বিসিবির কাছে টবি রেডফোর্ডের আবদার!

#
news image

তিনি আসবেন। কাজ করবেন হাই পারফরমেন্স ইউনিটের প্রধান কোচ হিসেবে। জাতীয় দলের পাইপ লাইন ঠিক করতে সম্ভাবনাময় তরুণ প্রতিশ্রতিশীল ক্রিকেটারদের ঘষা-মাজার কাজটি ইংলিশ কোচ টবি রেডফোর্ডের হাতেই ন্যাস্ত করার পরিকল্পনা ছিল এএইচপি ব্যবস্থাপক কমিটি তথা বিসিবির।
সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ১ জুন বুধবার থেকে হাই পারফরমেন্স ইউনিটের দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুশীলন পরিচালনা শুরুর কথা ছিল টবি রেডফোর্ডের। তার সঙ্গে সব কথা বার্তাও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। আজ-কালের মধ্যে তার ঢাকা আসারও কথা ছিল।
কিন্তু ভেতরের খবর, একদম শেষ মুহূর্তে হঠাৎ সৃষ্টি হয়েছে জটিলতার। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এইচপির হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব শুরুর ঠিক আগে ইংলিশ রেডফোর্ড নিজেই এমন এক অদ্ভুত দাবি তুলেছেন, যাতে তার কোচ হিসেবে কাজ করা নিয়েই সংশয় জেগেছে। রেডফোর্ডের এইচপির কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেয়ায় তৈরি হয়েছে বিরাট অনিশ্চয়তার।
বিসিবির নির্ভরযোগ্য ও দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে আসার দিন তারিখ নির্ধারিত হয়ে যাওয়ার পর হঠাৎ করে তার পুরো পারিশ্রমিক একসঙ্গে অগ্রিম দাবি করেন টবি রেডফোর্ড। তার এই দাবি নিয়ে চরম বিপাকে এইচপি ব্যবস্থাপকরা।
হাই পারফরম্যান্স ইউনিট পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত বিসিবির এক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা গতকাল সোমবার বিকেলে সংবাদমাধ্যপমকে জানিয়েছেন, কথা-বার্তা চূড়ান্ত। তার কাজ শুরু করতে ঢাকা আসার কথা। এরকম সময় হঠাৎ তার দাবি, আমার সঙ্গে বছরে যে ১০০ কর্ম দিবসের চুক্তি হয়েছে, তার পুরো অর্থ একসঙ্গে অগ্রিম দিতে হবে।
বিসিবির সেই কর্মকর্তা আরও যোগ করেন, ‘রেডফোর্ডের এ দাবিতে আমরা রীতিমত বিপাকে পড়ে গেছি। কারণ আমরা তো আর ভিনদেশি কোচ হিসেবে তার বেতন-ভাতা দেয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রচলিত নিয়ম-নীতির বাইরে যেতে পারবো না। সেখানে কোন ভিনদেশির পুরো বেতন অগ্রিম দেয়ার কোনই নিয়ম নেই। আমাদের জাতীয় দল ও বিভিন্ন বয়স ভিত্তিক জাতীয় দলের কোনো ভিনদেশি কোচিং স্টাফকেই তার এক বছরের পুরো কর্ম দিবসের বেতন এক সঙ্গে অগ্রিম দেয়া হয়নি। হয়ও না।’
‘কিন্তু টবি রেডফোর্ড চুক্তিকৃত ১০০ দিনের (এই দিনগুলোই তার এইচপির হেড কোচ হিসেবে কাজ করার কথা) পুরো অর্থ অগ্রিম চাচ্ছেন।’
এইচপির সেই কর্মকর্তার কথায় পরিস্কার, এমন অদ্ভুত দাবির প্রেক্ষিতে টবি রেডফোর্ডের এইচপি ইউনিটের সঙ্গে কাজ করা নিয়ে রীতিমত জটিলতা ও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থায় এ ইংরেজ শেষ পর্যন্ত এইচপির হেড কোচ থাকেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।
প্রসঙ্গতঃ এ বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কান পেস বোলিং কোচ চম্পাকা রামানায়েকের অধীনে সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এইচপির প্রথম পর্বের অনুশীলন।

