শিরোনামঃ
প্লাস্টিক-পলিথিনের ব্যবহার: নিজের ক্ষতির কথা নিজেদেরই ভাবতে হবে সর্বোচ্চ দুর্নীতি পাসপোর্ট, বিআরটিএ এবং আইনশৃঙ্খলায়!  দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রীর লাশ উদ্ধার  প্রথমবার হকির যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশ  বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি নিয়ে ভ্রমণ সতর্কতা যুক্তরাজ্যের প্রধান উপদেষ্টা কাল সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন হাইকমিশনে হামলা পূর্ব-পরিকল্পিত বলে ধারণা হয়: ফখরুল বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখবে: প্রণয় ভার্মা 'এক বিজয় করেছো, আরেক বিজয় আসবে’, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টা প্রথমবার ট্র্যাভেল পাস নিয়ে সেন্ট মার্টিন গেলেন ৬৫৩ পর্যটক

এক ভিসায় ভ্রমণ করা যাবে মধ্যপ্রাচ্যের ছয় দেশ

#
news image

ইউরোপের শেনজেন ভিসার মতো এবার নতুন ভিসা পদ্ধতি চালু হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যেও। সর্বসম্মতিক্রমে এই অঞ্চলের জন্য প্রস্তাবিত ‘ইউনিফায়েড ট্যুরিজম ভিসা’ বা একক ভিসা ব্যবস্থার অনুমোদন দিয়েছে গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল বা জিসিসিভুক্ত দেশগুলো। এর ফলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাতে সূচনা হলো নতুন এক যুগের।

গত বৃহস্পতিবার আবুধাবিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল এক প্রতিবেদনে জানায়, সম্প্রতি ওমানে জিসিসি মন্ত্রীদের ৪০তম বৈঠকের পর সংস্থাটির মহাসচিব জসিম আল বুদাউই একক ভিসা ব্যবস্থায় অনুমোদনের ঘোষণা দেন। ২০২৪ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে ছয় দেশের ব্লক জুড়ে এই ব্যবস্থা কার্যকর হবে। এটি চালু হলেই এক ভিসায় জিসিসিভুক্ত ছয় দেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, বাহরাইন, ওমান, কুয়েত ও কাতার ভ্রমণ করা যাবে।

এ ঘোষণার পর জসিম আল বুদাউই বলেন, ইউনিফায়েড গালফ ট্যুরিস্ট ভিসা এমন একটি প্রকল্প, যা জিসিসির ছয়টি দেশের মধ্যে বসবাসকারী ও পর্যটকদের চলাচল আরো সহজ করতে অবদান রাখবে। অর্থনৈতিক ও পর্যটন খাতেও নিঃসন্দেহে এ প্রকল্পের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। গত মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন তৌক বলেছিলেন, ইউনিফায়েড ভিসা হলো জিসিসির ২০৩০ লক্ষ্যমাত্রা পূরণের অন্যতম প্রধান উপাদান। এর মূল লক্ষ্য, ভ্রমণ খাতের বিস্তৃতি বাড়ানোর মাধ্যমে অর্থনীতির চাকা গতিশীল করা। নতুন এই উদ্যোগের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের এই ছয় দেশে পর্যটকের সংখ্যা ১২ কোটিতে উন্নীত করতে চায়।

এইচএসবিসির তথ্যানুসারে, বৈশ্বিক অর্থনীতির খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেও ভালো অবস্থানে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের পর্যটন খাত। বিশেষ করে, করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে এই খাত থেকে আয় বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জিসিসির একক ভিসা ব্যবস্থা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ‘গেম চেঞ্জার’ হবে বলেই মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। ইউরোপের ২৭টি দেশে ‘শেনজেন ভিসা’ চালু রয়েছে। যার মাধ্যমে এই দলভুক্ত যে কোনো একটি দেশের ভিসা দিয়ে বাকি ২৬টি দেশে ভ্রমণ করা যায় ও যে কোনো কাজে একটি দেশে সর্বোচ্চ ৯০ দিন থাকা যায়।

