রহস্যে ঘেরা এক পুতুল গ্রাম

#
news image

দূর থেকে দেখলে মনে হয় লোকজনে ভরপুর। কিন্তু কাছে গেলেই ধরা পড়ে অন্য দৃশ্য। দেখতে মানুষের মতো হলেও আসলে মানুষ নয়। মানুষের পোষাকে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি পুতল। ভর দুপুরেও ভয় ধরায় এই গ্রাম। মানুষ প্রায় নেই, গ্রাম জুড়ে শুধুই পুতুল। গ্রামটিতে মানুষের চেয়ে কাকতাড়ুয়ার সংখ্যা বেশি। পুতুলে ভরা জাপানের এই গ্রামটির নাম দেয়া হয়েছে স্কেয়ারক্রো গ্রাম। পুতুলগুলি কাকতাড়ুয়ার আকারে তৈরি করা হয়েছে বলেই জাপানের ইয়া উপত্যকায় নাগোরো গ্রামটির এই নাম দেয়া হয়েছে। শিকোকু দ্বীপপুঞ্জের এই গ্রামের একটি জাপানি নামও রয়েছে। স্থানীয়দের কাছে এই গ্রাম কাকাশি নো সাতো নামে পরিচিত।

এই গ্রামে কাকতাড়ুয়ার সংখ্যা দু’শোরও বেশি। গ্রামবাসীদের মতো প্রতিটি কাকতাড়ুয়ার নাম, লিঙ্গ, বয়স নির্ধারণ করে রেজিস্ট্রিতে লিখে রাখা আছে। কিন্তু এই কাকতাড়ুয়াদের জীবদ্দশা ৩ বছরের বেশি নয়। ৩ বছর পার হয়ে গেলেই তাকে গ্রামের বাইরে সরিয়ে দেয়া হয়। তার জায়গায় চলে আসে অন্য এক কাকতাড়ুয়া। এক একটি কাকতাড়ুয়ার দিকে তাকিয়ে থাকলে মনে হয় তারা যেন জীবন্ত। কেউ টেলিফোনের লাইন ঠিক করছে, কেউ আবার বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। কোথাও কোথাও আবার কাকতাড়ুয়ার দলকে আড্ডা মারতেও দেখা যায়।

জাপানে এমন এক ভুতুড়ে গ্রাম গড়ে ওঠার পেছনে এক মহিলার হাত রয়েছে। তার নাম সুকিমি আয়ানো। তিনি কাকতাড়ুয়াদের মা হিসাবে বেশি পরিচিত। নাগোরো গ্রামে জন্ম হলেও পড়াশুনার জন্য বাইরে ছিলেন সুকিমি। ২০০২ সালে আবার ওই গ্রামে ফিরে এসে দেখেন সেখানকার বাসিন্দা মাত্র ২৭ জন। আগে ওই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন ৩০০ জন।   এই ২৭ জনের মধ্যে যিনি কনিষ্ঠতম, তার বয়স ৫০ বছর। সুকিমি বলেন, নাগোরো ছেড়ে সবাই বাইরে চলে যাওয়ায় গ্রামটি যাতে ফাঁকা ফাঁকা না লাগে, তাই কাকতাড়ুয়া বানাতে শুরু করেন তিনি। ভাবেন সমস্ত গ্রামেই তার হাতের তৈরি কাকতাড়ুয়া দিয়ে ভরিয়ে দেবেন।

২০১৩ সালের মধ্যে মোট ৩৫০টি কাকতাড়ুয়া তৈরি করে ফেলেছিলেন সুকিমি। দূর থেকে এই কাকতাড়ুয়াগুলি দেখলে মনে হয় যেন গ্রামবাসীরাই গ্রামজুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম রোববার নাগোরো এলিমেন্টারি স্কুলের কাছে স্কেয়ারক্রো উৎসব হয়। প্রতি মাসের চতুর্থ বুধবার সুকিমি ওয়ার্কশপের আয়োজন করে|

