চোখের জন্য প্রয়োজন বাড়তি যত্ন

#
news image

চোখ পরিষ্কার করার বিষয়টি খানিকটা অদ্ভূত মনে হলেও এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির জন্য প্রয়োজন বাড়তি যত্ন।

ভারতীয় চক্ষু চিকিৎসক ডা. কেইকি মেহতা বলেন, ‘বৃষ্টির মৌসুমে চোখে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে তাই বাড়তি যতেœর প্রয়োজন পড়ে। বৃষ্টির পানি যাতে সরাসরি চোখে না পড়ে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।’ 

এ ছাড়াও যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা :
বৃষ্টির সময় ঘরে ফিরে মুখ, হাত, পা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। সম্ভব হলে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করে নেয়া যেতে পারে।

আলাদা তোয়ালে ব্যবহার : শরীরের জন্য যে তোয়ালে ব্যবহার করা হয়, মুখের ক্ষেত্রে তা বাদ দেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। মুখ মোছার জন্য আলাদা নরম তোয়ালে বা টিস্যু পেপার ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে শরীরের জীবাণু চোখের সংস্পশের্ আসবে না।

চশমা পরিষ্কার রাখা: পাওয়ারসহ চশমা হোক বা সানগ্লাস, সবসময় পরিষ্কার রাখা জরুরি। যারা বেশি পাওয়ারের চশমা পরেন, বৃষ্টির সময় তাদের উচিত ব্যাগে একটি বাড়তি চশমা রাখা। কারণ পানি লেগে চশমা ঘোলা হয়ে যেতে পারে।

লেন্স পরার ক্ষেত্রে সচেতন থাকুন : যারা লেন্স ব্যবহার করেন তাদেরও উচিত হবে সঙ্গে বাড়তি লেন্স ও আনুষঙ্গিক জিনিসগুলো রাখা। লেন্সে যাতে ধুলাবালি না ঢোকে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে সানগ্লাস কাজে লাগাতে পারেন।

চোখে সরাসরি বৃষ্টির পানি যাতে না পড়ে: বৃষ্টির পানি সরাসরি চোখে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। চেহারায় বৃষ্টির পানি উপভোগ করার সময় চোখ খোলা যাবে না। কারণ, বৃষ্টির পানি বিশুদ্ধ হলেও আকাশ থেকে মাটিতে আসা পযর্ন্ত এতে মেশে অসংখ্য জীবাণু, মাইক্রোব এবং বিভিন্ন পরিবেশগত দূষিত উপাদান, যা চোখের জন্য ক্ষতিকর।

চোখে পানির ঝাপটা দেওয়া: দিন শেষে ঘরে ফিরলে পরিষ্কার পানি দিয়ে চোখে ঝাপটা দেয়া উচিত। তবে এর আগে হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। হালকাভাবে চোখে পানি ঝাপটা দেয়া হলে চোখ পরিষ্কার থাকবে।

চোখ অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি অঙ্গ। তাই চোখে কোনো কিছু ঢুকে গেলে সঙ্গে সঙ্গে পানির ঝাপটা দেয়া উচিত। তাছাড়া বৃষ্টির পানি চোখে পড়লে চুলকানি বা অস্বস্তি হতে পারে।

নাগরিক ডেস্ক

০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩,  1:25 AM

news image

চোখ পরিষ্কার করার বিষয়টি খানিকটা অদ্ভূত মনে হলেও এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির জন্য প্রয়োজন বাড়তি যত্ন।

ভারতীয় চক্ষু চিকিৎসক ডা. কেইকি মেহতা বলেন, ‘বৃষ্টির মৌসুমে চোখে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে তাই বাড়তি যতেœর প্রয়োজন পড়ে। বৃষ্টির পানি যাতে সরাসরি চোখে না পড়ে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।’ 

এ ছাড়াও যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা :
বৃষ্টির সময় ঘরে ফিরে মুখ, হাত, পা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। সম্ভব হলে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করে নেয়া যেতে পারে।

আলাদা তোয়ালে ব্যবহার : শরীরের জন্য যে তোয়ালে ব্যবহার করা হয়, মুখের ক্ষেত্রে তা বাদ দেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। মুখ মোছার জন্য আলাদা নরম তোয়ালে বা টিস্যু পেপার ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে শরীরের জীবাণু চোখের সংস্পশের্ আসবে না।

চশমা পরিষ্কার রাখা: পাওয়ারসহ চশমা হোক বা সানগ্লাস, সবসময় পরিষ্কার রাখা জরুরি। যারা বেশি পাওয়ারের চশমা পরেন, বৃষ্টির সময় তাদের উচিত ব্যাগে একটি বাড়তি চশমা রাখা। কারণ পানি লেগে চশমা ঘোলা হয়ে যেতে পারে।

লেন্স পরার ক্ষেত্রে সচেতন থাকুন : যারা লেন্স ব্যবহার করেন তাদেরও উচিত হবে সঙ্গে বাড়তি লেন্স ও আনুষঙ্গিক জিনিসগুলো রাখা। লেন্সে যাতে ধুলাবালি না ঢোকে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে সানগ্লাস কাজে লাগাতে পারেন।

চোখে সরাসরি বৃষ্টির পানি যাতে না পড়ে: বৃষ্টির পানি সরাসরি চোখে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। চেহারায় বৃষ্টির পানি উপভোগ করার সময় চোখ খোলা যাবে না। কারণ, বৃষ্টির পানি বিশুদ্ধ হলেও আকাশ থেকে মাটিতে আসা পযর্ন্ত এতে মেশে অসংখ্য জীবাণু, মাইক্রোব এবং বিভিন্ন পরিবেশগত দূষিত উপাদান, যা চোখের জন্য ক্ষতিকর।

চোখে পানির ঝাপটা দেওয়া: দিন শেষে ঘরে ফিরলে পরিষ্কার পানি দিয়ে চোখে ঝাপটা দেয়া উচিত। তবে এর আগে হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। হালকাভাবে চোখে পানি ঝাপটা দেয়া হলে চোখ পরিষ্কার থাকবে।

চোখ অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি অঙ্গ। তাই চোখে কোনো কিছু ঢুকে গেলে সঙ্গে সঙ্গে পানির ঝাপটা দেয়া উচিত। তাছাড়া বৃষ্টির পানি চোখে পড়লে চুলকানি বা অস্বস্তি হতে পারে।