কাউন্টারে নেই যাত্রীদের চাপ, সহজেই মিলছে অগ্রিম টিকিট

নাগরিক প্রতিবেদক
০৩ এপ্রিল, ২০২৩, 3:46 PM

কাউন্টারে নেই যাত্রীদের চাপ, সহজেই মিলছে অগ্রিম টিকিট
যাত্রার ১০ দিন আগের আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে গত শনিবার। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের নেওয়া নতুন এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দ্বিতীয় দিন রোববার রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাউন্টার অনেকটাই ফাঁকা। অগ্রিম টিকিট কিনতে যাত্রীদের তেমন ভিড় নেই। ফলে যারাই অগ্রিম টিকিট কাটতে আসছেন সহজেই পাঁচ্ছেন টিকিট।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, কাউন্টারে অগ্রিম টিকিট কাঁটার যাত্রীদের বাড়তি চাপ নেই। বর্তমানে কোনো ধরনের কোটা ছাড়াই অনলাইন ও কাউন্টারে একসঙ্গে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। পর্যাপ্ত টিকিট থাকায় যারাই কাউন্টারে আসছেন সহজেই টিকিট পাঁচ্ছেন। তবে রমজানের শুরুতে যাত্রীদের চাপ কিছুটা কম থাকে। রমজানের শেষ দিকে যাত্রীদের চাপ বাড়ে। রোববার রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে যাত্রী ও রেলওয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে। গত শনিবার থেকে কাউন্টার ও অনলাইনের মাধ্যমে যুগপৎভাবে সব টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। যতক্ষণ টিকিট থাকছে ততক্ষণ অনলাইন বা কাউন্টার থেকে টিকিট কাটা যাচ্ছে। অনলাইন বা কাউন্টারে পৃথক কোনো কোটা রাখা হয়নি। ফলে অনলাইনের পাশাপাশি কাউন্টারে এসেও সহজেই টিকিট পাঁচ্ছেন যাত্রীরা। রাজধানীর মুগদা থেকে আসা কারিমুল ইসলাম বলেন, আগামী ৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট কাটতে আসলাম।
অনলাইনে নিবন্ধন করেছি। এসে তেমন লাইন পাইনি। ১০ মিনিটের মধ্যেই টিকিট পেয়ে গেলাম। রাজধানীর সদরঘাট থেকে আসা অসীম কুমার রায় বলেন, এখন ঝামেলা অনেকটাই কম। আগে যেমন টিকিট কাটতে এনআইডি আনতে হতো, এখন রেজিস্ট্রেশন করা ফোন নম্বর বললেই হচ্ছে। আবার কাউন্টারেও ভিড় কম, সহজেই টিকিট পেয়েছি। আগামী ৫ এপ্রিল জয়দেবপুর যেতে অগ্রিম টিকিট কাটতে আসেন মমিন খান। তিনি বলেন, অগ্রিম টিকিট কাটতে আসলাম। তেমন চাপ নেই। কিছুক্ষণের মধ্যেই টিকিট কাটতে পেরেছি। টিকিট কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা সাজ্জাদ বলেন, কাউন্টারে অগ্রিম টিকিট কাঁটার যাত্রীদের বাড়তি চাপ নেই। অনলাইন ও কাউন্টারে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। পর্যাপ্ত টিকিট থাকায় কাউন্টারে যারাই আসছেন সহজেই টিকিট পাঁচ্ছেন। তবে রমজানের শুরুতে চাপ কিছুটা কম থাকে। শেষ দিকে ঈদের ছুটিতে ঘরে ফেরা যাত্রীদের চাপ অনেক বেড়ে যায়।
গত ২২ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে অগ্রিম টিকিট বিক্রির ঘোষণা দেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। গত শনিবার থেকে নতুন নিয়মে ১০ দিন আগের অগ্রিম টিকিট ব্যবস্থা চালু হয়। এ ছাড়া আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের অগ্রিম টিকিট আগামী ৭ এপ্রিল থেকে দেওয়ার কথা রয়েছে। এবারের ঈদুল ফিতরের অগ্রিম ও ফেরত যাত্রার টিকিট শতভাগ অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।
এই সুবিধা পেতে যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করতে অনুরোধ জানিয়েছিল রেলপথ মন্ত্রণালয়। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরে আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট ১৭ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত শুধু অনলাইন বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে কাটা যাবে। টিকিট কাটতে রেলওয়ে টিকেটিং ওয়েব পোর্টাল, ‘জধরষ ঝযবনধ’ অ্যাপ বা যে কোনো মোবাইল থেকে এসএমএস করার মাধ্যমে ঘওউ/ পাসপোর্ট/ জন্মনিবন্ধন যাচাই পূর্বক রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
নাগরিক প্রতিবেদক
০৩ এপ্রিল, ২০২৩, 3:46 PM

