রমজানের পবিত্রতাও নষ্ট করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
নাগরিক প্রতিবেদক
২৫ মার্চ, ২০২৩, 7:12 PM
রমজানের পবিত্রতাও নষ্ট করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
রমজান মাসে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে বিএনপি রমজানের পবিত্রতাও নষ্ট করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, অতীতে আমরা কখনোই পবিত্র রমজান মাসে আন্দোলনের ঘোষণা দেখিনি।
কারণ, সবাই রমজানের পবিত্রতা বজায় রেখে রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে বিরত থাকেন। রমজানে ইফতার পার্টি হয়, সেখানে কথাবার্তা হয় এবং অন্যান্য কর্মসূচি থাকে। বিএনপির কর্মসূচি দেখে মনে হচ্ছে তারা রমজানের পবিত্রতাটুকুও নষ্ট করতে চায়। শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি রমজানেও মানুষকে স্বস্তি দিতে চায় না। তারা রমজানেও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে, যা অনভিপ্রেত। রমজানে পর্যাপ্ত পণ্য মজুত থাকা সত্ত্বেও যারা বাজারে দাম বাড়াচ্ছে, তাদের ‘গণবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে ড. হাছান বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে রমজান কিংবা কোনো উৎসব-পার্বণ এলে আমাদের দেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফার লোভে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।
বাংলাদেশে রমজান সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমদানিনির্ভর পণ্য থেকে শুরু করে উৎপাদননির্ভর পণ্যসহ সব পণ্যের সরবরাহ যেন ঠিক থাকে সে ব্যবস্থা করেছেন। ফলে খাদ্যপণ্যের মজুত এখন শুধু যথেষ্টই নয়, বরং প্রয়োজনের চেয়ে বেশি। রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমাদের খাদ্যনীতিতে বলা আছে, দেশে যদি ১০ লাখ টন খাদ্যপণ্য মজুত থাকে তাহলে সেটি নিরাপদ। কিন্তু বর্তমানে ২০ লাখ টনের চেয়ে বেশি খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। কোনো কোনো পণ্য রমজানে চাহিদার চেয়েও অতিরিক্ত মজুত রয়েছে। তিনি বলেন, এরপরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও মজুতদার রমজানের সুযোগ নিয়ে পণ্যমূল্য বাড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যারা মূল্যবৃদ্ধি করে গণবিরোধী কাজে লিপ্ত হবেন তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
প্রয়োজনে শাস্তির বিধান রাখা হবে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা এরইমধ্যে সক্রিয় হয়েছে। বাজার মনিটরিং চলছে। শিগগির এ মনিটরিং উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। তবে এ ব্যাপারে জনগণকেও সতর্ক থাকতে হবে। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য বাড়লেও আমাদের দেশে ইউরোপণ্ডআমেরিকার দেশগুলোর মত খাদ্যপণ্যের সংকট তৈরি হয়নি- এ কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রমজানে যেন কেউ বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে এ ক্ষেত্রে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকেও ভূমিকা রাখতে হবে।
নাগরিক প্রতিবেদক
২৫ মার্চ, ২০২৩, 7:12 PM
রমজান মাসে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে বিএনপি রমজানের পবিত্রতাও নষ্ট করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, অতীতে আমরা কখনোই পবিত্র রমজান মাসে আন্দোলনের ঘোষণা দেখিনি।
কারণ, সবাই রমজানের পবিত্রতা বজায় রেখে রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে বিরত থাকেন। রমজানে ইফতার পার্টি হয়, সেখানে কথাবার্তা হয় এবং অন্যান্য কর্মসূচি থাকে। বিএনপির কর্মসূচি দেখে মনে হচ্ছে তারা রমজানের পবিত্রতাটুকুও নষ্ট করতে চায়। শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি রমজানেও মানুষকে স্বস্তি দিতে চায় না। তারা রমজানেও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে, যা অনভিপ্রেত। রমজানে পর্যাপ্ত পণ্য মজুত থাকা সত্ত্বেও যারা বাজারে দাম বাড়াচ্ছে, তাদের ‘গণবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে ড. হাছান বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে রমজান কিংবা কোনো উৎসব-পার্বণ এলে আমাদের দেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফার লোভে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।
বাংলাদেশে রমজান সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমদানিনির্ভর পণ্য থেকে শুরু করে উৎপাদননির্ভর পণ্যসহ সব পণ্যের সরবরাহ যেন ঠিক থাকে সে ব্যবস্থা করেছেন। ফলে খাদ্যপণ্যের মজুত এখন শুধু যথেষ্টই নয়, বরং প্রয়োজনের চেয়ে বেশি। রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমাদের খাদ্যনীতিতে বলা আছে, দেশে যদি ১০ লাখ টন খাদ্যপণ্য মজুত থাকে তাহলে সেটি নিরাপদ। কিন্তু বর্তমানে ২০ লাখ টনের চেয়ে বেশি খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। কোনো কোনো পণ্য রমজানে চাহিদার চেয়েও অতিরিক্ত মজুত রয়েছে। তিনি বলেন, এরপরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও মজুতদার রমজানের সুযোগ নিয়ে পণ্যমূল্য বাড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যারা মূল্যবৃদ্ধি করে গণবিরোধী কাজে লিপ্ত হবেন তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
প্রয়োজনে শাস্তির বিধান রাখা হবে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা এরইমধ্যে সক্রিয় হয়েছে। বাজার মনিটরিং চলছে। শিগগির এ মনিটরিং উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। তবে এ ব্যাপারে জনগণকেও সতর্ক থাকতে হবে। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য বাড়লেও আমাদের দেশে ইউরোপণ্ডআমেরিকার দেশগুলোর মত খাদ্যপণ্যের সংকট তৈরি হয়নি- এ কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রমজানে যেন কেউ বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে এ ক্ষেত্রে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকেও ভূমিকা রাখতে হবে।