ট্রাভেল পাস পেলেন সালাউদ্দিন, দেশে ফিরতে আর বাধা রইল না

#
news image

ভারতে শিলংয়ে অবস্থানরত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বাংলাদেশের ট্রাভেল পাস সংগ্রহ করেছেন। সোমবার (১২ জুন) রাতে সালাহউদ্দিন ট্রাভেল পাস হাতে পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গোহাটির বাংলাদেশ মিশনের সহকারী হাইকমিশনার রুহুল আমিন।

তিনি বলেন, তিনি (সালাহউদ্দিন) ট্রাভেল পারমিট পেয়েছেন। গতকাল (সোমবার) তিনি এটা হাতে পেয়েছেন।

সালাহউদ্দিনের দেশে ফিরতে কোনো বাধা থাকছে না- এমন প্রশ্নের জবাবে রুহুল আমিন বলেন, বাধা থাকার কথা না। আমাদের কাজটুকু আমরা করেছি। মিশনের যে কাজ, সেটা হয়েছে। তারপরও যদি মেঘালয় সরকারের তরফ থেকে কোনো ফর্মালিটি থাকে সেটা আমাদের বিষয় না। আমাদের কাজ আমরা করেছি।

বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সহকারী হাইকমিশনার বলেন, এটা ওনার সিদ্ধান্তের ব্যাপার।

২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন। ওই বছরের ১১ মে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করে শিলংয়ের পুলিশ। ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা থেকে সালাহউদ্দিনকে খালাস দেন ভারতের একটি আদালত। তবে আদালতের রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে থেমে যায় সালাহউদ্দিনের দেশে ফেরা।

প্রায় সাত বছর বিচার চলার পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। তিনি বেকসুর খালাস পান। কিন্তু পাসপোর্ট না থাকায় সালাউদ্দিন দেশে ফিরতে পারছিলেন না। পরে ট্রাভেল পারমিটের জন্য গোহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে আবেদন করেন।

সালাউদ্দিন আহমদ ১৯৯১ সালে বিএনপির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। ২০০১ সালে কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সালাহউদ্দিন। তাকে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল। মেঘালয়ে যখন আটক হন তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতের জেলে থাকাকালে বিএনপি তাকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য করে।

নাগরিক প্রতিবেদক

১৩ জুন, ২০২৩,  2:45 PM

news image

ভারতে শিলংয়ে অবস্থানরত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বাংলাদেশের ট্রাভেল পাস সংগ্রহ করেছেন। সোমবার (১২ জুন) রাতে সালাহউদ্দিন ট্রাভেল পাস হাতে পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গোহাটির বাংলাদেশ মিশনের সহকারী হাইকমিশনার রুহুল আমিন।

তিনি বলেন, তিনি (সালাহউদ্দিন) ট্রাভেল পারমিট পেয়েছেন। গতকাল (সোমবার) তিনি এটা হাতে পেয়েছেন।

সালাহউদ্দিনের দেশে ফিরতে কোনো বাধা থাকছে না- এমন প্রশ্নের জবাবে রুহুল আমিন বলেন, বাধা থাকার কথা না। আমাদের কাজটুকু আমরা করেছি। মিশনের যে কাজ, সেটা হয়েছে। তারপরও যদি মেঘালয় সরকারের তরফ থেকে কোনো ফর্মালিটি থাকে সেটা আমাদের বিষয় না। আমাদের কাজ আমরা করেছি।

বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সহকারী হাইকমিশনার বলেন, এটা ওনার সিদ্ধান্তের ব্যাপার।

২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন। ওই বছরের ১১ মে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করে শিলংয়ের পুলিশ। ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা থেকে সালাহউদ্দিনকে খালাস দেন ভারতের একটি আদালত। তবে আদালতের রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে থেমে যায় সালাহউদ্দিনের দেশে ফেরা।

প্রায় সাত বছর বিচার চলার পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। তিনি বেকসুর খালাস পান। কিন্তু পাসপোর্ট না থাকায় সালাউদ্দিন দেশে ফিরতে পারছিলেন না। পরে ট্রাভেল পারমিটের জন্য গোহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে আবেদন করেন।

সালাউদ্দিন আহমদ ১৯৯১ সালে বিএনপির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। ২০০১ সালে কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সালাহউদ্দিন। তাকে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল। মেঘালয়ে যখন আটক হন তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতের জেলে থাকাকালে বিএনপি তাকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য করে।