নাগরিক অনলাইন ডেস্ক

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪,  5:05 PM

news image

দূর থেকে দেখলে মনে হয় লোকজনে ভরপুর। কিন্তু কাছে গেলেই ধরা পড়ে অন্য দৃশ্য। দেখতে মানুষের মতো হলেও আসলে মানুষ নয়। মানুষের পোষাকে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি পুতল। ভর দুপুরেও ভয় ধরায় এই গ্রাম। মানুষ প্রায় নেই, গ্রাম জুড়ে শুধুই পুতুল। গ্রামটিতে মানুষের চেয়ে কাকতাড়ুয়ার সংখ্যা বেশি। পুতুলে ভরা জাপানের এই গ্রামটির নাম দেয়া হয়েছে স্কেয়ারক্রো গ্রাম। পুতুলগুলি কাকতাড়ুয়ার আকারে তৈরি করা হয়েছে বলেই জাপানের ইয়া উপত্যকায় নাগোরো গ্রামটির এই নাম দেয়া হয়েছে। শিকোকু দ্বীপপুঞ্জের এই গ্রামের একটি জাপানি নামও রয়েছে। স্থানীয়দের কাছে এই গ্রাম কাকাশি নো সাতো নামে পরিচিত।

এই গ্রামে কাকতাড়ুয়ার সংখ্যা দু’শোরও বেশি। গ্রামবাসীদের মতো প্রতিটি কাকতাড়ুয়ার নাম, লিঙ্গ, বয়স নির্ধারণ করে রেজিস্ট্রিতে লিখে রাখা আছে। কিন্তু এই কাকতাড়ুয়াদের জীবদ্দশা ৩ বছরের বেশি নয়। ৩ বছর পার হয়ে গেলেই তাকে গ্রামের বাইরে সরিয়ে দেয়া হয়। তার জায়গায় চলে আসে অন্য এক কাকতাড়ুয়া। এক একটি কাকতাড়ুয়ার দিকে তাকিয়ে থাকলে মনে হয় তারা যেন জীবন্ত। কেউ টেলিফোনের লাইন ঠিক করছে, কেউ আবার বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। কোথাও কোথাও আবার কাকতাড়ুয়ার দলকে আড্ডা মারতেও দেখা যায়।

জাপানে এমন এক ভুতুড়ে গ্রাম গড়ে ওঠার পেছনে এক মহিলার হাত রয়েছে। তার নাম সুকিমি আয়ানো। তিনি কাকতাড়ুয়াদের মা হিসাবে বেশি পরিচিত। নাগোরো গ্রামে জন্ম হলেও পড়াশুনার জন্য বাইরে ছিলেন সুকিমি। ২০০২ সালে আবার ওই গ্রামে ফিরে এসে দেখেন সেখানকার বাসিন্দা মাত্র ২৭ জন। আগে ওই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন ৩০০ জন।   এই ২৭ জনের মধ্যে যিনি কনিষ্ঠতম, তার বয়স ৫০ বছর। সুকিমি বলেন, নাগোরো ছেড়ে সবাই বাইরে চলে যাওয়ায় গ্রামটি যাতে ফাঁকা ফাঁকা না লাগে, তাই কাকতাড়ুয়া বানাতে শুরু করেন তিনি। ভাবেন সমস্ত গ্রামেই তার হাতের তৈরি কাকতাড়ুয়া দিয়ে ভরিয়ে দেবেন।

২০১৩ সালের মধ্যে মোট ৩৫০টি কাকতাড়ুয়া তৈরি করে ফেলেছিলেন সুকিমি। দূর থেকে এই কাকতাড়ুয়াগুলি দেখলে মনে হয় যেন গ্রামবাসীরাই গ্রামজুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম রোববার নাগোরো এলিমেন্টারি স্কুলের কাছে স্কেয়ারক্রো উৎসব হয়। প্রতি মাসের চতুর্থ বুধবার সুকিমি ওয়ার্কশপের আয়োজন করে|