শিরোনামঃ
সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস উদযাপন লাল বেনারসিতে দ্যুতি ছড়ালেন সাদিয়া আয়মান ফেলানীর নামে গুলশানে সড়ক, সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে ‘ফেলানী এভিনিউ’ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে সরকার সব ব্যবস্থা নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা জুড়ীতে অবৈধ বালু উত্তোলন: দুটি নৌকা জব্দ  আসিফ ও মাহফুজ কোন দলে যোগ দিচ্ছেন? প্লাস্টিক সার্জারি নিয়ে কঠোর সমালোচনা করলেন কেট উইন্সলেট ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের পরই পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের আপিল শুনানি ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ১২ ফেব্রুয়ারি, তফসিল ঘোষণা করলেন সিইসি শীতে কোনটা ব্যবহার করবেন, গ্লিসারিন নাকি জেলি?

আকাশপথে ঈদযাত্রা -টিকেটের দাম দ্বিগুণ

#
news image

সড়কপথে যানজট ও দীর্ঘ সময় লাগার কারণে দিন দিন বাড়ছে আকাশপথে ভ্রমণের চাহিদা। ঈদের সময় সড়ক ও নৌপথে মানুষের চাপ খুব বেশি হয়। ফলে যানজটও দীর্ঘতর হয়। এজন্য ঈদের সময় আকাশপথে ভ্রমণের চাহিদা আরও বাড়বে। একটু সচ্ছল মানুষেরা চান ঝঞ্ঝাট এড়িয়ে পরিবার নিয়ে খুব সহজেই নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে। এবার ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ ১০ অথবা ১১ এপ্রিল। সেই হিসাবে বিমানের টিকেট প্রত্যাশীরা বেশিরভাগই ৫, ৬, ৭ ও ৮ এপ্রিলের টিকেট খুঁজছেন। এদিকে ২৫ রোজা বা ৬ এপ্রিল থেকে ঈদের দিন পর্যন্ত আকাশপথে অভ্যন্তরীণ রুটের টিকেট প্রায় শেষ।

দেশে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, ইউএস-বাংলা, নভোএয়ার ও এয়ার অ্যাস্ট্রা অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী পরিবহন করে। এ ৪টি এয়ারলাইনসের ঈদে বাড়ি যাওয়ার টিকেট প্রায় ৮০ শতাংশ শেষ হয়ে গেছে। ঈদের পরে ফিরতি টিকেটও ৫০ শতাংশের বেশি বিক্রি হয়ে গেছে। স্বল্পমূল্যের টিকেট আগেই বিক্রি হয়ে যাওয়ায় এবং চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় টিকেটের দামও বেড়েছে। এবার ঢাকা থেকে যশোর, সৈয়দপুর, বরিশাল ও রাজশাহী রুটের টিকেটের চাহিদা বেশি। এ ছাড়া ঈদের দিন থেকে কয়েকদিন পর্যন্ত কক্সবাজারের চাহিদা বেশি। এয়ারলাইনসগুলোর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

এয়ারলাইনসগুলো বলছে, প্রতি বছরের নির্ধারিত সূচির বাইরেও যাত্রীদের চাপের মুখে ঈদের আগে আগে বাড়তি ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ পায় এয়ারলাইনসগুলো। এবারও তেমন প্রস্তুতি রয়েছে। কিন্তু এখনও সেরকম চাহিদা তৈরি হয়নি। হলে ফ্লাইট বাড়ানো হবে। এবার ২৫ রোজা থেকে যশোর, সৈয়দপুর ও রাজশাহী রুটে টিকেটের চাহিদা বেশি। আর ঈদের দিন থেকে কক্সবাজারে টিকেটের চাহিদা বেশি দেখা যাচ্ছে। ধীরে ধীরে এই চাহিদা বাড়ছে। তবে লম্বা ছুটি ও স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বরাবরের চেয়ে চাহিদা কম হতে পারে। কারণ অনেকেই ভোগান্তি এড়াতে আগেভাগে ঢাকা ছাড়বেন।

ইউএস-বাংলা বলছে, তারা প্রতিদিন অভ্যন্তরীণ রুটের বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া এবং আসার জন্য ৩০টি করে ফ্লাইট পরিচালনা করে। তাদের ২৫ রোজা থেকে ঈদের দিন পর্যন্ত ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার টিকেট ৮০ শতাংশ বিক্রি হয়ে যাবে। আর ঈদের পর বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকায় ফেরার টিকেট ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ বিক্রি হয়ে গেছে। আগামী ২-৪ দিনে সব টিকেট বিক্রি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

নভোএয়ার বলছে, তারা বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া আসা মিলিয়ে ৩০টি ফ্লাইট পরিচালনা করে। ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার ৭০ শতাংশ টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে।

