বুবলীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ শাকিবের

#
news image

ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক শাকিব খান সম্প্রতি তার দ্বিতীয় স্ত্রী শবনম বুবলীর সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্নের কথা স্পষ্ট করেছিলেন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন বুবলী। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, তাদের সন্তানের দিকে তাকিয়ে অনেক কথাই প্রকাশ করতে পারছেন না। এরপর আবারো আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। চ্যানেল ২৪, এনটিভি, ইত্তেফাক

এবার বুবলীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ এনেছেন শাকিব খান। দেশের একটি গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন এই অভিনেতা। ওই সাক্ষাৎকারে ‘বুবলীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হলো কীভাবে?’ এমন প্রশ্নের উত্তরে শাকিব খান বলেন, ‘দেখুন, সে আমাকে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেল করে সম্পর্ক, সন্তান, অর্থবিত্ত, নাম সবই করেছে। আমিও তাকে অন্ধ বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু শেহজাদকে জন্ম দেওয়ার পর আমেরিকা থেকে দেশে এসে সে নানা স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে পড়ল। নানা জনের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলল। যা মিডিয়াসহ সবাই জানে। একই সঙ্গে সাড়ে ৩ কোটি টাকার ফ্ল্যাট এবং ৫৬ লাখ টাকার গাড়ির মালিক হলো, হঠাৎ করে এমন বিত্ত-বৈভবের মালিক হওয়া কীভাবে সম্ভব। কেউ যদি বিনা কারণে বিশ্বাসভঙ্গ করে বা বিশ্বাসঘাতকতা করে তাহলে তার সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে কনটিনিউ করা যায় আপনারাই বলুন।’

শাকিব আরো বলেন, ‘আমি আসলে সরল মনে অনেককেই বিশ্বাস করেছি। কিন্তু সবাই আমার সরলতাকে দুর্বলতা ভেবে ধোঁকা দিয়েছে। অকৃতজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছে। আমি এখন আর কারো সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখতে চাই না। আর কোনো মানসিক চাপ সহ্য করতে চাই না। শুধু দুই সন্তান জয় ও বীরকে নিয়ে বাকি জীবনটা সাধারণ মানুষের মতো পরম শান্তিতে কাটাতে চাই।’

বীরের জন্মের খবর গোপন রাখা প্রসঙ্গে শাকিব বলেন, ‘পার্সোনাল বিষয়কে আমি কখনো ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করতে চাই না। তাই কাউকে কিছু বলিনি। কিন্তু বুবলীকে তো কাউকে বলতে বারণ করিনি। সে কেন তখন এ নিয়ে কিছু বলল না। সে এতটাই ক্রিটিক্যাল মাইন্ডের যে, গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর আমার ছেলে জয়ের জন্মদিনে তার বেবি বাম্পের ছবি প্রকাশ করে আমাকে বিব্রত ও ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করল। একই সঙ্গে নানাজনের সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্কের স্ক্যান্ডাল চাপা দিতেই সে তখন হুট করে তার বেবি বাম্পের ছবি প্রকাশ করে বসল। তার মনে যদি কোনো দুষ্ট বুদ্ধি না থাকত তাহলে সে তো আগেই এই ছবি প্রকাশ্যে আনতে পারত। এখন আবার কোন স্বার্থ হাসিল করতে আমার সঙ্গে সম্পর্কের কথা তুলে সে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছে।’ 

বুবলীর দাবি অনুযায়ী গেল ঈদ একসঙ্গে কাটানো প্রসঙ্গে শাকিব বলেন, ‘আমাকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করার জন্য এটিও তার একটি পাতা ফাঁদ ছিল। তার সঙ্গে সম্পর্কের পর এক দিনের জন্যও সে আমাদের বাসায় থাকেনি। আমার বাসার কারো সঙ্গে তার কথাও হয়নি। আগে পরিচয়ও ছিল না। সে জোর করে আমার বাসায় এসে সিন ক্রিয়েট করার চেষ্টা করে।’

শেহজাদের জন্মদিনেও বুবলী জোর করে শাকিবের বাসায় গিয়েছিলেন। এমনটি জানিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘শেহজাদকে তার নানিই আমার বাসায় নিয়ে আসে। অথচ ঈদের দিনও পরিকল্পিতভাবে বুবলী আমার বাসায় এসেছে। যেখানে আমার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্কই নেই, সেখানে আমার বাসায় সে আসবে কেন? ঈদের দিন বাসায় কেউ এলে তাকে তো আর বের করে দেওয়া যায় না। অথচ এর আগে একবার তাকে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া হয়েছিল।

যাক, ঈদের দিন সে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই একসঙ্গে বাসার সবাই বসে খেয়েছি। তারপর শেহজাদকে নিয়ে গাড়িতে করে যখন বেড়াতে বের হচ্ছিলাম তখন বুবলীও গাড়িতে উঠে পড়ে এবং পেছনের সিটে বসে থাকে। তার রান্না করা বা তার হাতে কোনো খাবারই আমি খাইনি। আসলে সেদিন ঈদের সুযোগ নিয়ে সে আমার বাসায় এসেছিল। মিথ্যা বলে আবার আমাকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য এবং পরে সে ফেসবুকে মিথ্যা স্ট্যাটাস দিয়ে তাই করার চেষ্টা করেছে।’

