সরকারের তথ্য চাওয়ার সঙ্গে বাড়ছে মেটার সাড়াও
নাগরিক অনলাইন ডেস্ক
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩, 10:56 PM
সরকারের তথ্য চাওয়ার সঙ্গে বাড়ছে মেটার সাড়াও
আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২২ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের ২ হাজার ৫৭৮টি ব্যবহারকারীর প্রবেশ সীমিত করেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। মূলত বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে প্রতিষ্ঠানটি এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। এছাড়াও চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মেটার কাছে মোট ১ হাজার ৪৫৪টি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির স্বচ্ছতা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
জানা গেছে, প্রতি বছর দুইবার করে স্বচ্ছতা প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে মার্কিন বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটা। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত তাদের স্বচ্ছতা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তথ্য চেয়ে মেটার কাছে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। অতীতের তুলনায় সরকারের অনুরোধে মেটার সাড়াও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ২০২১ সাল থেকে সরকারের অনুরোধের পরিমাণ বেড়েছে। এছাড়া চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে মেটা বাংলাদেশ থেকে ২২৭০টি কনটেন্টে ব্যবহারকারীর প্রবেশ সীমিত করেছে। এর মধ্যে ২ হাজার ২৬০টি ফেসবুক পোস্ট, ১০টি ফেসবুক প্রোফাইল রয়েছে।
মূলত ফৌজদারি তদন্তের জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছ থেকে ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টের তথ্য সংরক্ষণের অনুরোধ পেয়ে থাকে মেটা। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশ সরকার এমন ২৮টি অনুরোধে ৪০টি অ্যাকাউন্টের তথ্য সংরক্ষণের জন্য মেটাকে অনুরোধ করেছিল।
চলতি বছর প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশ সরকার ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে যেসব তথ্য চেয়েছে, তার ৬৭ শতাংশের বেশি আবেদনে সাড়া দেওয়া হয়েছে। এই সময়কালে বাংলাদেশ সরকার মেটার কাছে মোট ৯৮৮টি অনুরোধ করে। এর মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ার ৯৫৬টি অনুরোধ এবং জরুরি ভিত্তিতে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ ৩২টি। সরকার এই ৬ মাসে মেটার কাছে মোট ১ হাজার ৪৫৪টি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে বলে জানানো হয়েছে মেটার স্বচ্ছতা প্রতিবেদনে।
এছাড়াও ৬ মাসে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধের বিপরীতে ৬৭ দশমিক ২১ শতাংশ তথ্য সরবরাহ করেছে মেটা। আইনি প্রক্রিয়ায় অনুরোধের ক্ষেত্রে ৬৯ শতাংশ তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে অনুরোধের ক্ষেত্রে তথ্য সরবরাহ করেছে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।
পাশাপাশি ২০২২ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের জুন সময়কালে বাংলাদেশের আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে আড়াই হাজারের বেশি কনটেন্টে (আধেয়) ব্যবহারকারীর প্রবেশ সীমিত করেছে মেটা। ওই বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কালে বাংলাদেশ সরকার মেটার কাছে ৮৩৬টি অনুরোধ করেছিল। এর মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ার অনুরোধ ৭৭২টি। জরুরি ভিত্তিতে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ ৬৪টি। সরকার এই ৬ মাসে মেটার কাছে মোট ১ হাজার ২৭৮টি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে। এই সময়কালে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ৬৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ তথ্য সরবরাহ করেছিল মেটা।
স্বচ্ছতা প্রতিবেদনে মেটা জানিয়েছে, ২০২২ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রতিবেদন অনুযায়ী ২ হাজার ৫৭৮টি আইটেমে বাংলাদেশ থেকে ব্যবহারকারীর প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে।
পদক্ষেপের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এই আইটেমগুলো রাষ্ট্রের নিরাপত্তা-জনশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে যায়—এমন বিষয়বস্তু, অশ্লীল আচরণ, ধর্মীয়-সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও মানুষের মধ্যে বৈরিতাকে উসকে দেয়, যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ লঙ্ঘন করে।
