নান্দাইলে ক্লাস বর্জন করে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ সমাবেশ

#
news image

ময়মনসিংহের নান্দাইলে অন্যতম মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইমাম হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বৃহস্পতিবার (১৬ই মার্চ) র‌্যালী ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সোহেলকে অনৈতিকভাবে প্রধান শিক্ষক পদ থেকে বাদ দেওয়ায় নিয়োগ কমিটির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা এই প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে বিদ্যালয়ে বিভিন্ন কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয়। জানাগেছে, উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের ইমাম হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগে দৈনিক স্বজন ও জাতীয় পত্রিকা সমকালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে ৮জন প্রার্থী আবেদন করে। নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হয় ৭ই মার্চ। আবেদনকারীদের মাঝে মোস্তফা কামাল, মিজানুর রহমান, এ এস এম শফিকুল ইসলাম সোহেল সহ মোট তিন জন আবেদনকারী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে ও প্রধান শিক্ষক রুম, শিক্ষক মিলনায়তন এবং অফিস কক্ষে তালা দিতে দেখা যায়। স্থানীয় লোকজন জানায়, নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগেই গত ১২ মার্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ করে ক্লাস বর্জন করে ও প্রধান শিক্ষক রুম, শিক্ষক মিলনায়তন এবং অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

আজ আবার মেনেজিং কমিটির সভাপতি কামরুল ইসলাম টিটু বিদ্যালয়ে আসবে শুনেই পূনরায় ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। শিক্ষার্থীদের জানায়, আমাদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সোহেল স্যার। তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা থেকে শুরু করে সকল কিছুই উন্নতি হয়েছে। আর এখন যদি অন্য আরেক জনকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক করা হয়, তাহলে আমরা এটা কখনোই মেনে নেবে না। তাও আবার দুর্নীতির মাধ্যমে! দুর্নীতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হলে আমরা ক্লাস করবোনা।

এরই প্রতিবাদে গত ১২ তারিখের ন্যায় আবারও সকল ছাত্র-ছাত্রী ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল করেছি। এ বিষয়ে উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মালেক বলেন, রুটিন অনুযায়ী রুল কলের খাতা ও বই হাতে নিয়ে ক্লাস রুমের প্রবেশের সাথে সাথেই সকল শিক্ষার্থী ক্লাস থেকে বাইরে বের হয়ে যায়। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল করে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সোহেল জানান, আমি এই বিষয়ে কিছুই বলতে চাইনা, এটা শিক্ষার্থীদের মৌলিক দাবি। আমি তাদের দাবির পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলতে চাচ্ছিনা। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামরুল ইসলাম টিটু বলেন, এ এস এম শফিকুল ইসলাম সোহেল আমার চাচাতো ভাই। আমিই তাকে ১৯৯৫ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে ছিলাম।

বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ব্যক্তিকেই বিধি মোতাবেক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রমাণ হিসেবে এখনো পরীক্ষার খাতা আমার কাছে আছে। তাছাড়া নিয়োগ তো আমি দেইনি। দাপ্তরিক নিয়ম মেনেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমি আমার চাচাতো ভাই সোহেল কে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে ১৯৯৫ সালের ২৭ মার্চে নিয়োগ দিয়েই পাপ করেছি। এখন নিজের খেয়ে বনের মহিষ তাড়ানোর অবস্থা হয়েছে।

মোঃ শাহজাহান ফকির, নান্দাইল (ময়মনসিংহ) 

১৬ মার্চ, ২০২৩,  8:32 PM

news image

ময়মনসিংহের নান্দাইলে অন্যতম মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইমাম হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বৃহস্পতিবার (১৬ই মার্চ) র‌্যালী ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সোহেলকে অনৈতিকভাবে প্রধান শিক্ষক পদ থেকে বাদ দেওয়ায় নিয়োগ কমিটির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা এই প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে বিদ্যালয়ে বিভিন্ন কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয়। জানাগেছে, উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের ইমাম হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগে দৈনিক স্বজন ও জাতীয় পত্রিকা সমকালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে ৮জন প্রার্থী আবেদন করে। নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হয় ৭ই মার্চ। আবেদনকারীদের মাঝে মোস্তফা কামাল, মিজানুর রহমান, এ এস এম শফিকুল ইসলাম সোহেল সহ মোট তিন জন আবেদনকারী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে ও প্রধান শিক্ষক রুম, শিক্ষক মিলনায়তন এবং অফিস কক্ষে তালা দিতে দেখা যায়। স্থানীয় লোকজন জানায়, নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগেই গত ১২ মার্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ করে ক্লাস বর্জন করে ও প্রধান শিক্ষক রুম, শিক্ষক মিলনায়তন এবং অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

আজ আবার মেনেজিং কমিটির সভাপতি কামরুল ইসলাম টিটু বিদ্যালয়ে আসবে শুনেই পূনরায় ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। শিক্ষার্থীদের জানায়, আমাদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সোহেল স্যার। তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা থেকে শুরু করে সকল কিছুই উন্নতি হয়েছে। আর এখন যদি অন্য আরেক জনকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক করা হয়, তাহলে আমরা এটা কখনোই মেনে নেবে না। তাও আবার দুর্নীতির মাধ্যমে! দুর্নীতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হলে আমরা ক্লাস করবোনা।

এরই প্রতিবাদে গত ১২ তারিখের ন্যায় আবারও সকল ছাত্র-ছাত্রী ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল করেছি। এ বিষয়ে উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মালেক বলেন, রুটিন অনুযায়ী রুল কলের খাতা ও বই হাতে নিয়ে ক্লাস রুমের প্রবেশের সাথে সাথেই সকল শিক্ষার্থী ক্লাস থেকে বাইরে বের হয়ে যায়। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল করে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সোহেল জানান, আমি এই বিষয়ে কিছুই বলতে চাইনা, এটা শিক্ষার্থীদের মৌলিক দাবি। আমি তাদের দাবির পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলতে চাচ্ছিনা। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামরুল ইসলাম টিটু বলেন, এ এস এম শফিকুল ইসলাম সোহেল আমার চাচাতো ভাই। আমিই তাকে ১৯৯৫ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে ছিলাম।

বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ব্যক্তিকেই বিধি মোতাবেক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রমাণ হিসেবে এখনো পরীক্ষার খাতা আমার কাছে আছে। তাছাড়া নিয়োগ তো আমি দেইনি। দাপ্তরিক নিয়ম মেনেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমি আমার চাচাতো ভাই সোহেল কে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে ১৯৯৫ সালের ২৭ মার্চে নিয়োগ দিয়েই পাপ করেছি। এখন নিজের খেয়ে বনের মহিষ তাড়ানোর অবস্থা হয়েছে।