শাড়ি পরানোর পারিশ্রমিক ২ লাখ টাকা
নাগরিক বিনোদন ডেস্ক
৩০ মে, ২০২৩, 9:09 AM
শাড়ি পরানোর পারিশ্রমিক ২ লাখ টাকা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় বসবাস করেন ডলি জৈন। একজন গৃহবধূ তিনি। কিন্তু ফ্যাশন দুনিয়ায় চর্চা রয়েছে, তার আঙুলের ছোঁয়ায় সাধারণ শাড়িরও চেহারা পাল্টে যায়।
বলিউড তারকারা এ কারণে নামি ব্র্যান্ডের গাউন ছেড়ে শাড়ি পরতে শরণাপন্ন হয়ে থাকেন ডলির। সাধারণভাবে শাড়ি পরিয়ে দিতেই অন্তত ৩৫ হাজার টাকা করে নেন তিনি। স্টাইল যত বাড়ে, পারিশ্রমিকও তত বাড়তে থাকে। শাড়ি পরানোর জন্য ২ লাখ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন ডলি। সম্প্রতি আগেই ফ্রান্সে কান চলচ্চিত্র উৎসবে শাড়ি পরে হাজির হয়েছিলেন বলিউডের এ প্রজন্মের অভিনেত্রী সারা আলি খান। সরু সাদা পাড়ের শাড়িটি অভিনেত্রীকে রেড কার্পেটের জন্য পরিয়ে দিয়েছিলেন ডলি। রেড কার্পেটে দীপিকা পাড়ুকোনকেও শাড়ি পরিয়েছিলেন তিনি।
গত কয়েক বছরে তারকাদের বিয়ে বা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে শাড়ি পরানোর জন্য বার বার ডাক পেয়েছেন ডলি। অভিনেত্রী কিয়ারা এবং সিদ্ধার্থ মালহোত্রার বিয়েতে নায়িকাকে শাড়ি এবং লেহেঙ্গা পরিয়েছিলেন। আবার সিদ্ধার্থকে উড়নিও পরিয়ে দিয়েছিলেন ডলি। নায়িকা প্রিয়াংকা চোপড়াকে বিয়ের সাজে সাজিয়েছিলেন এই ডলিই। দীপিকা পাডুকোনের বিয়ের শাড়িও তার পরানো। এমনকি অভিনেত্রী আলিয়া ভাট, ক্যাটরিনা কাইফ, নয়নতারাকেও বিয়ের দিন শাড়ি পরিয়েছেন কলকাতার এই গৃহবধূ।
এদিকে, শহিদ কাপুরের স্ত্রী মীরা থেকে শুরু করে নীতা আম্বানি, নীতু সিংহ, কারিশমা কাপুরকেও অনেকবার সাজিয়েছেন ডলি। তার জনপ্রিয়তা শুধু বলিউডেই সীমাবদ্ধ নয়। দেশটির ধনকুবের মুকেশ আম্বানির মেয়ে ইশা আম্বানিকেও বিয়ের শাড়ি পরিয়েছেন। মুকেশের ছেলের বউ শ্লোক মেহতা এবং হবু ছেলের বউ রাধিকা মার্চেন্টের বাগদানের অনুষ্ঠানে শাড়ি পরিয়েছেন। ভারতীয় তারকাদের, কাকে শাড়ি পরাননি ডলি? ক্রিকেটার হার্দিক পান্ডিয়ার বিয়েতে তার স্ত্রী নাতাশাকেও শাড়ি পরিয়েছেন। ডলি জানিয়েছেন, কলকাতায় এসে শাড়ি ছাড়া কিছু পরতে পারতেন না।
যা পরতে প্রতিদিন ৪৫ মিনিট সময় লাগতো তার। নিজের প্রয়োজনেই শাড়ি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। সময় বাঁচানোর জন্য নানাভাবে শাড়ি পরতেন। দেখা গেল, একসময় সেই স্টাইল প্রশংসিত হতে থাকে। একবার সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ছোট থেকেই পুতুলকে নানাভাবে শাড়ি পরাতেন। সেই পুরনো নেশা হঠাৎ করে পেয়ে বসে তাকে। একটি ম্যানিকুইন কিনে নানাভাবে শাড়ি পরানোর অভ্যাস করতেন। আবার মাঝরাতে নতুন কোনো স্টাইলের কথা মনে পরলে সঙ্গে সঙ্গে সেটি ম্যানিকুইনের ওপর প্র্যাকটিস করতেন বলেও জানিয়েছেন। প্রায় এক দশক ধরে এ কাজই করছেন ডলি।
সবচেয়ে কম সময়ে শাড়ি পরারও রেকর্ড রয়েছে তার। কম সময়ে ১২৫ ভাবে শাড়ি পরানোর জন্য লিমকা বুক অব রেকর্ডসেও নাম উঠেছে তার। অনেক অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন। কর্মক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় বাইরে থাকতে হয় এ গৃহবধূর। ব্যক্তিজীবনে দুই কন্যার মা তিনি।
