বৈশ্বিক এভিয়েশন খাত পুনরুদ্ধারের পূর্বাভাস

#
news image

কভিড-১৯ মহামারী সময়ে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়, তাতে সার্বিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ে বৈশ্বিক এভিয়েশন খাত। চাহিদার আলোকে উড়োজাহাজ যন্ত্রাংশের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেয়। এতে বিপাকে পড়েন করপোরেট উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও সরবরাহকারীরা। তবে সম্প্রতি সে খরা কাটিয়ে ওঠার পূর্বাভাস দিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। সিঙ্গাপুরভিত্তিক এভিয়েশন প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে সরবরাহ চেইনে এসব যন্ত্রাংশের ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে অন্তত আরো দুই বছর সময় লাগতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কভিডের পর ব্যক্তিগত ভ্রমণের চাহিদা বাড়ায় সরবরাহ চেইনে ব্যাঘাত এভিয়েশন খাতে পর্বতসম চাপ তৈরি করেছে, যা কাটিয়ে উঠতে হিমশিম খাচ্ছে উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। ইউরোপের উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, উড়োজাহাজের যন্ত্রাংশের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে লুফথানসা টেকনিকের মতো রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থাগুলোকে খুচরা যন্ত্রাংশ মজুদ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সরবরাহ চেইনের চাপ মোকাবেলায় বিশ্বের উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ মজুদ করলেও এ চাপ সামলে উঠতে আরো সময় লাগতে পারে বলে ধারণা খাতসংশ্লিষ্টদের।

বিশ্বব্যাপী ভ্রমণের চাহিদা বাড়ায় উড়োজাহাজের চাপও দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলোয় ভ্রমণে নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় এসব অঞ্চলে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন এভিয়েশন কোম্পানি তাদের উড়োজাহাজের সংখ্যা বাড়াতে মনোযোগী হয়েছে। বিশ্বের বড় কোম্পানিগুলো তাদের চাহিদার আলোকে উড়োজাহাজ না পাওয়ায় নিজেদের ব্যবসা ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। ফিলিপাইনের সাশ্রয়ী এয়ারলাইনস সেবু প্যাসিফিকের প্রধান নির্বাহী মাইকেল জুকস নতুন উড়োজাহাজ ক্রয়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘‌আগামী বছরের ডেলিভারি চুক্তির সময় থেকে নয় মাস পর উড়োজাহাজ পাওয়া যাবে।’

মহাকাশ অ্যারোস্পেস সাপ্লাই চেইন ফার্ম এএলএর প্রধান নির্বাহী রবার্তো তোনা বলেন, ‘‌রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে অ্যারোস্পেস তৈরির কাঁচামাল টাইটানিয়ামের ঘাটতি শুরু হয়েছে। এছাড়া ইনকোনেল ও ইস্পাতের মতো কাঁচামালের পাশাপাশি দক্ষ শ্রমিকেরও ঘাটতি রয়েছে।’তিনি আরো বলেন, ‘‌আমাদের একটি পণ্যের জন্য ৭২ সপ্তাহ সময় লাগছে, যা সাধারণত আমরা ৩৬-৪০ সপ্তাহের মধ্যে পেয়ে থাকি। আমি মনে করি, এটি আগের অবস্থায় ফিরে আসতে ১৮-২৪ মাস সময় লাগবে।’

মেইনটেন্যান্স ফার্ম ফার্স্ট এভিয়েশন সার্ভিসেসের চিফ অপারেশন অফিসার পল বোল্টন বলেন, ‘‌কিছু যন্ত্রাংশের দাম বেড়েছে। সাধারণভাবে ৩-৪ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি পেলেও, কিছু কিছু যন্ত্রাংশের দাম ২০-৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।’ বিবাস মেটালসের জোসেফ ইউন বলেন, ‘‌কিছু ধাতু ক্রয় করা কঠিন ও ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। কারণ বিভিন্ন দেশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে চাচ্ছে। ফলে ওই খাতে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ধাতুগুলো বেশি সরবরাহ হচ্ছে।’

