শিরোনামঃ
সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করবেন শ্রাবন্তী খ্যাতিমান আইনজীবী এড. তোফাজ্জল হোসেনের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত চিঠির খামে জমে থাকা অশ্রু যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা জবাব চীনের, ১০৪ শতাংশের জবাবে মার্কিন পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ শেখ হাসিনাসহ পরিবারের ১৬ কোটি টাকা জব্দের নির্দেশ এবার মায়ের ভূমিকায় দেখা যাবে দীপিকাকে বাংলাদেশকে দেয়া ট্রানজিট সুবিধা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে যা বললেন রণধীর জয়সওয়াল বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা থার্ড টেম্পল কী? ইহুদিরা কেন আল আকসার জায়গায় থার্ড টেম্পল নির্মাণ করতে চায়? যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত মিশরের সশস্ত্র বাহিনী!

আবারো উত্তপ্ত কুবি, আহত ৩

#
news image

ছাত্রলীগের তিন নেতার উপর হামলার  ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। ছাত্রলীগের দাবি সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহী সমর্থিত স্থানীয় যুবদল নেতা রনি, হত্যা মামলার আত্মস্বীকৃত খুনি বিপ্লব চন্দ্র দাস, ইকবাল, স্বজন বরণ বিশ্বাসসহ ১২ থেকে ১৫ জন কর্মী তাদের উপর হামলা চালায়।

বুধবার (৮ই মার্চ) দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আল আমিনের দোকানে সামনে এই ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত হন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমান চৌধুরী হৃদয়, বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইদুল ইসলাম রোহান।

এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি রাত ১০টায় রেজা-ই-এলাহী সমর্থিত নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে উঠতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের বাঁধা প্রদান করেন। পরে এক সহকারী প্রক্টরের সাথে বাগবিতণ্ডা হলে এর জেরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন  গতকাল ৭ ই মার্চ এনায়েত উল্লাহ এবং সালমান  চৌধুরীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে।

এ বিষয়ে হত্যা মামলার আসামি বিপ্লব চন্দ্র দাসের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কল কেটে দেন।

প্রত্যক্ষদর্শী জানা যায়, ছাত্রলীগের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন, সালমান, সাদ্দাম, সায়েমসহ কয়েকজন আল আমিনের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। এই মুহূর্তে রেজা এলাহি গ্রুপের ১২ থেকে ১৫  জন নেতাকর্মী অতর্কিত হামলা চালায়।

এতে শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত হলে সাধারণ সম্পাদক এনায়েত মাটিতে লুটিয়ে পড়ে জ্ঞান হারান, বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইদুল ইসলাম রোহানের হাত ভেঙে গেলে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ভুক্তভোগী সালমান চৌধুরী জানান, আমাকে বিপ্লব চন্দ্র দাস ডেকে নিয়ে যায় এবং প্রশাসন বহিষ্কার করলেও কেন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করছি জানতে চেয়ে আমাকে এবং হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহকে মারধর শুরু করেন।

এদিকে বিষয়টিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের ইন্ধন হিসেবে মন্তব্য করে কাজী নজরুল ইসলাম হলের সাবেক সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, খুনি বিপ্লব ও ছাত্রদলের লোকজন কিভাবে একজন হল ছাত্রলীগের সেক্রেটারিকে মারধর করে? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ইন্ধনে তারা আজ আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আধা ঘন্টার মধ্যে যদি এর সমাধান না আসে তাহলে আমরা প্রক্টরের পদত্যাগ চাই।

এবিষয়ে কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক এস এম আতিকুউল্লাহ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি উপাচার্য স্যারের সাথে কথা বলেছি। বহিরাগতরা যেহেতু আক্রমণ করেছে তাই আমরা তাদেরকে যতদ্রুত সম্ভব গ্রেপ্তার করব।

প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, এসব বিষয়ে আমার কোন ইন্ধন নেই। যারা এমনটি বলছে তারা এটিকে প্রমাণ করতে হবে। প্রশাসন কেন ব্যাবস্থা নিচ্ছে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি তারা এটা তাদের বিষয়।

জাহিদুল ইসলাম, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

০৮ মার্চ, ২০২৩,  7:29 PM

news image

ছাত্রলীগের তিন নেতার উপর হামলার  ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। ছাত্রলীগের দাবি সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহী সমর্থিত স্থানীয় যুবদল নেতা রনি, হত্যা মামলার আত্মস্বীকৃত খুনি বিপ্লব চন্দ্র দাস, ইকবাল, স্বজন বরণ বিশ্বাসসহ ১২ থেকে ১৫ জন কর্মী তাদের উপর হামলা চালায়।

বুধবার (৮ই মার্চ) দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আল আমিনের দোকানে সামনে এই ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত হন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমান চৌধুরী হৃদয়, বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইদুল ইসলাম রোহান।

এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি রাত ১০টায় রেজা-ই-এলাহী সমর্থিত নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে উঠতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের বাঁধা প্রদান করেন। পরে এক সহকারী প্রক্টরের সাথে বাগবিতণ্ডা হলে এর জেরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন  গতকাল ৭ ই মার্চ এনায়েত উল্লাহ এবং সালমান  চৌধুরীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে।

এ বিষয়ে হত্যা মামলার আসামি বিপ্লব চন্দ্র দাসের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কল কেটে দেন।

প্রত্যক্ষদর্শী জানা যায়, ছাত্রলীগের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন, সালমান, সাদ্দাম, সায়েমসহ কয়েকজন আল আমিনের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। এই মুহূর্তে রেজা এলাহি গ্রুপের ১২ থেকে ১৫  জন নেতাকর্মী অতর্কিত হামলা চালায়।

এতে শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত হলে সাধারণ সম্পাদক এনায়েত মাটিতে লুটিয়ে পড়ে জ্ঞান হারান, বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইদুল ইসলাম রোহানের হাত ভেঙে গেলে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ভুক্তভোগী সালমান চৌধুরী জানান, আমাকে বিপ্লব চন্দ্র দাস ডেকে নিয়ে যায় এবং প্রশাসন বহিষ্কার করলেও কেন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করছি জানতে চেয়ে আমাকে এবং হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহকে মারধর শুরু করেন।

এদিকে বিষয়টিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের ইন্ধন হিসেবে মন্তব্য করে কাজী নজরুল ইসলাম হলের সাবেক সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, খুনি বিপ্লব ও ছাত্রদলের লোকজন কিভাবে একজন হল ছাত্রলীগের সেক্রেটারিকে মারধর করে? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ইন্ধনে তারা আজ আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আধা ঘন্টার মধ্যে যদি এর সমাধান না আসে তাহলে আমরা প্রক্টরের পদত্যাগ চাই।

এবিষয়ে কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক এস এম আতিকুউল্লাহ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি উপাচার্য স্যারের সাথে কথা বলেছি। বহিরাগতরা যেহেতু আক্রমণ করেছে তাই আমরা তাদেরকে যতদ্রুত সম্ভব গ্রেপ্তার করব।

প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, এসব বিষয়ে আমার কোন ইন্ধন নেই। যারা এমনটি বলছে তারা এটিকে প্রমাণ করতে হবে। প্রশাসন কেন ব্যাবস্থা নিচ্ছে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি তারা এটা তাদের বিষয়।