চৌহালীর চরসলিমাবাদ দাখিল মাদরাসা স্মার্ট যুগে মডেল মাদরাসা গড়তে সরকারের সুদৃষ্টি দরকার

#
news image

দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে  সবার জন্য শিক্ষা গ্রহণের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে সিরাজগন্জ জেলার  চৌহালীর চরসলিমাবাদ মুসলিমিয়া দাখিল মাদরাসার অবকাঠামো সংকটে  ছাত্র ছাত্রীদের পাঠদান চলছে খোলা আকাশের নীচে, গাছতলায় ও ভাড়া করা ঘরে। 

অত্র প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ১০ জানুয়ারী এলাকার দানবীর ও  দক্ষ শিক্ষক দ্বারা বাঘুটিয়া ইউনিয়নে চরসলিমাবাদ গ্রামে  প্রতিষ্ঠিত হয় চরসলিমাবাদ মুসলিমিয়া দাখিল মাদরাসা। 

দীর্ঘ পথ চলা চরসলিমাবাদ দাখিল  মাদ্রাসাকে গ্রাস করে শিক্ষার্থীদের ঘরহীন করেছে যমুনা নদী। চরসলিমাবাদ দাখিল মাদরাসা অর্থ সংকটে মাটি ভরাট ও অবকাঠামো নির্মাণ নিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে। 
 
ইতিহাস আর ঐতিহ্যে নয় মাদরাসাটি উপজেলার বাঘুটিয়া  ইউনিয়নের চরসলিমাবাদ  মৌজায় ২ একর জায়গা জুড়ে সাজানো গোছানো  শিরীষগাছ গুলোর মতই দেশে শিক্ষায় অবদান রেখে বীরদর্পে দাড়িয়ে ছিল। 

 অজো পাড়া গায়ে যমুনা নদীর চরান্চলের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী সহ অন্যান্য অন্চলের মানুষকে বিঙান ও প্রযুক্তির আলায় আলোকিত বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হচ্ছে  স্মার্ট বাংলাদেশ।    আধুনীক ঙান বিঙান ও প্রযুক্তিতে এগিয়ে নিতে ১৯৯৬ সালে চরসলিমাবাদ গ্রামে সাজানো গোছানো  শিরীষগাছ গুলোর মতই দেশে শিক্ষায় অবদান রেখেই মাদরাসাটির যাত্রা শুরু হয়।

তৎকালীন সময়ে চৌহালীতে শিক্ষার জন্য  তেমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না। তখন এই উপজেলায় পশ্চাৎপদ অনগ্রসর বিশাল গ্রামীন জন ঘোষ্টি গ্রাম গন্জে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে এবং নিরক্ষর মুক্ত দেশ গড়ার  কথা বিবেচনা করে ১৯৯৬ সালে চরসলিমাবাদ মুসলিমিয়া দাখিল মাদরাসার নাম করণ ও যাত্রা শুরু হয়।  

বর্তমান  মাদরাসাটিতে যমুনা নদী বেষ্টিত  ভাঙ্গা গড়া এলাকার অবহেলিত ও হতদরিদ্র মানুষের সন্তানেরা সহজে শিক্ষা লাভ  করে তাদের লালিত স্বপ্ন পুরণ করতে সক্ষম কেড়ে নিয়েছে যমুনা নদী। শত কষ্টের মাঝেও পাঠদান সচল রাখতে অভিজ্ঞ ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষক মন্ডলীরা বিনানই গ্রামে ভাড়া করা ঘরে গাদাগাদি করে  শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে চলছে। 

বর্তমান দায়িত্ব প্রাপ্ত সুপার আলহাজ্ব মাও  মো, শহিদুল ইসলাম বলেন, বর্তমান শিক্ষক কর্মচারি ২০ জন ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা  ৩৩১জন। 

