জাপানে ভূমিকম্প: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০০

#
news image

নতুন বছরের প্রথম দিনে জাপানে অনুভূত হওয়া শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০০ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও ২১০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছে বলে শনিবার স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। টোকিও-ভিত্তিক কিয়োডো নিউজ জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ওয়াজিমার কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন প্রায় ১০০টি জায়গা রয়েছে যেখানে ক্ষতিগ্রস্তরা এখনও ভবনের নিচে আটকা পড়েছে এবং উদ্ধারের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার সকালেও উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে।

তবে এই অঞ্চলে রোববার  বৃষ্টি এবং তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, এতে উদ্ধার অভিযান ব্যহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। অনেক মানুষ এখনও ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকা পড়ে আছে কারণ অনুসন্ধান ও উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ ও কঠোর আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করছেন। বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, ইশিকাওয়া অঞ্চলের নোটো প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে। সেখানে শত শত বিল্ডিং আগুনে পুড়ে গেছে এবং ঘরবাড়ি মাটিতে মিশে গেছে। সেখানকার প্রায় ৩৪ হাজার পরিবার এখনও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে বলে স্থানীয় ইউটিলিটি সেবাদাতা সংস্থা জানিয়েছে। অনেক শহরে পানি সরবরাহও বন্ধ হয়ে গেছে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, জরুরি পরিষেবাগুলো বেঁচে যাওয়াদের উদ্ধারের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইশিকাওয়া প্রদেশে প্রায় ৩৩ হাজার লোককে প্রায় ৩৭০টি আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে, যা সবচেয়ে বেশি মানবিক ক্ষতি এবং অবকাঠামোগত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ১ জানুয়ারি ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে জাপান। পরে সেখানে সুনামি জারি করা হয়। সূত্র: আনাদোলুর

অনলাইন ডেক্স

০৬ জানুয়ারি, ২০২৪,  7:49 PM

news image

নতুন বছরের প্রথম দিনে জাপানে অনুভূত হওয়া শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০০ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও ২১০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছে বলে শনিবার স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। টোকিও-ভিত্তিক কিয়োডো নিউজ জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ওয়াজিমার কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন প্রায় ১০০টি জায়গা রয়েছে যেখানে ক্ষতিগ্রস্তরা এখনও ভবনের নিচে আটকা পড়েছে এবং উদ্ধারের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার সকালেও উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে।

তবে এই অঞ্চলে রোববার  বৃষ্টি এবং তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, এতে উদ্ধার অভিযান ব্যহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। অনেক মানুষ এখনও ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকা পড়ে আছে কারণ অনুসন্ধান ও উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ ও কঠোর আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করছেন। বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, ইশিকাওয়া অঞ্চলের নোটো প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে। সেখানে শত শত বিল্ডিং আগুনে পুড়ে গেছে এবং ঘরবাড়ি মাটিতে মিশে গেছে। সেখানকার প্রায় ৩৪ হাজার পরিবার এখনও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে বলে স্থানীয় ইউটিলিটি সেবাদাতা সংস্থা জানিয়েছে। অনেক শহরে পানি সরবরাহও বন্ধ হয়ে গেছে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, জরুরি পরিষেবাগুলো বেঁচে যাওয়াদের উদ্ধারের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইশিকাওয়া প্রদেশে প্রায় ৩৩ হাজার লোককে প্রায় ৩৭০টি আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে, যা সবচেয়ে বেশি মানবিক ক্ষতি এবং অবকাঠামোগত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ১ জানুয়ারি ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে জাপান। পরে সেখানে সুনামি জারি করা হয়। সূত্র: আনাদোলুর