ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন: শোকজের জবাব দিয়েছে তিন অভিযুক্ত শিক্ষার্থী

মোঃ সাব্বির খান, ইবি
০৬ এপ্রিল, ২০২৩, 11:02 AM

ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন: শোকজের জবাব দিয়েছে তিন অভিযুক্ত শিক্ষার্থী
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় বাকী তিন অভিযুক্ত ছাত্রী শোকজের জবাব দিয়েছে। বুধবার (০৫ এপ্রিল) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ.এম আলী হাসান। তিন অভিযুক্তদের জবাব দেওয়ার শেষ দিন ছিলো আজ বুধবার।
এর আগে গত ৪ মার্চ ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে পাঁচ অভিযুক্তকে সাময়িক বহিষ্কার করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে কেন তাঁদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না এ মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ১৫ মার্চের মধ্যে অভিযুক্তদের জবাব দিতে বলা হয়।
নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান জবাব দেন। অপরদিকে বাকী তিন অভিযুক্ত পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম ও চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার উর্মি জবাব না দিয়ে সময় বাড়ানোর আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁদের জবাব দেওয়ার সময়সীমা আজ বুধবার (৫ এপ্রিল) পযর্ন্ত বাড়িয়ে দেয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ.এম আলী হাসান বলেন, আমরা অভিযুক্ত পাঁচ জনের জবাব পেয়েছি। এখন ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি পর্যালোচনা করে একাডেমী কাউন্সিলে পাঠাবে। পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে সিন্ডিকেটে।
এদিকে ফুলপরীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করা মোবাইলটি এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর চিঠি দেয়। তবে ফোনটি এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননূর যায়েদ বিপ্লব।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, ’উচ্চ আদালতের পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনার কপি আমাদের হাতে আসার পর নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ৭ মার্চ মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের জন্য রেজিস্ট্রার ইবি থানায় লিখিত চিঠি দিয়েছেন।’
ওসি আননূর যায়েদ বিপ্লব জানান, এখনও উদ্ধার হয়নি। উদ্ধার কার্যক্রম এখনও চলমান রয়েছে।
১২ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ফুলপরী খাতুনকে আটকে রাতভর নির্যাতন করা হয়। তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল এবং এ ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন, ছাত্রলীগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের গঠিত কমিটি তদন্ত করে। তিন কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে নির্যাতনের সত্যতা মিলেছে।
মোঃ সাব্বির খান, ইবি
০৬ এপ্রিল, ২০২৩, 11:02 AM

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় বাকী তিন অভিযুক্ত ছাত্রী শোকজের জবাব দিয়েছে। বুধবার (০৫ এপ্রিল) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ.এম আলী হাসান। তিন অভিযুক্তদের জবাব দেওয়ার শেষ দিন ছিলো আজ বুধবার।
এর আগে গত ৪ মার্চ ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে পাঁচ অভিযুক্তকে সাময়িক বহিষ্কার করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে কেন তাঁদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না এ মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ১৫ মার্চের মধ্যে অভিযুক্তদের জবাব দিতে বলা হয়।
নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান জবাব দেন। অপরদিকে বাকী তিন অভিযুক্ত পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম ও চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার উর্মি জবাব না দিয়ে সময় বাড়ানোর আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁদের জবাব দেওয়ার সময়সীমা আজ বুধবার (৫ এপ্রিল) পযর্ন্ত বাড়িয়ে দেয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ.এম আলী হাসান বলেন, আমরা অভিযুক্ত পাঁচ জনের জবাব পেয়েছি। এখন ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি পর্যালোচনা করে একাডেমী কাউন্সিলে পাঠাবে। পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে সিন্ডিকেটে।
এদিকে ফুলপরীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করা মোবাইলটি এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর চিঠি দেয়। তবে ফোনটি এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননূর যায়েদ বিপ্লব।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, ’উচ্চ আদালতের পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনার কপি আমাদের হাতে আসার পর নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ৭ মার্চ মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের জন্য রেজিস্ট্রার ইবি থানায় লিখিত চিঠি দিয়েছেন।’
ওসি আননূর যায়েদ বিপ্লব জানান, এখনও উদ্ধার হয়নি। উদ্ধার কার্যক্রম এখনও চলমান রয়েছে।
১২ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ফুলপরী খাতুনকে আটকে রাতভর নির্যাতন করা হয়। তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল এবং এ ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন, ছাত্রলীগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের গঠিত কমিটি তদন্ত করে। তিন কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে নির্যাতনের সত্যতা মিলেছে।