নাগরিক বিনোদন ডেস্ক

১৪ মে, ২০২৩,  5:53 PM

news image

ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক শাকিব খান সম্প্রতি তার দ্বিতীয় স্ত্রী শবনম বুবলীর সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্নের কথা স্পষ্ট করেছিলেন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন বুবলী। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, তাদের সন্তানের দিকে তাকিয়ে অনেক কথাই প্রকাশ করতে পারছেন না। এরপর আবারো আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। চ্যানেল ২৪, এনটিভি, ইত্তেফাক

এবার বুবলীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ এনেছেন শাকিব খান। দেশের একটি গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন এই অভিনেতা। ওই সাক্ষাৎকারে ‘বুবলীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হলো কীভাবে?’ এমন প্রশ্নের উত্তরে শাকিব খান বলেন, ‘দেখুন, সে আমাকে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেল করে সম্পর্ক, সন্তান, অর্থবিত্ত, নাম সবই করেছে। আমিও তাকে অন্ধ বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু শেহজাদকে জন্ম দেওয়ার পর আমেরিকা থেকে দেশে এসে সে নানা স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে পড়ল। নানা জনের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলল। যা মিডিয়াসহ সবাই জানে। একই সঙ্গে সাড়ে ৩ কোটি টাকার ফ্ল্যাট এবং ৫৬ লাখ টাকার গাড়ির মালিক হলো, হঠাৎ করে এমন বিত্ত-বৈভবের মালিক হওয়া কীভাবে সম্ভব। কেউ যদি বিনা কারণে বিশ্বাসভঙ্গ করে বা বিশ্বাসঘাতকতা করে তাহলে তার সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে কনটিনিউ করা যায় আপনারাই বলুন।’

শাকিব আরো বলেন, ‘আমি আসলে সরল মনে অনেককেই বিশ্বাস করেছি। কিন্তু সবাই আমার সরলতাকে দুর্বলতা ভেবে ধোঁকা দিয়েছে। অকৃতজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছে। আমি এখন আর কারো সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখতে চাই না। আর কোনো মানসিক চাপ সহ্য করতে চাই না। শুধু দুই সন্তান জয় ও বীরকে নিয়ে বাকি জীবনটা সাধারণ মানুষের মতো পরম শান্তিতে কাটাতে চাই।’

বীরের জন্মের খবর গোপন রাখা প্রসঙ্গে শাকিব বলেন, ‘পার্সোনাল বিষয়কে আমি কখনো ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করতে চাই না। তাই কাউকে কিছু বলিনি। কিন্তু বুবলীকে তো কাউকে বলতে বারণ করিনি। সে কেন তখন এ নিয়ে কিছু বলল না। সে এতটাই ক্রিটিক্যাল মাইন্ডের যে, গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর আমার ছেলে জয়ের জন্মদিনে তার বেবি বাম্পের ছবি প্রকাশ করে আমাকে বিব্রত ও ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করল। একই সঙ্গে নানাজনের সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্কের স্ক্যান্ডাল চাপা দিতেই সে তখন হুট করে তার বেবি বাম্পের ছবি প্রকাশ করে বসল। তার মনে যদি কোনো দুষ্ট বুদ্ধি না থাকত তাহলে সে তো আগেই এই ছবি প্রকাশ্যে আনতে পারত। এখন আবার কোন স্বার্থ হাসিল করতে আমার সঙ্গে সম্পর্কের কথা তুলে সে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছে।’ 

বুবলীর দাবি অনুযায়ী গেল ঈদ একসঙ্গে কাটানো প্রসঙ্গে শাকিব বলেন, ‘আমাকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করার জন্য এটিও তার একটি পাতা ফাঁদ ছিল। তার সঙ্গে সম্পর্কের পর এক দিনের জন্যও সে আমাদের বাসায় থাকেনি। আমার বাসার কারো সঙ্গে তার কথাও হয়নি। আগে পরিচয়ও ছিল না। সে জোর করে আমার বাসায় এসে সিন ক্রিয়েট করার চেষ্টা করে।’

শেহজাদের জন্মদিনেও বুবলী জোর করে শাকিবের বাসায় গিয়েছিলেন। এমনটি জানিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘শেহজাদকে তার নানিই আমার বাসায় নিয়ে আসে। অথচ ঈদের দিনও পরিকল্পিতভাবে বুবলী আমার বাসায় এসেছে। যেখানে আমার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্কই নেই, সেখানে আমার বাসায় সে আসবে কেন? ঈদের দিন বাসায় কেউ এলে তাকে তো আর বের করে দেওয়া যায় না। অথচ এর আগে একবার তাকে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া হয়েছিল।

যাক, ঈদের দিন সে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই একসঙ্গে বাসার সবাই বসে খেয়েছি। তারপর শেহজাদকে নিয়ে গাড়িতে করে যখন বেড়াতে বের হচ্ছিলাম তখন বুবলীও গাড়িতে উঠে পড়ে এবং পেছনের সিটে বসে থাকে। তার রান্না করা বা তার হাতে কোনো খাবারই আমি খাইনি। আসলে সেদিন ঈদের সুযোগ নিয়ে সে আমার বাসায় এসেছিল। মিথ্যা বলে আবার আমাকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য এবং পরে সে ফেসবুকে মিথ্যা স্ট্যাটাস দিয়ে তাই করার চেষ্টা করেছে।’