাথ–আদিনাথ) শ্রাইন কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এবং ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন।

শ্রাইন কমিটির নেতারা বৈঠকে জানান, গত পাঁচ বছর ধরে পাহাড় ঘিরে নানা উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড চলছে। এতে ধর্মীয় সম্প্রীতির পরিবেশ বিনষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে। এর আগে ১৫ আগস্ট ঢাকার ব্যবসায়ী এম এম সাইফুল ইসলাম চন্দ্রনাথ পাহাড় ভ্রমণের পর ফেসবুকে একটি পোস্টে মসজিদ নির্মাণের ইঙ্গিত দেন। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক মাধ্যমে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় প্রশাসন তদন্ত করে জানায়, সেখানে কোনো মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি এবং এ ধরনের খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

বৈঠক থেকেই উপদেষ্টারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে বিশেষ নজরদারির নির্দেশ দেন। রেল উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, “চন্দ্রনাথ মন্দিরের সঙ্গে দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয় এমন কোনো উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না। কোনো ধরনের উসকানির চিহ্ন দেখলে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেন, “অন্য ধর্মের স্থাপনায় হামলা কোনোভাবেই ধর্মীয় কাজ নয়, বরং অপরাধ। ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ন্যায্য দাবি–দাওয়া হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে সরকারের কাছে পাঠানোর আহ্বান জানান।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, “ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি নির্বিশেষে অন্তর্বর্তী সরকার সবার জন্য বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে কাজ করছে।”

বৈঠকে শ্রাইন কমিটির সভাপতি অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য পাহাড়ে মন্দিরগামী সিঁড়ির বেহাল দশার কথা তুলে ধরেন। দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি। এ সময় উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ফোন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

নাগরিক সংবাদ অনলাইন

২৭ আগস্ট, ২০২৫,  10:19 PM

news image

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী তীর্থস্থান চন্দ্রনাথ পাহাড় ঘিরে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। এ ধরনের যেকোনো কার্যক্রম দেখামাত্র ব্যবস্থা নিতে মাঠ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা।

বুধবার (২৭ আগস্ট) সকালে ঢাকার রেলভবনে চন্দ্রনাথধাম (কাঞ্চননাথ–চন্দ্রনাথ–আদিনাথ) শ্রাইন কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এবং ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন।

শ্রাইন কমিটির নেতারা বৈঠকে জানান, গত পাঁচ বছর ধরে পাহাড় ঘিরে নানা উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড চলছে। এতে ধর্মীয় সম্প্রীতির পরিবেশ বিনষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে। এর আগে ১৫ আগস্ট ঢাকার ব্যবসায়ী এম এম সাইফুল ইসলাম চন্দ্রনাথ পাহাড় ভ্রমণের পর ফেসবুকে একটি পোস্টে মসজিদ নির্মাণের ইঙ্গিত দেন। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক মাধ্যমে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় প্রশাসন তদন্ত করে জানায়, সেখানে কোনো মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি এবং এ ধরনের খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

বৈঠক থেকেই উপদেষ্টারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে বিশেষ নজরদারির নির্দেশ দেন। রেল উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, “চন্দ্রনাথ মন্দিরের সঙ্গে দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয় এমন কোনো উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না। কোনো ধরনের উসকানির চিহ্ন দেখলে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেন, “অন্য ধর্মের স্থাপনায় হামলা কোনোভাবেই ধর্মীয় কাজ নয়, বরং অপরাধ। ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ন্যায্য দাবি–দাওয়া হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে সরকারের কাছে পাঠানোর আহ্বান জানান।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, “ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি নির্বিশেষে অন্তর্বর্তী সরকার সবার জন্য বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে কাজ করছে।”

বৈঠকে শ্রাইন কমিটির সভাপতি অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য পাহাড়ে মন্দিরগামী সিঁড়ির বেহাল দশার কথা তুলে ধরেন। দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি। এ সময় উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ফোন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।