নাগরিক অনলাইন ডেস্ক
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩, 10:56 PM
আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২২ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের ২ হাজার ৫৭৮টি ব্যবহারকারীর প্রবেশ সীমিত করেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। মূলত বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে প্রতিষ্ঠানটি এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। এছাড়াও চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মেটার কাছে মোট ১ হাজার ৪৫৪টি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির স্বচ্ছতা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
জানা গেছে, প্রতি বছর দুইবার করে স্বচ্ছতা প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে মার্কিন বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটা। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত তাদের স্বচ্ছতা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তথ্য চেয়ে মেটার কাছে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। অতীতের তুলনায় সরকারের অনুরোধে মেটার সাড়াও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ২০২১ সাল থেকে সরকারের অনুরোধের পরিমাণ বেড়েছে। এছাড়া চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে মেটা বাংলাদেশ থেকে ২২৭০টি কনটেন্টে ব্যবহারকারীর প্রবেশ সীমিত করেছে। এর মধ্যে ২ হাজার ২৬০টি ফেসবুক পোস্ট, ১০টি ফেসবুক প্রোফাইল রয়েছে।
মূলত ফৌজদারি তদন্তের জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছ থেকে ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টের তথ্য সংরক্ষণের অনুরোধ পেয়ে থাকে মেটা। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশ সরকার এমন ২৮টি অনুরোধে ৪০টি অ্যাকাউন্টের তথ্য সংরক্ষণের জন্য মেটাকে অনুরোধ করেছিল।
চলতি বছর প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশ সরকার ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে যেসব তথ্য চেয়েছে, তার ৬৭ শতাংশের বেশি আবেদনে সাড়া দেওয়া হয়েছে। এই সময়কালে বাংলাদেশ সরকার মেটার কাছে মোট ৯৮৮টি অনুরোধ করে। এর মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ার ৯৫৬টি অনুরোধ এবং জরুরি ভিত্তিতে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ ৩২টি। সরকার এই ৬ মাসে মেটার কাছে মোট ১ হাজার ৪৫৪টি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে বলে জানানো হয়েছে মেটার স্বচ্ছতা প্রতিবেদনে।
এছাড়াও ৬ মাসে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধের বিপরীতে ৬৭ দশমিক ২১ শতাংশ তথ্য সরবরাহ করেছে মেটা। আইনি প্রক্রিয়ায় অনুরোধের ক্ষেত্রে ৬৯ শতাংশ তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে অনুরোধের ক্ষেত্রে তথ্য সরবরাহ করেছে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।
পাশাপাশি ২০২২ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের জুন সময়কালে বাংলাদেশের আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে আড়াই হাজারের বেশি কনটেন্টে (আধেয়) ব্যবহারকারীর প্রবেশ সীমিত করেছে মেটা। ওই বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কালে বাংলাদেশ সরকার মেটার কাছে ৮৩৬টি অনুরোধ করেছিল। এর মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ার অনুরোধ ৭৭২টি। জরুরি ভিত্তিতে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ ৬৪টি। সরকার এই ৬ মাসে মেটার কাছে মোট ১ হাজার ২৭৮টি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে। এই সময়কালে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ৬৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ তথ্য সরবরাহ করেছিল মেটা।
স্বচ্ছতা প্রতিবেদনে মেটা জানিয়েছে, ২০২২ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রতিবেদন অনুযায়ী ২ হাজার ৫৭৮টি আইটেমে বাংলাদেশ থেকে ব্যবহারকারীর প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে।
পদক্ষেপের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এই আইটেমগুলো রাষ্ট্রের নিরাপত্তা-জনশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে যায়—এমন বিষয়বস্তু, অশ্লীল আচরণ, ধর্মীয়-সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও মানুষের মধ্যে বৈরিতাকে উসকে দেয়, যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ লঙ্ঘন করে।