দৌলতপুর থানার ওসির অপসারনের দাবিতে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিবাদ সমাবেশ

#
news image

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের অপসারনের দাবিতে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টায় দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়।

দৌলতপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সেকেন্দার আলীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা জান মহম্মদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান ও ওয়াকার্স পাটির নেতা কমরেড ফজলুল হক বুলবুল। তবে মানববন্ধন কর্মসূচী স্থগিত করা হয়েছে।

প্রতিবাদ সমাবেশের সভাপতি ও দৌলতপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সেকেন্দার আলী তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, দৌলতপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে অসাদাচারন, দূর্ব্যবহার ও তুচ্ছ তাচ্ছিল্ল করার ঘটনাটি কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের এমপি আলহাজ্ব রেজাউল হক চৌধুরী প্রশাসনের উচ্চ মহলকে অবগত করেছেন।

ওসি রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা। তাই দৌলতপুরের অভিভাবক এমপি আলহাজ্ব রেজাউল হক চৌধুরী নির্দেশে মানববন্ধন কর্মসূচী স্থগিত করা হলো।

তবে ওসি রফিকুল ইসলামের অপসারন সহ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন। সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশে দৌলতপুরের সর্বস্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতী নাতনী এবং দৌলতপুর উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক সংগঠনের সদস্যবৃন্দ অংশ নেয়।

উল্লেখ্য, স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মসলেম উদ্দিনকে সন্ত্রাসীরা দিনে দুপুরে মারপিট করে। তার বিচার চেয়ে দৌলতপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সেকেন্দার আলীসহ ৭-৮জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসি রফিকুলের দপ্তরে যান। দৌলতপুর থানায় তার অফিস রুমে প্রবেশ করে তারা দেখতে পান ওসি রফিকুল ইসলাম চেয়ারের উপর পা রেখে সিগারেট টানছেন। বসতে না বলা সত্বেও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ চেয়ারে বসেন।

অনেক্ষণ বসে থাকার পর এক পর্যায়ে তার কাছে বিষয়টি খুলে বলার চেষ্টা করলে তিনি (ওসি) হাতে সিগারেট টানতে টানতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে দূর্ব্যবহার, অসাদাচারণ ও তুচ্ছ তাচ্ছিল করে তার অফিস থেকে চলে যেতে বলেন এবং কোর্টে বিচার চাইতে উপদেশ দেন।

এতে চরমভাবে অপমানিত বোধ করেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। তাই এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তসহ ওসি রফিকুল ইসলামের অবিলম্বে অপসারনের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ আহ্বান করা হয়।

মোঃ জিয়াউর রহমান, কুষ্টিয়া

০৮ এপ্রিল, ২০২৪,  5:20 PM

news image

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের অপসারনের দাবিতে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টায় দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়।

দৌলতপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সেকেন্দার আলীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা জান মহম্মদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান ও ওয়াকার্স পাটির নেতা কমরেড ফজলুল হক বুলবুল। তবে মানববন্ধন কর্মসূচী স্থগিত করা হয়েছে।

প্রতিবাদ সমাবেশের সভাপতি ও দৌলতপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সেকেন্দার আলী তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, দৌলতপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে অসাদাচারন, দূর্ব্যবহার ও তুচ্ছ তাচ্ছিল্ল করার ঘটনাটি কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের এমপি আলহাজ্ব রেজাউল হক চৌধুরী প্রশাসনের উচ্চ মহলকে অবগত করেছেন।

ওসি রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা। তাই দৌলতপুরের অভিভাবক এমপি আলহাজ্ব রেজাউল হক চৌধুরী নির্দেশে মানববন্ধন কর্মসূচী স্থগিত করা হলো।

তবে ওসি রফিকুল ইসলামের অপসারন সহ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন। সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশে দৌলতপুরের সর্বস্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতী নাতনী এবং দৌলতপুর উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক সংগঠনের সদস্যবৃন্দ অংশ নেয়।

উল্লেখ্য, স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মসলেম উদ্দিনকে সন্ত্রাসীরা দিনে দুপুরে মারপিট করে। তার বিচার চেয়ে দৌলতপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সেকেন্দার আলীসহ ৭-৮জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসি রফিকুলের দপ্তরে যান। দৌলতপুর থানায় তার অফিস রুমে প্রবেশ করে তারা দেখতে পান ওসি রফিকুল ইসলাম চেয়ারের উপর পা রেখে সিগারেট টানছেন। বসতে না বলা সত্বেও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ চেয়ারে বসেন।

অনেক্ষণ বসে থাকার পর এক পর্যায়ে তার কাছে বিষয়টি খুলে বলার চেষ্টা করলে তিনি (ওসি) হাতে সিগারেট টানতে টানতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে দূর্ব্যবহার, অসাদাচারণ ও তুচ্ছ তাচ্ছিল করে তার অফিস থেকে চলে যেতে বলেন এবং কোর্টে বিচার চাইতে উপদেশ দেন।

এতে চরমভাবে অপমানিত বোধ করেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। তাই এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তসহ ওসি রফিকুল ইসলামের অবিলম্বে অপসারনের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ আহ্বান করা হয়।