এয়ার অ্যাস্ট্রা বলছে, তারা প্রতিদিন বিভিন্ন গন্তব্যে ২৪ থেকে ২৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করে। তাদের টিকেটও শেষের পথে। এ ছাড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের টিকেটেরও চাহিদা রয়েছে। তাদের টিকেটও প্রায় ৫০ শতাংশ বিক্রি হয়ে গেছে। ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে সড়ক ও জলপথের মতো আকাশপথের টিকেটও বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়, এমন অভিযোগ ভ্রমণকারীদের। চার হাজার টাকার টিকেট আট হাজার টাকা দিয়েও কিনতে হয়।

এয়ারলাইনসগুলো বলছে, চাহিদা ও সরবরাহে ঘাটতি থাকায় দাম বাড়ে টিকেটের। চাহিদা বেশি থাকায় ঢাকা থেকে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন রুটে বিমানের টিকেটের দাম হয়ে যায় দ্বিগুণ। এ বিষয়ে নভোএয়ারের সেলস এক্সিকিউটিভ মেসবাহ-উল ইসলাম সময়ের আলোকে বলেন, এয়ারলাইনসের টিকেটের দাম বেশি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অনেকেই জানেন না, তাই অভিযোগ করেন। সব এয়ারলাইনসের টিকেট অনলাইন সিস্টেমে দেওয়া থাকে। টিকেটের চাহিদার ওপর দাম নির্ভর করে। যিনি আগে কেনেন তিনি বেসপ্রাইসে কিনতে পারেন। চাহিদা বাড়তে থাকলে ধীরে ধীরে টিকেটের দামও অটোমেটিক বাড়তে থাকে। একটি ফ্লাইটের ৮০ শতাংশ টিকেট বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর একই টিকেট দ্বিগুণ দাম দিয়েও কিনতে হতে পারে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল ইসলাম সময়ের আলোকে বলেন, এরই মধ্যে ২৫ রোজা থেকে ঈদের দিনের ৮০ শতাংশ টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। টিকেটের চাহিদা বাড়ছে। বাকিগুলো শিগগিরই বিক্রি হয়ে যাবে। বেশি চাহিদা থাকলে ফ্লাইট বাড়ানো হবে। শেষ দিকে এসে টিকেট কিনতে চাইলে ভ্রমণকারীকে বাড়তি কিছু টাকা খরচ করতে হবে।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলেন, দিন দিন মানুষের রুচির পরিবর্তন হচ্ছে। আকাশপথে যাত্রী বৃদ্ধি তার প্রমাণ। যাদের হাতে একটু টাকা আছে তারা এখন আর দীর্ঘ যানজট ও ভোগান্তি পোহাতে চান না। তারা চান খুব সহজে যেন ঈদে বা অন্য সময় বাড়ি ফেরা যায়। এজন্য আকাশপথকেই বেছে নেন তারা। ঈদের সময় চাহিদা থাকায় টিকেটের দাম কিছুটা বেড়ে যায়। এজন্য পরিকল্পনা আগে করে আগেই টিকেট কেটে নিয়ে এ সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

নাগরিক প্রতিবেদন

২৮ মার্চ, ২০২৪,  5:17 PM

news image

সড়কপথে যানজট ও দীর্ঘ সময় লাগার কারণে দিন দিন বাড়ছে আকাশপথে ভ্রমণের চাহিদা। ঈদের সময় সড়ক ও নৌপথে মানুষের চাপ খুব বেশি হয়। ফলে যানজটও দীর্ঘতর হয়। এজন্য ঈদের সময় আকাশপথে ভ্রমণের চাহিদা আরও বাড়বে। একটু সচ্ছল মানুষেরা চান ঝঞ্ঝাট এড়িয়ে পরিবার নিয়ে খুব সহজেই নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে। এবার ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ ১০ অথবা ১১ এপ্রিল। সেই হিসাবে বিমানের টিকেট প্রত্যাশীরা বেশিরভাগই ৫, ৬, ৭ ও ৮ এপ্রিলের টিকেট খুঁজছেন। এদিকে ২৫ রোজা বা ৬ এপ্রিল থেকে ঈদের দিন পর্যন্ত আকাশপথে অভ্যন্তরীণ রুটের টিকেট প্রায় শেষ।

দেশে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, ইউএস-বাংলা, নভোএয়ার ও এয়ার অ্যাস্ট্রা অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী পরিবহন করে। এ ৪টি এয়ারলাইনসের ঈদে বাড়ি যাওয়ার টিকেট প্রায় ৮০ শতাংশ শেষ হয়ে গেছে। ঈদের পরে ফিরতি টিকেটও ৫০ শতাংশের বেশি বিক্রি হয়ে গেছে। স্বল্পমূল্যের টিকেট আগেই বিক্রি হয়ে যাওয়ায় এবং চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় টিকেটের দামও বেড়েছে। এবার ঢাকা থেকে যশোর, সৈয়দপুর, বরিশাল ও রাজশাহী রুটের টিকেটের চাহিদা বেশি। এ ছাড়া ঈদের দিন থেকে কয়েকদিন পর্যন্ত কক্সবাজারের চাহিদা বেশি। এয়ারলাইনসগুলোর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