নাগরিক ডেস্ক

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪,  2:41 PM

news image

কভিড-১৯ মহামারী সময়ে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়, তাতে সার্বিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ে বৈশ্বিক এভিয়েশন খাত। চাহিদার আলোকে উড়োজাহাজ যন্ত্রাংশের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেয়। এতে বিপাকে পড়েন করপোরেট উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও সরবরাহকারীরা। তবে সম্প্রতি সে খরা কাটিয়ে ওঠার পূর্বাভাস দিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। সিঙ্গাপুরভিত্তিক এভিয়েশন প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে সরবরাহ চেইনে এসব যন্ত্রাংশের ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে অন্তত আরো দুই বছর সময় লাগতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কভিডের পর ব্যক্তিগত ভ্রমণের চাহিদা বাড়ায় সরবরাহ চেইনে ব্যাঘাত এভিয়েশন খাতে পর্বতসম চাপ তৈরি করেছে, যা কাটিয়ে উঠতে হিমশিম খাচ্ছে উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। ইউরোপের উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, উড়োজাহাজের যন্ত্রাংশের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে লুফথানসা টেকনিকের মতো রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থাগুলোকে খুচরা যন্ত্রাংশ মজুদ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সরবরাহ চেইনের চাপ মোকাবেলায় বিশ্বের উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ মজুদ করলেও এ চাপ সামলে উঠতে আরো সময় লাগতে পারে বলে ধারণা খাতসংশ্লিষ্টদের।

বিশ্বব্যাপী ভ্রমণের চাহিদা বাড়ায় উড়োজাহাজের চাপও দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলোয় ভ্রমণে নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় এসব অঞ্চলে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন এভিয়েশন কোম্পানি তাদের উড়োজাহাজের সংখ্যা বাড়াতে মনোযোগী হয়েছে। বিশ্বের বড় কোম্পানিগুলো তাদের চাহিদার আলোকে উড়োজাহাজ না পাওয়ায় নিজেদের ব্যবসা ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। ফিলিপাইনের সাশ্রয়ী এয়ারলাইনস সেবু প্যাসিফিকের প্রধান নির্বাহী মাইকেল জুকস নতুন উড়োজাহাজ ক্রয়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘‌আগামী বছরের ডেলিভারি চুক্তির সময় থেকে নয় মাস পর উড়োজাহাজ পাওয়া যাবে।’

মহাকাশ অ্যারোস্পেস সাপ্লাই চেইন ফার্ম এএলএর প্রধান নির্বাহী রবার্তো তোনা বলেন, ‘‌রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে অ্যারোস্পেস তৈরির কাঁচামাল টাইটানিয়ামের ঘাটতি শুরু হয়েছে। এছাড়া ইনকোনেল ও ইস্পাতের মতো কাঁচামালের পাশাপাশি দক্ষ শ্রমিকেরও ঘাটতি রয়েছে।’তিনি আরো বলেন, ‘‌আমাদের একটি পণ্যের জন্য ৭২ সপ্তাহ সময় লাগছে, যা সাধারণত আমরা ৩৬-৪০ সপ্তাহের মধ্যে পেয়ে থাকি। আমি মনে করি, এটি আগের অবস্থায় ফিরে আসতে ১৮-২৪ মাস সময় লাগবে।’

মেইনটেন্যান্স ফার্ম ফার্স্ট এভিয়েশন সার্ভিসেসের চিফ অপারেশন অফিসার পল বোল্টন বলেন, ‘‌কিছু যন্ত্রাংশের দাম বেড়েছে। সাধারণভাবে ৩-৪ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি পেলেও, কিছু কিছু যন্ত্রাংশের দাম ২০-৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।’ বিবাস মেটালসের জোসেফ ইউন বলেন, ‘‌কিছু ধাতু ক্রয় করা কঠিন ও ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। কারণ বিভিন্ন দেশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে চাচ্ছে। ফলে ওই খাতে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ধাতুগুলো বেশি সরবরাহ হচ্ছে।’