পঞ্চগড়ে কাজলদিঘী শহীদ জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবন নেই, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পাঠদান

জেলা সংবাদদাতা
১২ জুলাই, ২০২৩, 9:09 PM

পঞ্চগড়ে কাজলদিঘী শহীদ জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবন নেই, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পাঠদান
পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলা কাজলদিঘী শহীদ জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের সহায়তায় ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। শিক্ষার মান ভালো থাকায় ১৯৯৫ সালে তৎকালিন সরকার এমপিও ভূক্তি করে।
বর্তমানে প্রায় তিনশতাধিক ছাত্রী কাজলদিঘী শহীদ জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করে, বিদ্যালয়টিতে বিজ্ঞান বিভাগ, বাণিজ্য বিভাগ ও মানবিক বিভাগ চালু থাকলেও নেই কোন একাডেমিক ভবন। জরাজীর্ন পরিবেশে ভাঙ্গা টিনের ঘরে ক্লাসের পাঠদান করতে দেখা দেছে কাজলদিঘী শহীদ জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে।
প্রধান শিক্ষক ফুলেশ্বর চন্দ্র রায় জানায় আমরা একাডেমিক ভবনের জন্য রেলপথ মন্ত্রীর নিকট একাধিক বার আবেদন করেছি তিনি আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হচ্ছেনা বোদা উপজেলার সকল এমপিও ভুক্ত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় গুলোতে একাডেমিক ভবন থাকলেও আমাদের বিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবন নির্মাণ হচ্ছেনা। আমরা বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছি।
কাজলদিঘী শহীদ জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি ৪নং কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল মোমেন জানায়, বিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবন নেই এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা, আমরা রেলপথ মন্ত্রীর নিকট একাডেমিক ভবনের তালিকা দিয়েছি তিনি একাডেমিক ভবন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আমরা শীঘ্রই পাব এটা আশাবাদী। আমার ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সহযোগীতা অব্যাহত রয়েছে আগামীতে আরও সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিব।
কাজলদিঘী শহীদ জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মিমি আক্তার, পিতা: মফিজুল হক, গ্রাম: কাজলদিঘী জানায়, ছাত্রীদের জন্য একাডেমিক ভবন না থাকায় ভাঙ্গা টিনের ঘরে ঝুকিপূর্ণ পরিবেশে লেখা পড়া করতে হচ্ছে একটু ঝড়-বৃষ্টি হলে ছাত্রীদের বই, খাতা ও ব্যাগ ভিজে যায়। ধামের ঘাট গ্রামের নিমল চন্দ্রের মেয়ে সেবা রানী ৭ম শ্রেণির ছাত্রী জানায়, কাজলদিঘী শহীদ জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবন না থাকায় লেখাপড়ার আনন্দ নেই।
আমাদের আশে পাশে সকল উচ্চ বিদ্যালয় গুলোতে একাডেমিক ভবন আছে, আমাদের বিদ্যালয়ে নেই আমরা বৈষম্যের স্বীকার অথচ মেয়েদের উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন খেলাধুলা, গান-বাজনা, ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় এবং এস.এস.সি ফলাফলে আমরাই সবার শীর্ষে। অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী পল্লবী রানী, পিতা: পরেশ চন্দ্র, গ্রাম: তেলিপাড়া জানায়, ছাত্রীদের একাডেমিক ভবন না থাকায় স্বাস্থ্যঝুকি নিয়ে লেখাপড়া করতে হচ্ছে, নেই স্বাস্থ্যকর শৌচাগার। প্রকৃতির ডাকে বাইরে যাওয়ার নেই ভালো ব্যবস্থা। বই পড়ার লাইব্রেরি, রুম, ছাত্রীদের আধুনিক বিজ্ঞান শেখার ও বিজ্ঞানাগার ছাত্রীদের পর্যাপ্ত কমনরুম না থাকায় বিরতি বা পাঠদান শেষে দাড়িয়ে থাকতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা।
৯ম শ্রেণির ছাত্রী ফাহমিদা রহমান মিম, পিতা: ফয়জুল রহমান, গ্রাম: বোতল ডাঙ্গা জানায়, কাজলদিঘী শহীদ জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় একাডেমিক ভবন না থাকায় ছাত্রীরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলাফেরা, ঝুকিপূর্ণ শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করার ফলে নানা অজানা জটিল-কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিজ্ঞান বিভাগের যন্ত্রপাতি রাখার নেই ব্যবস্থা, আধুনিক কম্পিউটার শেখার জন্য ব্যবস্থা থাকলেও কম্পিউটার, ল্যাপটপ রাখার নেই ব্যবস্থা।
দশম শ্রেণির ছাত্রী মিথু আক্তার জানায়, সারাদেশে নারী শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিয়ে উচ্চ বিদ্যালয় গুলোতে একাডেমিক ভবন হচ্ছে, একমাত্র আমরাই বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী একজন নারী, শিক্ষামন্ত্রী নারী সেক্ষেত্রে আমরা কেন বৈষম্য স্বীকার হব। সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট আমি অনুরোধ করছি দ্রুত আমাদের বিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবন নির্মাণ করার জন্য।
কাজলদিঘী শহীদ জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধি সেলিনা বেগম জানায়, আমাদের বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ আমরা সবাই সরকারদলীয় শিক্ষক, আমাদের ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি তিনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি। রেলপথ মন্ত্রীর সবাই নিকটতম লোকজন তারপরও আমাদের বিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবন নেই এটা সত্যিই লজ্জার বিষয়।
নারী শিক্ষা উন্নায়নে দ্রুত একাডেমিক ভবন চাই। পঞ্চগড় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবু তাহের জানায়, সারাদেশে বিদ্যালয় গুলোতে একাডেমিক ভবন হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে কাজলদিঘী শহীদ জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবন হবে।
জেলা সংবাদদাতা
১২ জুলাই, ২০২৩, 9:09 PM

পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলা কাজলদিঘী শহীদ জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের সহায়তায় ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। শিক্ষার মান ভালো থাকায় ১৯৯৫ সালে তৎকালিন সরকার এমপিও ভূক্তি করে।
বর্তমানে প্রায় তিনশতাধিক ছাত্রী কাজলদিঘী শহীদ জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করে, বিদ্যালয়টিতে বিজ্ঞান বিভাগ, বাণিজ্য বিভাগ ও মানবিক বিভাগ চালু থাকলেও নেই কোন একাডেমিক ভবন। জরাজীর্ন পরিবেশে ভাঙ্গা টিনের ঘরে ক্লাসের পাঠদান করতে দেখা দেছে কাজলদিঘী শহীদ জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে।
প্রধান শিক্ষক ফুলেশ্বর চন্দ্র রায় জানায় আমরা একাডেমিক ভবনের জন্য রেলপথ মন্ত্রীর নিকট একাধিক বার আবেদন করেছি তিনি আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হচ্ছেনা বোদা উপজেলার সকল এমপিও ভুক্ত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় গুলোতে একাডেমিক ভবন থাকলেও আমাদের বিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবন নির্মাণ হচ্ছেনা। আমরা বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছি।
কাজলদিঘী শহীদ জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি ৪নং কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল মোমেন জানায়, বিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবন নেই এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা, আমরা রেলপথ মন্ত্রীর নিকট একাডেমিক ভবনের তালিকা দিয়েছি তিনি একাডেমিক ভবন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আমরা শীঘ্রই পাব এটা আশাবাদী। আমার ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সহযোগীতা অব্যাহত রয়েছে আগামীতে আরও সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিব।
কাজলদিঘী শহীদ জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মিমি আক্তার, পিতা: মফিজুল হক, গ্রাম: কাজলদিঘী জানায়, ছাত্রীদের জন্য একাডেমিক ভবন না থাকায় ভাঙ্গা টিনের ঘরে ঝুকিপূর্ণ পরিবেশে লেখা পড়া করতে হচ্ছে একটু ঝড়-বৃষ্টি হলে ছাত্রীদের বই, খাতা ও ব্যাগ ভিজে যায়। ধামের ঘাট গ্রামের নিমল চন্দ্রের মেয়ে সেবা রানী ৭ম শ্রেণির ছাত্রী জানায়, কাজলদিঘী শহীদ জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবন না থাকায় লেখাপড়ার আনন্দ নেই।
আমাদের আশে পাশে সকল উচ্চ বিদ্যালয় গুলোতে একাডেমিক ভবন আছে, আমাদের বিদ্যালয়ে নেই আমরা বৈষম্যের স্বীকার অথচ মেয়েদের উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন খেলাধুলা, গান-বাজনা, ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় এবং এস.এস.সি ফলাফলে আমরাই সবার শীর্ষে। অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী পল্লবী রানী, পিতা: পরেশ চন্দ্র, গ্রাম: তেলিপাড়া জানায়, ছাত্রীদের একাডেমিক ভবন না থাকায় স্বাস্থ্যঝুকি নিয়ে লেখাপড়া করতে হচ্ছে, নেই স্বাস্থ্যকর শৌচাগার। প্রকৃতির ডাকে বাইরে যাওয়ার নেই ভালো ব্যবস্থা। বই পড়ার লাইব্রেরি, রুম, ছাত্রীদের আধুনিক বিজ্ঞান শেখার ও বিজ্ঞানাগার ছাত্রীদের পর্যাপ্ত কমনরুম না থাকায় বিরতি বা পাঠদান শেষে দাড়িয়ে থাকতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা।
৯ম শ্রেণির ছাত্রী ফাহমিদা রহমান মিম, পিতা: ফয়জুল রহমান, গ্রাম: বোতল ডাঙ্গা জানায়, কাজলদিঘী শহীদ জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় একাডেমিক ভবন না থাকায় ছাত্রীরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলাফেরা, ঝুকিপূর্ণ শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করার ফলে নানা অজানা জটিল-কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিজ্ঞান বিভাগের যন্ত্রপাতি রাখার নেই ব্যবস্থা, আধুনিক কম্পিউটার শেখার জন্য ব্যবস্থা থাকলেও কম্পিউটার, ল্যাপটপ রাখার নেই ব্যবস্থা।
দশম শ্রেণির ছাত্রী মিথু আক্তার জানায়, সারাদেশে নারী শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিয়ে উচ্চ বিদ্যালয় গুলোতে একাডেমিক ভবন হচ্ছে, একমাত্র আমরাই বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী একজন নারী, শিক্ষামন্ত্রী নারী সেক্ষেত্রে আমরা কেন বৈষম্য স্বীকার হব। সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট আমি অনুরোধ করছি দ্রুত আমাদের বিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবন নির্মাণ করার জন্য।
কাজলদিঘী শহীদ জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধি সেলিনা বেগম জানায়, আমাদের বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ আমরা সবাই সরকারদলীয় শিক্ষক, আমাদের ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি তিনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি। রেলপথ মন্ত্রীর সবাই নিকটতম লোকজন তারপরও আমাদের বিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবন নেই এটা সত্যিই লজ্জার বিষয়।
নারী শিক্ষা উন্নায়নে দ্রুত একাডেমিক ভবন চাই। পঞ্চগড় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবু তাহের জানায়, সারাদেশে বিদ্যালয় গুলোতে একাডেমিক ভবন হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে কাজলদিঘী শহীদ জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবন হবে।