এয়ারলাইনসগুলো বলছে, প্রতি বছরের নির্ধারিত সূচির বাইরেও যাত্রীদের চাপের মুখে ঈদের আগে আগে বাড়তি ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ পায় এয়ারলাইনসগুলো। এবারও তেমন প্রস্তুতি রয়েছে। কিন্তু এখনও সেরকম চাহিদা তৈরি হয়নি। হলে ফ্লাইট বাড়ানো হবে। এবার ২৫ রোজা থেকে যশোর, সৈয়দপুর ও রাজশাহী রুটে টিকেটের চাহিদা বেশি। আর ঈদের দিন থেকে কক্সবাজারে টিকেটের চাহিদা বেশি দেখা যাচ্ছে। ধীরে ধীরে এই চাহিদা বাড়ছে। তবে লম্বা ছুটি ও স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বরাবরের চেয়ে চাহিদা কম হতে পারে। কারণ অনেকেই ভোগান্তি এড়াতে আগেভাগে ঢাকা ছাড়বেন।

ইউএস-বাংলা বলছে, তারা প্রতিদিন অভ্যন্তরীণ রুটের বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া এবং আসার জন্য ৩০টি করে ফ্লাইট পরিচালনা করে। তাদের ২৫ রোজা থেকে ঈদের দিন পর্যন্ত ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার টিকেট ৮০ শতাংশ বিক্রি হয়ে যাবে। আর ঈদের পর বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকায় ফেরার টিকেট ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ বিক্রি হয়ে গেছে। আগামী ২-৪ দিনে সব টিকেট বিক্রি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

নভোএয়ার বলছে, তারা বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া আসা মিলিয়ে ৩০টি ফ্লাইট পরিচালনা করে। ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার ৭০ শতাংশ টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে।

এয়ার অ্যাস্ট্রা বলছে, তারা প্রতিদিন বিভিন্ন গন্তব্যে ২৪ থেকে ২৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করে। তাদের টিকেটও শেষের পথে। এ ছাড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের টিকেটেরও চাহিদা রয়েছে। তাদের টিকেটও প্রায় ৫০ শতাংশ বিক্রি হয়ে গেছে। ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে সড়ক ও জলপথের মতো আকাশপথের টিকেটও বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়, এমন অভিযোগ ভ্রমণকারীদের। চার হাজার টাকার টিকেট আট হাজার টাকা দিয়েও কিনতে হয়।

এয়ারলাইনসগুলো বলছে, চাহিদা ও সরবরাহে ঘাটতি থাকায় দাম বাড়ে টিকেটের। চাহিদা বেশি থাকায় ঢাকা থেকে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন রুটে বিমানের টিকেটের দাম হয়ে যায় দ্বিগুণ। এ বিষয়ে নভোএয়ারের সেলস এক্সিকিউটিভ মেসবাহ-উল ইসলাম সময়ের আলোকে বলেন, এয়ারলাইনসের টিকেটের দাম বেশি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অনেকেই জানেন না, তাই অভিযোগ করেন। সব এয়ারলাইনসের টিকেট অনলাইন সিস্টেমে দেওয়া থাকে। টিকেটের চাহিদার ওপর দাম নির্ভর করে। যিনি আগে কেনেন তিনি বেসপ্রাইসে কিনতে পারেন। চাহিদা বাড়তে থাকলে ধীরে ধীরে টিকেটের দামও অটোমেটিক বাড়তে থাকে। একটি ফ্লাইটের ৮০ শতাংশ টিকেট বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর একই টিকেট দ্বিগুণ দাম দিয়েও কিনতে হতে পারে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল ইসলাম সময়ের আলোকে বলেন, এরই মধ্যে ২৫ রোজা থেকে ঈদের দিনের ৮০ শতাংশ টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। টিকেটের চাহিদা বাড়ছে। বাকিগুলো শিগগিরই বিক্রি হয়ে যাবে। বেশি চাহিদা থাকলে ফ্লাইট বাড়ানো হবে। শেষ দিকে এসে টিকেট কিনতে চাইলে ভ্রমণকারীকে বাড়তি কিছু টাকা খরচ করতে হবে।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলেন, দিন দিন মানুষের রুচির পরিবর্তন হচ্ছে। আকাশপথে যাত্রী বৃদ্ধি তার প্রমাণ। যাদের হাতে একটু টাকা আছে তারা এখন আর দীর্ঘ যানজট ও ভোগান্তি পোহাতে চান না। তারা চান খুব সহজে যেন ঈদে বা অন্য সময় বাড়ি ফেরা যায়। এজন্য আকাশপথকেই বেছে নেন তারা। ঈদের সময় চাহিদা থাকায় টিকেটের দাম কিছুটা বেড়ে যায়। এজন্য পরিকল্পনা আগে করে আগেই টিকেট কেটে নিয়ে এ সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।