নাগরিক বিনোদন ডেস্ক
৩০ মে, ২০২৩, 9:09 AM
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় বসবাস করেন ডলি জৈন। একজন গৃহবধূ তিনি। কিন্তু ফ্যাশন দুনিয়ায় চর্চা রয়েছে, তার আঙুলের ছোঁয়ায় সাধারণ শাড়িরও চেহারা পাল্টে যায়।
বলিউড তারকারা এ কারণে নামি ব্র্যান্ডের গাউন ছেড়ে শাড়ি পরতে শরণাপন্ন হয়ে থাকেন ডলির। সাধারণভাবে শাড়ি পরিয়ে দিতেই অন্তত ৩৫ হাজার টাকা করে নেন তিনি। স্টাইল যত বাড়ে, পারিশ্রমিকও তত বাড়তে থাকে। শাড়ি পরানোর জন্য ২ লাখ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন ডলি। সম্প্রতি আগেই ফ্রান্সে কান চলচ্চিত্র উৎসবে শাড়ি পরে হাজির হয়েছিলেন বলিউডের এ প্রজন্মের অভিনেত্রী সারা আলি খান। সরু সাদা পাড়ের শাড়িটি অভিনেত্রীকে রেড কার্পেটের জন্য পরিয়ে দিয়েছিলেন ডলি। রেড কার্পেটে দীপিকা পাড়ুকোনকেও শাড়ি পরিয়েছিলেন তিনি।
গত কয়েক বছরে তারকাদের বিয়ে বা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে শাড়ি পরানোর জন্য বার বার ডাক পেয়েছেন ডলি। অভিনেত্রী কিয়ারা এবং সিদ্ধার্থ মালহোত্রার বিয়েতে নায়িকাকে শাড়ি এবং লেহেঙ্গা পরিয়েছিলেন। আবার সিদ্ধার্থকে উড়নিও পরিয়ে দিয়েছিলেন ডলি। নায়িকা প্রিয়াংকা চোপড়াকে বিয়ের সাজে সাজিয়েছিলেন এই ডলিই। দীপিকা পাডুকোনের বিয়ের শাড়িও তার পরানো। এমনকি অভিনেত্রী আলিয়া ভাট, ক্যাটরিনা কাইফ, নয়নতারাকেও বিয়ের দিন শাড়ি পরিয়েছেন কলকাতার এই গৃহবধূ।
এদিকে, শহিদ কাপুরের স্ত্রী মীরা থেকে শুরু করে নীতা আম্বানি, নীতু সিংহ, কারিশমা কাপুরকেও অনেকবার সাজিয়েছেন ডলি। তার জনপ্রিয়তা শুধু বলিউডেই সীমাবদ্ধ নয়। দেশটির ধনকুবের মুকেশ আম্বানির মেয়ে ইশা আম্বানিকেও বিয়ের শাড়ি পরিয়েছেন। মুকেশের ছেলের বউ শ্লোক মেহতা এবং হবু ছেলের বউ রাধিকা মার্চেন্টের বাগদানের অনুষ্ঠানে শাড়ি পরিয়েছেন। ভারতীয় তারকাদের, কাকে শাড়ি পরাননি ডলি? ক্রিকেটার হার্দিক পান্ডিয়ার বিয়েতে তার স্ত্রী নাতাশাকেও শাড়ি পরিয়েছেন। ডলি জানিয়েছেন, কলকাতায় এসে শাড়ি ছাড়া কিছু পরতে পারতেন না।
যা পরতে প্রতিদিন ৪৫ মিনিট সময় লাগতো তার। নিজের প্রয়োজনেই শাড়ি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। সময় বাঁচানোর জন্য নানাভাবে শাড়ি পরতেন। দেখা গেল, একসময় সেই স্টাইল প্রশংসিত হতে থাকে। একবার সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ছোট থেকেই পুতুলকে নানাভাবে শাড়ি পরাতেন। সেই পুরনো নেশা হঠাৎ করে পেয়ে বসে তাকে। একটি ম্যানিকুইন কিনে নানাভাবে শাড়ি পরানোর অভ্যাস করতেন। আবার মাঝরাতে নতুন কোনো স্টাইলের কথা মনে পরলে সঙ্গে সঙ্গে সেটি ম্যানিকুইনের ওপর প্র্যাকটিস করতেন বলেও জানিয়েছেন। প্রায় এক দশক ধরে এ কাজই করছেন ডলি।
সবচেয়ে কম সময়ে শাড়ি পরারও রেকর্ড রয়েছে তার। কম সময়ে ১২৫ ভাবে শাড়ি পরানোর জন্য লিমকা বুক অব রেকর্ডসেও নাম উঠেছে তার। অনেক অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন। কর্মক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় বাইরে থাকতে হয় এ গৃহবধূর। ব্যক্তিজীবনে দুই কন্যার মা তিনি।