ইউরোপ ভ্রমণকারীদের কাছে এই ভিসা সোনার হরিণের মতো। শেনজেনভুক্ত দেশগুলো হলো-সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, ফ্রান্স, ফিনল্যান্ড, বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, আইসল্যান্ড, ইতালি, এস্তোনিয়া, গ্রিস, চেক রিপাবলিক, মাল্টা, লুক্সেমবার্গ, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, স্পেন, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, লিচেনস্টাইন, সুইডেন, হাঙ্গেরি ও ক্রোয়েশিয়া।

নাগরিক অনলাইন ডেস্ক

১১ নভেম্বর, ২০২৩,  10:03 PM

news image

ইউরোপের শেনজেন ভিসার মতো এবার নতুন ভিসা পদ্ধতি চালু হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যেও। সর্বসম্মতিক্রমে এই অঞ্চলের জন্য প্রস্তাবিত ‘ইউনিফায়েড ট্যুরিজম ভিসা’ বা একক ভিসা ব্যবস্থার অনুমোদন দিয়েছে গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল বা জিসিসিভুক্ত দেশগুলো। এর ফলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাতে সূচনা হলো নতুন এক যুগের।

গত বৃহস্পতিবার আবুধাবিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল এক প্রতিবেদনে জানায়, সম্প্রতি ওমানে জিসিসি মন্ত্রীদের ৪০তম বৈঠকের পর সংস্থাটির মহাসচিব জসিম আল বুদাউই একক ভিসা ব্যবস্থায় অনুমোদনের ঘোষণা দেন। ২০২৪ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে ছয় দেশের ব্লক জুড়ে এই ব্যবস্থা কার্যকর হবে। এটি চালু হলেই এক ভিসায় জিসিসিভুক্ত ছয় দেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, বাহরাইন, ওমান, কুয়েত ও কাতার ভ্রমণ করা যাবে।

এ ঘোষণার পর জসিম আল বুদাউই বলেন, ইউনিফায়েড গালফ ট্যুরিস্ট ভিসা এমন একটি প্রকল্প, যা জিসিসির ছয়টি দেশের মধ্যে বসবাসকারী ও পর্যটকদের চলাচল আরো সহজ করতে অবদান রাখবে। অর্থনৈতিক ও পর্যটন খাতেও নিঃসন্দেহে এ প্রকল্পের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। গত মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন তৌক বলেছিলেন, ইউনিফায়েড ভিসা হলো জিসিসির ২০৩০ লক্ষ্যমাত্রা পূরণের অন্যতম প্রধান উপাদান। এর মূল লক্ষ্য, ভ্রমণ খাতের বিস্তৃতি বাড়ানোর মাধ্যমে অর্থনীতির চাকা গতিশীল করা। নতুন এই উদ্যোগের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের এই ছয় দেশে পর্যটকের সংখ্যা ১২ কোটিতে উন্নীত করতে চায়।

এইচএসবিসির তথ্যানুসারে, বৈশ্বিক অর্থনীতির খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেও ভালো অবস্থানে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের পর্যটন খাত। বিশেষ করে, করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে এই খাত থেকে আয় বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জিসিসির একক ভিসা ব্যবস্থা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ‘গেম চেঞ্জার’ হবে বলেই মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। ইউরোপের ২৭টি দেশে ‘শেনজেন ভিসা’ চালু রয়েছে। যার মাধ্যমে এই দলভুক্ত যে কোনো একটি দেশের ভিসা দিয়ে বাকি ২৬টি দেশে ভ্রমণ করা যায় ও যে কোনো কাজে একটি দেশে সর্বোচ্চ ৯০ দিন থাকা যায়।

ইউরোপ ভ্রমণকারীদের কাছে এই ভিসা সোনার হরিণের মতো। শেনজেনভুক্ত দেশগুলো হলো-সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, ফ্রান্স, ফিনল্যান্ড, বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, আইসল্যান্ড, ইতালি, এস্তোনিয়া, গ্রিস, চেক রিপাবলিক, মাল্টা, লুক্সেমবার্গ, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, স্পেন, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, লিচেনস্টাইন, সুইডেন, হাঙ্গেরি ও ক্রোয়েশিয়া।