যাত্রার ১০ দিন আগের আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে গত শনিবার। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের নেওয়া নতুন এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দ্বিতীয় দিন রোববার রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাউন্টার অনেকটাই ফাঁকা। অগ্রিম টিকিট কিনতে যাত্রীদের তেমন ভিড় নেই। ফলে যারাই অগ্রিম টিকিট কাটতে আসছেন সহজেই পাঁচ্ছেন টিকিট।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, কাউন্টারে অগ্রিম টিকিট কাঁটার যাত্রীদের বাড়তি চাপ নেই। বর্তমানে কোনো ধরনের কোটা ছাড়াই অনলাইন ও কাউন্টারে একসঙ্গে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। পর্যাপ্ত টিকিট থাকায় যারাই কাউন্টারে আসছেন সহজেই টিকিট পাঁচ্ছেন। তবে রমজানের শুরুতে যাত্রীদের চাপ কিছুটা কম থাকে। রমজানের শেষ দিকে যাত্রীদের চাপ বাড়ে। রোববার রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে যাত্রী ও রেলওয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে। গত শনিবার থেকে কাউন্টার ও অনলাইনের মাধ্যমে যুগপৎভাবে সব টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। যতক্ষণ টিকিট থাকছে ততক্ষণ অনলাইন বা কাউন্টার থেকে টিকিট কাটা যাচ্ছে। অনলাইন বা কাউন্টারে পৃথক কোনো কোটা রাখা হয়নি। ফলে অনলাইনের পাশাপাশি কাউন্টারে এসেও সহজেই টিকিট পাঁচ্ছেন যাত্রীরা। রাজধানীর মুগদা থেকে আসা কারিমুল ইসলাম বলেন, আগামী ৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট কাটতে আসলাম।
অনলাইনে নিবন্ধন করেছি। এসে তেমন লাইন পাইনি। ১০ মিনিটের মধ্যেই টিকিট পেয়ে গেলাম। রাজধানীর সদরঘাট থেকে আসা অসীম কুমার রায় বলেন, এখন ঝামেলা অনেকটাই কম। আগে যেমন টিকিট কাটতে এনআইডি আনতে হতো, এখন রেজিস্ট্রেশন করা ফোন নম্বর বললেই হচ্ছে। আবার কাউন্টারেও ভিড় কম, সহজেই টিকিট পেয়েছি। আগামী ৫ এপ্রিল জয়দেবপুর যেতে অগ্রিম টিকিট কাটতে আসেন মমিন খান। তিনি বলেন, অগ্রিম টিকিট কাটতে আসলাম। তেমন চাপ নেই। কিছুক্ষণের মধ্যেই টিকিট কাটতে পেরেছি। টিকিট কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা সাজ্জাদ বলেন, কাউন্টারে অগ্রিম টিকিট কাঁটার যাত্রীদের বাড়তি চাপ নেই। অনলাইন ও কাউন্টারে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। পর্যাপ্ত টিকিট থাকায় কাউন্টারে যারাই আসছেন সহজেই টিকিট পাঁচ্ছেন। তবে রমজানের শুরুতে চাপ কিছুটা কম থাকে। শেষ দিকে ঈদের ছুটিতে ঘরে ফেরা যাত্রীদের চাপ অনেক বেড়ে যায়।
গত ২২ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে অগ্রিম টিকিট বিক্রির ঘোষণা দেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। গত শনিবার থেকে নতুন নিয়মে ১০ দিন আগের অগ্রিম টিকিট ব্যবস্থা চালু হয়। এ ছাড়া আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের অগ্রিম টিকিট আগামী ৭ এপ্রিল থেকে দেওয়ার কথা রয়েছে। এবারের ঈদুল ফিতরের অগ্রিম ও ফেরত যাত্রার টিকিট শতভাগ অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।
এই সুবিধা পেতে যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করতে অনুরোধ জানিয়েছিল রেলপথ মন্ত্রণালয়। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরে আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট ১৭ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত শুধু অনলাইন বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে কাটা যাবে। টিকিট কাটতে রেলওয়ে টিকেটিং ওয়েব পোর্টাল, ‘জধরষ ঝযবনধ’ অ্যাপ বা যে কোনো মোবাইল থেকে এসএমএস করার মাধ্যমে ঘওউ/ পাসপোর্ট/ জন্মনিবন্ধন যাচাই পূর্বক রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।