শীর্ষ মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের প্রতিবাদকারী দলগুলোকে সাময়িক বরখাস্ত
নাগরিক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১১ নভেম্বর, ২০২৩, 10:26 PM
শীর্ষ মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের প্রতিবাদকারী দলগুলোকে সাময়িক বরখাস্ত
যুক্তরাষ্ট্রের একটি মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় শুক্রবার ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় দ’ুটি ছাত্র সংগঠনকে হুমকিমূলক বক্তব্য ও ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষ কমিটির চেয়ারম্যান জেরাল্ড রোসবার্গ বলেছেন, ‘স্টুডেন্টস ফর জাস্টিস ইন ফিলিস্তিন’ ও ‘ইহুদি ভয়েস ফর পিস’ পুরো সেমিস্টার জুড়ে স্থগিত থাকবে। খবর এএফপি’র।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, দু’টি গ্রুপ বারবার ক্যাম্পাসে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি লঙ্ঘন করায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি অনুমোদনবিহীন ইভেন্টে হুমকিমূলক বক্তৃতা ও ভীতি প্রদর্শন করা হয়। রোসবার্গ বলেন, দ’ুটি গ্রুপ যদি ক্যাম্পাসের নিয়ম মেনে চলার ইচ্ছা প্রদর্শন করে তখনই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হবে। তিনি বলেন, যাতে করে সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কার্যক্রমগুলো বিঘœ ছাড়াই পরিচালিত হতে পারে তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
মার্কিন মিডিয়া জানিয়েছে,বৃহস্পতিবার দ’ুটি গ্রুপ আয়োজিত এক বিক্ষোভে অংশ নিতে কলম্বিয়ার শত শত শিক্ষার্থী শ্রেণীকক্ষ থেকে বেরিয়ে আসে। তারা ওয়াশিংটনকে ফিলিস্তিনির ওপর ইসরায়েলি হামলার যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দেওয়ার জোরালো আহ্বান জানায়। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, হামাসকে ধ্বংস করার জন্য ইসরায়েলি অভিযানে ১১,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
কয়েকটি মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা গাজায় ইসরায়েলের হামলাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য স্কুলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বিক্ষোভকারিরা বিশ্ববিদ্যালয় বর্জন ও ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে বিচ্ছিন্ন করারও দাবি জানিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতে তরুণ আমেরিকানদের এই বিষয় পক্ষ নিতে দেখা গেছে এবং ইসরায়েলি বিশ্ববিদ্যালয় ও মার্কিন রিপাবলিকানসহ গোষ্ঠীগুলি অনেক মার্কিন ক্যাম্পাসকে ইহুদি-বিদ্বেষের কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার অভিযোগ করেছে।
হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ড এবং নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে, ছাত্র, অধ্যাপক ও প্রশাসকদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় এবং ইহুদি-বিদ্বেষ, ইসলামফোবিয়া এবং বাকস্বাধীনতার হুমকির অভিযোগ ছড়িয়ে পড়েছে।
নাগরিক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১১ নভেম্বর, ২০২৩, 10:26 PM
যুক্তরাষ্ট্রের একটি মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় শুক্রবার ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় দ’ুটি ছাত্র সংগঠনকে হুমকিমূলক বক্তব্য ও ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষ কমিটির চেয়ারম্যান জেরাল্ড রোসবার্গ বলেছেন, ‘স্টুডেন্টস ফর জাস্টিস ইন ফিলিস্তিন’ ও ‘ইহুদি ভয়েস ফর পিস’ পুরো সেমিস্টার জুড়ে স্থগিত থাকবে। খবর এএফপি’র।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, দু’টি গ্রুপ বারবার ক্যাম্পাসে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি লঙ্ঘন করায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি অনুমোদনবিহীন ইভেন্টে হুমকিমূলক বক্তৃতা ও ভীতি প্রদর্শন করা হয়। রোসবার্গ বলেন, দ’ুটি গ্রুপ যদি ক্যাম্পাসের নিয়ম মেনে চলার ইচ্ছা প্রদর্শন করে তখনই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হবে। তিনি বলেন, যাতে করে সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কার্যক্রমগুলো বিঘœ ছাড়াই পরিচালিত হতে পারে তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
মার্কিন মিডিয়া জানিয়েছে,বৃহস্পতিবার দ’ুটি গ্রুপ আয়োজিত এক বিক্ষোভে অংশ নিতে কলম্বিয়ার শত শত শিক্ষার্থী শ্রেণীকক্ষ থেকে বেরিয়ে আসে। তারা ওয়াশিংটনকে ফিলিস্তিনির ওপর ইসরায়েলি হামলার যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দেওয়ার জোরালো আহ্বান জানায়। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, হামাসকে ধ্বংস করার জন্য ইসরায়েলি অভিযানে ১১,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
কয়েকটি মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা গাজায় ইসরায়েলের হামলাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য স্কুলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বিক্ষোভকারিরা বিশ্ববিদ্যালয় বর্জন ও ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে বিচ্ছিন্ন করারও দাবি জানিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতে তরুণ আমেরিকানদের এই বিষয় পক্ষ নিতে দেখা গেছে এবং ইসরায়েলি বিশ্ববিদ্যালয় ও মার্কিন রিপাবলিকানসহ গোষ্ঠীগুলি অনেক মার্কিন ক্যাম্পাসকে ইহুদি-বিদ্বেষের কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার অভিযোগ করেছে।
হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ড এবং নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে, ছাত্র, অধ্যাপক ও প্রশাসকদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় এবং ইহুদি-বিদ্বেষ, ইসলামফোবিয়া এবং বাকস্বাধীনতার হুমকির অভিযোগ ছড়িয়ে পড়েছে।