টাকা পাচার হয়, এটি অস্বীকারের সুযোগ নেই: অর্থমন্ত্রী

#
news image

অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বলেছেন, 'দেশের বাইরে টাকা পাচার হয়, এটি অস্বীকারের সুযোগ নেই। যে টাকাগুলো পাচার হয়, আমরা সেগুলো নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। আমেরিকাসহ ১৭টি দেশ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে টাকা ফেরত নিয়ে এসেছে। আমরাও সেই কাজটি করতে যাচ্ছি।’

গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার বিষয়ে আপনারা বাধা দিয়েন না। এই টাকা ফেরত আনতে না পারলে তো কোনো লাভ নেই।'

অর্থমন্ত্রী এ সময় কেন টাকা পাচার হয় তার কারণও ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ‘টাকার একটি ধর্ম আছে। টাকা যেখানে সুখ আর বিলাসিতা পায় এবং যেখানে রিটার্ন বেশি, সেখানেই চলে যায়। টাকা কিন্তু এখন কেউ সুটকেসে করে পাচার করে না। সহজেই ডিজিটাল সিস্টেমে টুলস ব্যবহার করে পাচার করে।'

'টাকা পাচার আসলে বিভিন্ন কারণে হয়ে যায়। কিন্তু প্রমাণ ছাড়া সেগুলো বলা যায় না। পাচার নিয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ আসে। সেগুলোর সত্যতা পেলে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেই। এখনো যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। এমনকি তাদের অনেকেই জেলে আছেন,' বলেন মন্ত্রী।

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘মিডিয়াতে পাচার নিয়ে একটি রিপোর্ট হলেই তাকে ধরে ফেলা যায় না বা আমরা বিচার কাজ হাতে নিতে পারি না। আমাদের নিজস্ব সিস্টেম আছে। আমরা জানি, সুইজারল্যান্ডে টাকা আছে। কিন্তু সেটা বললেই তো আর বিচার কাজ শুরু করে দিতে পারি না। পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত নিয়েই কাজ করতে হয়। ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের মাধ্যমেই আমাদের অ্যাকশনে যেতে হয়।’

তাহলে করণীয় কী? এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী ধর্মীয় বিধানের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আমাদের সবসময় ধর্মের কাছেই ফিরে আসতে হবে। ধর্মের কথা শুনে যদি মানুষ একটু নরম হয়। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) স্পষ্ট করে বলেছেন, যে ঘুস দেয় আর যে নেয়- দুজনের জায়গাই জাহান্নামে। আমরা জাহান্নামে যাওয়ার কাজ না করি।'

নিজস্ব প্রতিবেদক

১১ জুন, ২০২২,  12:34 AM

news image

অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বলেছেন, 'দেশের বাইরে টাকা পাচার হয়, এটি অস্বীকারের সুযোগ নেই। যে টাকাগুলো পাচার হয়, আমরা সেগুলো নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। আমেরিকাসহ ১৭টি দেশ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে টাকা ফেরত নিয়ে এসেছে। আমরাও সেই কাজটি করতে যাচ্ছি।’

গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার বিষয়ে আপনারা বাধা দিয়েন না। এই টাকা ফেরত আনতে না পারলে তো কোনো লাভ নেই।'

অর্থমন্ত্রী এ সময় কেন টাকা পাচার হয় তার কারণও ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ‘টাকার একটি ধর্ম আছে। টাকা যেখানে সুখ আর বিলাসিতা পায় এবং যেখানে রিটার্ন বেশি, সেখানেই চলে যায়। টাকা কিন্তু এখন কেউ সুটকেসে করে পাচার করে না। সহজেই ডিজিটাল সিস্টেমে টুলস ব্যবহার করে পাচার করে।'

'টাকা পাচার আসলে বিভিন্ন কারণে হয়ে যায়। কিন্তু প্রমাণ ছাড়া সেগুলো বলা যায় না। পাচার নিয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ আসে। সেগুলোর সত্যতা পেলে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেই। এখনো যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। এমনকি তাদের অনেকেই জেলে আছেন,' বলেন মন্ত্রী।

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘মিডিয়াতে পাচার নিয়ে একটি রিপোর্ট হলেই তাকে ধরে ফেলা যায় না বা আমরা বিচার কাজ হাতে নিতে পারি না। আমাদের নিজস্ব সিস্টেম আছে। আমরা জানি, সুইজারল্যান্ডে টাকা আছে। কিন্তু সেটা বললেই তো আর বিচার কাজ শুরু করে দিতে পারি না। পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত নিয়েই কাজ করতে হয়। ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের মাধ্যমেই আমাদের অ্যাকশনে যেতে হয়।’

তাহলে করণীয় কী? এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী ধর্মীয় বিধানের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আমাদের সবসময় ধর্মের কাছেই ফিরে আসতে হবে। ধর্মের কথা শুনে যদি মানুষ একটু নরম হয়। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) স্পষ্ট করে বলেছেন, যে ঘুস দেয় আর যে নেয়- দুজনের জায়গাই জাহান্নামে। আমরা জাহান্নামে যাওয়ার কাজ না করি।'