১০ম শ্রেনীর ছাত্রী মোছা,জুলেখা বলেন, আমরা পড়তে চাই আমরা বাচতে চাই, আমরা কেন খোলা মাঠ বা গাছ তলায় পাঠদান করতে হয়, আমাদের মাদরাসা বাচান, পাঠদান সচল রাখতে অবকাঠামো নির্মাণ করা দরকার, আপনারা ভবন নির্মাণ করে দিন আমরা রেজাল্ট এনে দেবো। 

 জমি ও ঘর স্থাপনে অর্থ দিন, ভাঙ্গন রোধে টেকসই বাধ দিন।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলমাস বলেন, স্কুল কলেজ ও মাদরাসা পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের দিকে তাকিয়ে বেরীবাধ দিন, ভাসমান মাদরাসা নিজস্ব জমিতে মাটি ভরাট ও ভবন  নির্মানে সহযোগিতা করুন, তাহলেই আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। 
 
 সব মিলিয়ে কঠিন সংকট, না আছে নিজস্ব জমি ও ঘর, না আছে বিদ্যুৎ, টিউবয়েল, বাথরুম,সবকিছুই মিলিয়ে  আমরা অর্থ সংকটে হাবুডুবু খাচ্ছি নিরাশনের প্রচেষ্ঠা চলছে অর্থ নেই।  চৌহালীর সুনামধন্য বিদ্যাপিঠ আজ কালের স্বাক্ষী। 

সুপার আলহাজ্ব মাও, শহিদুল ইসলাম বলেন, মানুষ বা প্রতিষ্ঠান যাই হোক না কেন,অন্য মানুষ বা বৃহৎ পরিসরে  জাতির কল্যানে কাজ করতে না পারলে কেউই মনে রাখে না এবং পথচলায় হোচট খেতে হয় মাঝে মধ্যেই।

আজ আমার তারই একজন,  সাজানো গোছানো পরিপাটিতে মাদরাসা ছিল নদী ভাঙ্গনে জমি ও ঘর শুন্য হয়ে অন্যের ঘর ভাড়া করে পাঠদান সচল রাখতে হচ্ছে। টাকা সংকটে নিজ গতিতে দাড়াতে পারছি না।

প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০৪১ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে অর্থের বড় প্রয়োজন প্রতিষ্ঠান সচল রাখতে।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বলেন, আমরা ত্রাণ ও সাহায্য চাই না, নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাধ বাস্তবায়ন চাই, মাদরাসা স্থাপনে সংশ্লিষ্ট  কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা (অর্থ) ও অবকাঠামো চাই। 

 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বর্তমান সরকার ইতোমধ্যেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণায় বাংলাদেশ আজ রোলমডেল,তারই আলোকে গড়ে উঠুক মডেল শিক্ষাঅঙ্গন  ও শিক্ষা অবকাঠামো নির্মাণ।  

 উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এম এ আরিফ সরকার বলেন,   আমরা সবই বিশ্বাস করি,  নিজের  অ্যালামনাইদের কর্মের মাধ্যমে ডিজিটাল ও স্বমহিমায় যুগ যুগ ধরে টিকে থাকবে এ প্রতিষ্ঠান। সবকিছু মোকাবেলা করে মাদরাসাটি এগিয়ে যাক অবিরাম ও গড়ে উঠুক শিক্ষা অবকাঠামো।   

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাজউদ্দীন বলেন, শহরের উন্নয়ন জনগনের দৌড় গড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে তারই আলোকে প্রকল্প দিয়ে সহযোগিতা চলমান থাকবে এবং এ প্রতিষ্ঠান সরকারি অর্থায়ানে গড়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ। 

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যাই পারে গ্রাম বাংলার উন্নয়ন। অচিরেই নদী ভাঙ্গন রোধে কাজ উদ্বোধন করা হবে।   তাই এ মাদরাসাটি অবহেলিত ও পাঠদান  বন্ধ  থাকবে না প্রযুক্তির যুগে। শিক্ষা বান্ধব সরকার  বিঙান ও প্রযুক্তির ছোয়ায় সরকারি অর্থেই  গড়ে উঠবে নিজস্ব  জমিতে  নতুন শিক্ষা অঙ্গন।

