১৬ মাস পর ভোট পূর্ণগণনায় বিজয়ী হলেন পরাজিত প্রার্থী 

#
news image

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ১৬ মাস পর নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে ভোট গণনায় বিজয়ী হয়েছেন, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ০১ নং রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী মোঃ মোজাম্মেল হোসেন।

বুধবার (১৭ মে) বিকালে সিরাজগঞ্জ নির্বাচন  ট্রাইবুনাল সদর আদালতের বিচারক সুলতান উদ্দিন প্রধান উপস্থিত থেকে পুনরায় ভোট গণনা করলে এই ফলাফল পাওয়া যায়।ভোট গণনায় মোজাম্মেল হোসেন ফুটবল প্রতীকে ২০৭ ভোটে বিজয়ী হন। গণনায় দেখা যায় ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মোট ৬৫০ ভোট পেয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রার্থী মোঃ নজরুল ইসলাম মন্ডল  ফ্যান প্রতীকে পেয়েছেন ৪৪৩ ভোট।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. গোলাম মোহাম্মদ।

ভোট গণনায় নতুন করে বিজয়ী প্রার্থী মুজাম্মেল হোসেন জানান, ‘নির্বাচনে ভোট গণনার সময় নজরুল ইসলাম মন্ডল তার লোকদের দিয়ে আমাকে সহ আমার সমর্থনকারী মোঃ শাজাহান শেখ, হাবিজুর, মঞ্জুয়ারা খাতুন সহ ২৫ জনকে মারধর করে আহত করে। তিনি আরও জানান কেন্দ্র প্রধান পিসাইডিং অফিসার মোঃ রেজাউল করিমকে তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে, ফ্যান মার্কার জয় নিশ্চিত করেন। অথচ সঠিকভাবে ভোট গণনা হলে তখনই আমি বিজয়ী হতাম। ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর উল্লাপাড়া উপজেলার ১নং রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়া ভোট গণনায় ফুটবল প্রতীকে মোজাম্মেল হেসেন ৫৬৫ ভোট পান।

তার বিপরীতে ফ্যান প্রতীকে নজরুল ইসলাম মন্ডলকে ৫৯২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।পরে ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি নির্বাচন  ট্রাইব্যুনাল আদালতে ফুটবল প্রতীকের মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে পুনরায় ভোট গণনার জন্য মামলা করেন। পরে দীর্ঘ ১৬ মাস পর দুই প্রার্থীর উপস্থিতে সিরাজগঞ্জ নির্বাচন  ট্রাইব্যুনাল সদর কোর্টের বিচারক সুলতান উদ্দিন প্রধান পুনরায় ভোট গণনা করেন। এতে ফুটবল প্রতীকের মোজাম্মেল হোসেন মোট ৬৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। 

পড়ে আদালতের রায়ের কপি চেয়ে  আবেদন করলে ০৩ জুন  বিকেলে, বিজয়ী ফুটবল মার্কার প্রার্থী সাংবাদিকদের হাতে রায়ের কপি তুলে দেন। উক্তরায়ে স্পষ্টভাবে ভোট গণনায় মোজাম্মেল হোসেন ফুটবল প্রতীকে  ২০৭ ভোটে বিজয়ী হন।মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬ মাস পরে আজ আমি আইনের বিচার পেলাম। ভোট  গণনায় ২০৭ ভোটে আমি বিজয়ী হয়েছি।বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. গোলাম মোহাম্মদ  বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬ মাস আইনি লড়াই শেষে আজ আদালত দুই প্রার্থী, পিসাইডিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসার ও দুইপক্ষের আইনজীবীর সামনে ভোট গণনা করে দেখেন মোজাম্মেল হোসন ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।’ তিনি বলেন, এতে করে মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে।

পরবর্তীতে এই রায়ের কপি সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হবে।এ বিষয়ে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার রেজাউল করিমের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান ভোট কার্চুপির বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা হয়তোবা কেন্দ্রে আমার সহযোগীরা করতে পারে কিন্তু আমি কিছু করি না’এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ রানা বলেন,আদালতে আমার উপস্থিতিতেই ভোট গণনা হয়েছে মোজাম্মেল সাহেব ২০৭ ভোটে ডিগ্রী পেয়েছেন।কোর্টের রায় হাতে পেলে বিস্তারিত আপনাদের সাথে বলতে পারব।

সিরাজগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের জন্য বারবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