প্রভাতী খবর ডেস্ক

০১ জুন, ২০২২,  12:09 AM

news image

তিনি আসবেন। কাজ করবেন হাই পারফরমেন্স ইউনিটের প্রধান কোচ হিসেবে। জাতীয় দলের পাইপ লাইন ঠিক করতে সম্ভাবনাময় তরুণ প্রতিশ্রতিশীল ক্রিকেটারদের ঘষা-মাজার কাজটি ইংলিশ কোচ টবি রেডফোর্ডের হাতেই ন্যাস্ত করার পরিকল্পনা ছিল এএইচপি ব্যবস্থাপক কমিটি তথা বিসিবির।
সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ১ জুন বুধবার থেকে হাই পারফরমেন্স ইউনিটের দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুশীলন পরিচালনা শুরুর কথা ছিল টবি রেডফোর্ডের। তার সঙ্গে সব কথা বার্তাও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। আজ-কালের মধ্যে তার ঢাকা আসারও কথা ছিল।
কিন্তু ভেতরের খবর, একদম শেষ মুহূর্তে হঠাৎ সৃষ্টি হয়েছে জটিলতার। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এইচপির হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব শুরুর ঠিক আগে ইংলিশ রেডফোর্ড নিজেই এমন এক অদ্ভুত দাবি তুলেছেন, যাতে তার কোচ হিসেবে কাজ করা নিয়েই সংশয় জেগেছে। রেডফোর্ডের এইচপির কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেয়ায় তৈরি হয়েছে বিরাট অনিশ্চয়তার।
বিসিবির নির্ভরযোগ্য ও দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে আসার দিন তারিখ নির্ধারিত হয়ে যাওয়ার পর হঠাৎ করে তার পুরো পারিশ্রমিক একসঙ্গে অগ্রিম দাবি করেন টবি রেডফোর্ড। তার এই দাবি নিয়ে চরম বিপাকে এইচপি ব্যবস্থাপকরা।
হাই পারফরম্যান্স ইউনিট পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত বিসিবির এক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা গতকাল সোমবার বিকেলে সংবাদমাধ্যপমকে জানিয়েছেন, কথা-বার্তা চূড়ান্ত। তার কাজ শুরু করতে ঢাকা আসার কথা। এরকম সময় হঠাৎ তার দাবি, আমার সঙ্গে বছরে যে ১০০ কর্ম দিবসের চুক্তি হয়েছে, তার পুরো অর্থ একসঙ্গে অগ্রিম দিতে হবে।
বিসিবির সেই কর্মকর্তা আরও যোগ করেন, ‘রেডফোর্ডের এ দাবিতে আমরা রীতিমত বিপাকে পড়ে গেছি। কারণ আমরা তো আর ভিনদেশি কোচ হিসেবে তার বেতন-ভাতা দেয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রচলিত নিয়ম-নীতির বাইরে যেতে পারবো না। সেখানে কোন ভিনদেশির পুরো বেতন অগ্রিম দেয়ার কোনই নিয়ম নেই। আমাদের জাতীয় দল ও বিভিন্ন বয়স ভিত্তিক জাতীয় দলের কোনো ভিনদেশি কোচিং স্টাফকেই তার এক বছরের পুরো কর্ম দিবসের বেতন এক সঙ্গে অগ্রিম দেয়া হয়নি। হয়ও না।’
‘কিন্তু টবি রেডফোর্ড চুক্তিকৃত ১০০ দিনের (এই দিনগুলোই তার এইচপির হেড কোচ হিসেবে কাজ করার কথা) পুরো অর্থ অগ্রিম চাচ্ছেন।’
এইচপির সেই কর্মকর্তার কথায় পরিস্কার, এমন অদ্ভুত দাবির প্রেক্ষিতে টবি রেডফোর্ডের এইচপি ইউনিটের সঙ্গে কাজ করা নিয়ে রীতিমত জটিলতা ও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থায় এ ইংরেজ শেষ পর্যন্ত এইচপির হেড কোচ থাকেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।
প্রসঙ্গতঃ এ বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কান পেস বোলিং কোচ চম্পাকা রামানায়েকের অধীনে সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এইচপির প্রথম পর্বের অনুশীলন।