শনাক্তের হার এক লাফে সাড়ে ৩ শতাংশ ছাড়াল

#
news image

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের লাফিয়ে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু না হলেও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। সারা দেশে আরও ১৪৯ জন শনাক্ত হয়েছেন, যা গতকাল (সোমবার) ছিল ১২৮ জনে। গত ২ জুন দেশে ২২ জন করোনা শনাক্ত হয়েছিল, এরপর টানা ১২ দিন ধরে এই সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ, যা গতকাল ছিল ১ দশমিক ৯১ শতাংশ।

তবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মারা যাওয়ার সংখ্যা ২৯ হাজার ১৩১ জন অপরিবর্তিত থাকল। আর এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৪০৫ জনে।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৫৬০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৪ হাজার ৫৫২টি নমুনা। পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

আর গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭৯ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫ হাজার ৪১৬ জন।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের। 

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। 

২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়। 

এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।

গত ২০ এপ্রিল করোনায় মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করে বাংলাদেশ। সম্প্রতি করোনায় মৃত্যু না হলেও আক্রান্তের সংখ্যা আগের চেয়ে বাড়ছে। 

প্রভাতী খবর ডেস্ক

১৪ জুন, ২০২২,  9:28 PM

news image

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের লাফিয়ে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু না হলেও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। সারা দেশে আরও ১৪৯ জন শনাক্ত হয়েছেন, যা গতকাল (সোমবার) ছিল ১২৮ জনে। গত ২ জুন দেশে ২২ জন করোনা শনাক্ত হয়েছিল, এরপর টানা ১২ দিন ধরে এই সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ, যা গতকাল ছিল ১ দশমিক ৯১ শতাংশ।

তবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মারা যাওয়ার সংখ্যা ২৯ হাজার ১৩১ জন অপরিবর্তিত থাকল। আর এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৪০৫ জনে।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৫৬০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৪ হাজার ৫৫২টি নমুনা। পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

আর গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭৯ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫ হাজার ৪১৬ জন।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের। 

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। 

২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়। 

এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।

গত ২০ এপ্রিল করোনায় মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করে বাংলাদেশ। সম্প্রতি করোনায় মৃত্যু না হলেও আক্রান্তের সংখ্যা আগের চেয়ে বাড়ছে।