উজিরপুরে ঘন্টেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৬ জন শিক্ষক
মোঃ মাহফুজুর রহমান, উজিরপুর
১৬ মার্চ, ২০২৩, 8:10 PM
উজিরপুরে ঘন্টেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৬ জন শিক্ষক
বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের ১২১নং ঘন্টেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ জন শিক্ষার্থীর পাঠদানের জন্য ৬ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছে। ১৫ মার্চ বুধবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ওই স্কুলে মাত্র ৫জন শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত ছিলো।
অপর দিকে শিক্ষক রয়েছেন ৬জন। এছাড়া প্রধান শিক্ষক হেলেনা বেগম,সহকারী শিক্ষক মাহমুদা খানম,নাসরিন আক্তার, রাশিদা খানম,মোঃ আক্তার হোসেন,স্নিগ্ধা আক্তার অফিস কক্ষে অলস সময় পাড় করছিলো। শিক্ষকদের হেয়ালীপনায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় প্রধান শিক্ষক মোসাম্মৎ হেলেনা বেগমের হেয়ালিপনা,খিটখিটে মেজাজ ও শিক্ষার্থীদের সাথে কুরুচিপূর্ণ আচরণের কারণে প্রতিবছর অভিভাবকরা তাদের ছেলে মেয়েদের অনত্র ভর্তি করে থাকে। আশেপাশের স্কুল গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সন্তোষজনক। এছাড়াও স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন প্রধান শিক্ষক হেলেনা বেগম বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি ও অভিভাবক সদস্য, সভাপতি নিয়োগে পকেট কমিটি গঠনের পায়তারা চালাচ্ছে এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে খারাপ আচরণসহ একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেছেন। স্কুলটি ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইতিপূর্বে ওই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি চোখের পড়ার মতো ছিলো। তা আজ আর নেই।
ক্লাস রুম শুন্য,খেলার মাঠ শুন্য।এ ব্যাপারে স্কুল প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব শিকারী জানান ২০১১ সালে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ২৭২ জন। কিন্তু বর্তমানে এতো কম শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানের জন্য মঙ্গল নহে। স্থানীয় হারুন হাওলাদারসহ নারী-পুরুষ একাধিক অ জানান, প্রধান শিক্ষক হেলেনা বেগমের রুক্ষ ব্যবহারের কারনে এ স্কুলে শিক্ষার্থী কম ভর্তি হয়ে থাকে এবং লেখা পড়ায় ছাত্র ছাত্রীরা অমনোযোগী। এমনকি ৫ম শ্রেণির ছাত্র তার নিজের নাম লিখতে জানেনা। ওই স্কুলে বাচ্চাদের ভর্তি করে কি লাভ।
বামরাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ মেহেদী হাসান রাব্বি জানান, যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই খারাপ এবং এই স্কুলটির পাশাপাশি কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকার কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোসাম্মৎ হেলেনা বেগম জানান, মোট শিক্ষার্থী ৬০ জন। প্রতিদিন ক্লাসে উপস্থিত হয় ১০/১২জন। তবে রাস্তার বেহাল দশা ও মহামারী করোনার কারণে আমাদের স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেকটা কম। উজিরপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাছলিমা বেগম জানান তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে এলাকার সচেতন মহল অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোসাম্মৎ হেলেনা বেগমের অপসারণের দাবী জানিয়ে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
মোঃ মাহফুজুর রহমান, উজিরপুর
১৬ মার্চ, ২০২৩, 8:10 PM
বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের ১২১নং ঘন্টেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ জন শিক্ষার্থীর পাঠদানের জন্য ৬ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছে। ১৫ মার্চ বুধবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ওই স্কুলে মাত্র ৫জন শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত ছিলো।
অপর দিকে শিক্ষক রয়েছেন ৬জন। এছাড়া প্রধান শিক্ষক হেলেনা বেগম,সহকারী শিক্ষক মাহমুদা খানম,নাসরিন আক্তার, রাশিদা খানম,মোঃ আক্তার হোসেন,স্নিগ্ধা আক্তার অফিস কক্ষে অলস সময় পাড় করছিলো। শিক্ষকদের হেয়ালীপনায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় প্রধান শিক্ষক মোসাম্মৎ হেলেনা বেগমের হেয়ালিপনা,খিটখিটে মেজাজ ও শিক্ষার্থীদের সাথে কুরুচিপূর্ণ আচরণের কারণে প্রতিবছর অভিভাবকরা তাদের ছেলে মেয়েদের অনত্র ভর্তি করে থাকে। আশেপাশের স্কুল গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সন্তোষজনক। এছাড়াও স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন প্রধান শিক্ষক হেলেনা বেগম বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি ও অভিভাবক সদস্য, সভাপতি নিয়োগে পকেট কমিটি গঠনের পায়তারা চালাচ্ছে এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে খারাপ আচরণসহ একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেছেন। স্কুলটি ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইতিপূর্বে ওই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি চোখের পড়ার মতো ছিলো। তা আজ আর নেই।
ক্লাস রুম শুন্য,খেলার মাঠ শুন্য।এ ব্যাপারে স্কুল প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব শিকারী জানান ২০১১ সালে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ২৭২ জন। কিন্তু বর্তমানে এতো কম শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানের জন্য মঙ্গল নহে। স্থানীয় হারুন হাওলাদারসহ নারী-পুরুষ একাধিক অ জানান, প্রধান শিক্ষক হেলেনা বেগমের রুক্ষ ব্যবহারের কারনে এ স্কুলে শিক্ষার্থী কম ভর্তি হয়ে থাকে এবং লেখা পড়ায় ছাত্র ছাত্রীরা অমনোযোগী। এমনকি ৫ম শ্রেণির ছাত্র তার নিজের নাম লিখতে জানেনা। ওই স্কুলে বাচ্চাদের ভর্তি করে কি লাভ।
বামরাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ মেহেদী হাসান রাব্বি জানান, যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই খারাপ এবং এই স্কুলটির পাশাপাশি কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকার কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোসাম্মৎ হেলেনা বেগম জানান, মোট শিক্ষার্থী ৬০ জন। প্রতিদিন ক্লাসে উপস্থিত হয় ১০/১২জন। তবে রাস্তার বেহাল দশা ও মহামারী করোনার কারণে আমাদের স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেকটা কম। উজিরপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাছলিমা বেগম জানান তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে এলাকার সচেতন মহল অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোসাম্মৎ হেলেনা বেগমের অপসারণের দাবী জানিয়ে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।