মাহমুদুল হাসান, চৌহালী (সিরাজগঞ্জ)

৩১ মে, ২০২৩,  8:26 PM

news image

দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে  সবার জন্য শিক্ষা গ্রহণের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে সিরাজগন্জ জেলার  চৌহালীর চরসলিমাবাদ মুসলিমিয়া দাখিল মাদরাসার অবকাঠামো সংকটে  ছাত্র ছাত্রীদের পাঠদান চলছে খোলা আকাশের নীচে, গাছতলায় ও ভাড়া করা ঘরে। 

অত্র প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ১০ জানুয়ারী এলাকার দানবীর ও  দক্ষ শিক্ষক দ্বারা বাঘুটিয়া ইউনিয়নে চরসলিমাবাদ গ্রামে  প্রতিষ্ঠিত হয় চরসলিমাবাদ মুসলিমিয়া দাখিল মাদরাসা। 

দীর্ঘ পথ চলা চরসলিমাবাদ দাখিল  মাদ্রাসাকে গ্রাস করে শিক্ষার্থীদের ঘরহীন করেছে যমুনা নদী। চরসলিমাবাদ দাখিল মাদরাসা অর্থ সংকটে মাটি ভরাট ও অবকাঠামো নির্মাণ নিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে। 
 
ইতিহাস আর ঐতিহ্যে নয় মাদরাসাটি উপজেলার বাঘুটিয়া  ইউনিয়নের চরসলিমাবাদ  মৌজায় ২ একর জায়গা জুড়ে সাজানো গোছানো  শিরীষগাছ গুলোর মতই দেশে শিক্ষায় অবদান রেখে বীরদর্পে দাড়িয়ে ছিল। 

 অজো পাড়া গায়ে যমুনা নদীর চরান্চলের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী সহ অন্যান্য অন্চলের মানুষকে বিঙান ও প্রযুক্তির আলায় আলোকিত বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হচ্ছে  স্মার্ট বাংলাদেশ।    আধুনীক ঙান বিঙান ও প্রযুক্তিতে এগিয়ে নিতে ১৯৯৬ সালে চরসলিমাবাদ গ্রামে সাজানো গোছানো  শিরীষগাছ গুলোর মতই দেশে শিক্ষায় অবদান রেখেই মাদরাসাটির যাত্রা শুরু হয়।

তৎকালীন সময়ে চৌহালীতে শিক্ষার জন্য  তেমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না। তখন এই উপজেলায় পশ্চাৎপদ অনগ্রসর বিশাল গ্রামীন জন ঘোষ্টি গ্রাম গন্জে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে এবং নিরক্ষর মুক্ত দেশ গড়ার  কথা বিবেচনা করে ১৯৯৬ সালে চরসলিমাবাদ মুসলিমিয়া দাখিল মাদরাসার নাম করণ ও যাত্রা শুরু হয়।  

বর্তমান  মাদরাসাটিতে যমুনা নদী বেষ্টিত  ভাঙ্গা গড়া এলাকার অবহেলিত ও হতদরিদ্র মানুষের সন্তানেরা সহজে শিক্ষা লাভ  করে তাদের লালিত স্বপ্ন পুরণ করতে সক্ষম কেড়ে নিয়েছে যমুনা নদী। শত কষ্টের মাঝেও পাঠদান সচল রাখতে অভিজ্ঞ ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষক মন্ডলীরা বিনানই গ্রামে ভাড়া করা ঘরে গাদাগাদি করে  শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে চলছে। 

বর্তমান দায়িত্ব প্রাপ্ত সুপার আলহাজ্ব মাও  মো, শহিদুল ইসলাম বলেন, বর্তমান শিক্ষক কর্মচারি ২০ জন ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা  ৩৩১জন। 