মোঃ সৌরভ হোসাইন (সবুজ), সিরাজগঞ্জ

০৪ জুন, ২০২৩,  6:20 PM

news image

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ১৬ মাস পর নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে ভোট গণনায় বিজয়ী হয়েছেন, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ০১ নং রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী মোঃ মোজাম্মেল হোসেন।

বুধবার (১৭ মে) বিকালে সিরাজগঞ্জ নির্বাচন  ট্রাইবুনাল সদর আদালতের বিচারক সুলতান উদ্দিন প্রধান উপস্থিত থেকে পুনরায় ভোট গণনা করলে এই ফলাফল পাওয়া যায়।ভোট গণনায় মোজাম্মেল হোসেন ফুটবল প্রতীকে ২০৭ ভোটে বিজয়ী হন। গণনায় দেখা যায় ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মোট ৬৫০ ভোট পেয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রার্থী মোঃ নজরুল ইসলাম মন্ডল  ফ্যান প্রতীকে পেয়েছেন ৪৪৩ ভোট।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. গোলাম মোহাম্মদ।

ভোট গণনায় নতুন করে বিজয়ী প্রার্থী মুজাম্মেল হোসেন জানান, ‘নির্বাচনে ভোট গণনার সময় নজরুল ইসলাম মন্ডল তার লোকদের দিয়ে আমাকে সহ আমার সমর্থনকারী মোঃ শাজাহান শেখ, হাবিজুর, মঞ্জুয়ারা খাতুন সহ ২৫ জনকে মারধর করে আহত করে। তিনি আরও জানান কেন্দ্র প্রধান পিসাইডিং অফিসার মোঃ রেজাউল করিমকে তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে, ফ্যান মার্কার জয় নিশ্চিত করেন। অথচ সঠিকভাবে ভোট গণনা হলে তখনই আমি বিজয়ী হতাম। ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর উল্লাপাড়া উপজেলার ১নং রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়া ভোট গণনায় ফুটবল প্রতীকে মোজাম্মেল হেসেন ৫৬৫ ভোট পান।

তার বিপরীতে ফ্যান প্রতীকে নজরুল ইসলাম মন্ডলকে ৫৯২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।পরে ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি নির্বাচন  ট্রাইব্যুনাল আদালতে ফুটবল প্রতীকের মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে পুনরায় ভোট গণনার জন্য মামলা করেন। পরে দীর্ঘ ১৬ মাস পর দুই প্রার্থীর উপস্থিতে সিরাজগঞ্জ নির্বাচন  ট্রাইব্যুনাল সদর কোর্টের বিচারক সুলতান উদ্দিন প্রধান পুনরায় ভোট গণনা করেন। এতে ফুটবল প্রতীকের মোজাম্মেল হোসেন মোট ৬৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। 

পড়ে আদালতের রায়ের কপি চেয়ে  আবেদন করলে ০৩ জুন  বিকেলে, বিজয়ী ফুটবল মার্কার প্রার্থী সাংবাদিকদের হাতে রায়ের কপি তুলে দেন। উক্তরায়ে স্পষ্টভাবে ভোট গণনায় মোজাম্মেল হোসেন ফুটবল প্রতীকে  ২০৭ ভোটে বিজয়ী হন।মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬ মাস পরে আজ আমি আইনের বিচার পেলাম। ভোট  গণনায় ২০৭ ভোটে আমি বিজয়ী হয়েছি।বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. গোলাম মোহাম্মদ  বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬ মাস আইনি লড়াই শেষে আজ আদালত দুই প্রার্থী, পিসাইডিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসার ও দুইপক্ষের আইনজীবীর সামনে ভোট গণনা করে দেখেন মোজাম্মেল হোসন ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।’ তিনি বলেন, এতে করে মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে।

পরবর্তীতে এই রায়ের কপি সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হবে।এ বিষয়ে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার রেজাউল করিমের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান ভোট কার্চুপির বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা হয়তোবা কেন্দ্রে আমার সহযোগীরা করতে পারে কিন্তু আমি কিছু করি না’এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ রানা বলেন,আদালতে আমার উপস্থিতিতেই ভোট গণনা হয়েছে মোজাম্মেল সাহেব ২০৭ ভোটে ডিগ্রী পেয়েছেন।কোর্টের রায় হাতে পেলে বিস্তারিত আপনাদের সাথে বলতে পারব।

সিরাজগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের জন্য বারবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।