১০ম শ্রেনীর ছাত্রী মোছা,জুলেখা বলেন, আমরা পড়তে চাই আমরা বাচতে চাই, আমরা কেন খোলা মাঠ বা গাছ তলায় পাঠদান করতে হয়, আমাদের মাদরাসা বাচান, পাঠদান সচল রাখতে অবকাঠামো নির্মাণ করা দরকার, আপনারা ভবন নির্মাণ করে দিন আমরা রেজাল্ট এনে দেবো। 

 জমি ও ঘর স্থাপনে অর্থ দিন, ভাঙ্গন রোধে টেকসই বাধ দিন।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলমাস বলেন, স্কুল কলেজ ও মাদরাসা পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের দিকে তাকিয়ে বেরীবাধ দিন, ভাসমান মাদরাসা নিজস্ব জমিতে মাটি ভরাট ও ভবন  নির্মানে সহযোগিতা করুন, তাহলেই আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। 
 
 সব মিলিয়ে কঠিন সংকট, না আছে নিজস্ব জমি ও ঘর, না আছে বিদ্যুৎ, টিউবয়েল, বাথরুম,সবকিছুই মিলিয়ে  আমরা অর্থ সংকটে হাবুডুবু খাচ্ছি নিরাশনের প্রচেষ্ঠা চলছে অর্থ নেই।  চৌহালীর সুনামধন্য বিদ্যাপিঠ আজ কালের স্বাক্ষী। 

সুপার আলহাজ্ব মাও, শহিদুল ইসলাম বলেন, মানুষ বা প্রতিষ্ঠান যাই হোক না কেন,অন্য মানুষ বা বৃহৎ পরিসরে  জাতির কল্যানে কাজ করতে না পারলে কেউই মনে রাখে না এবং পথচলায় হোচট খেতে হয় মাঝে মধ্যেই।

আজ আমার তারই একজন,  সাজানো গোছানো পরিপাটিতে মাদরাসা ছিল নদী ভাঙ্গনে জমি ও ঘর শুন্য হয়ে অন্যের ঘর ভাড়া করে পাঠদান সচল রাখতে হচ্ছে। টাকা সংকটে নিজ গতিতে দাড়াতে পারছি না।

প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০৪১ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে অর্থের বড় প্রয়োজন প্রতিষ্ঠান সচল রাখতে।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বলেন, আমরা ত্রাণ ও সাহায্য চাই না, নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাধ বাস্তবায়ন চাই, মাদরাসা স্থাপনে সংশ্লিষ্ট  কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা (অর্থ) ও অবকাঠামো চাই। 

 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বর্তমান সরকার ইতোমধ্যেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণায় বাংলাদেশ আজ রোলমডেল,তারই আলোকে গড়ে উঠুক মডেল শিক্ষাঅঙ্গন  ও শিক্ষা অবকাঠামো নির্মাণ।  

 উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এম এ আরিফ সরকার বলেন,   আমরা সবই বিশ্বাস করি,  নিজের  অ্যালামনাইদের কর্মের মাধ্যমে ডিজিটাল ও স্বমহিমায় যুগ যুগ ধরে টিকে থাকবে এ প্রতিষ্ঠান। সবকিছু মোকাবেলা করে মাদরাসাটি এগিয়ে যাক অবিরাম ও গড়ে উঠুক শিক্ষা অবকাঠামো।   

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাজউদ্দীন বলেন, শহরের উন্নয়ন জনগনের দৌড় গড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে তারই আলোকে প্রকল্প দিয়ে সহযোগিতা চলমান থাকবে এবং এ প্রতিষ্ঠান সরকারি অর্থায়ানে গড়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ। 

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যাই পারে গ্রাম বাংলার উন্নয়ন। অচিরেই নদী ভাঙ্গন রোধে কাজ উদ্বোধন করা হবে।   তাই এ মাদরাসাটি অবহেলিত ও পাঠদান  বন্ধ  থাকবে না প্রযুক্তির যুগে। শিক্ষা বান্ধব সরকার  বিঙান ও প্রযুক্তির ছোয়ায় সরকারি অর্থেই  গড়ে উঠবে নিজস্ব  জমিতে  নতুন শিক্ষা অঙ্গন।