চৌহালীতে হারিয়ে যাচ্ছে মাটির চুলা
মাহমুদুল হাসান, চৌহালী (সিরাজগঞ্জ)
০৫ মার্চ, ২০২৩, 8:15 PM
চৌহালীতে হারিয়ে যাচ্ছে মাটির চুলা
কালের আবর্তে আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্য সিরাজগঞ্জের চৌহালী থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে মাটির চুলা। এক সময় গ্রামের মানুষের রান্নাবান্নার মূল ভিত্তি ছিল এ চুলা।
জানা যায়, মাটির চুলা তৈরি করতে ব্যবহার করা হতো জমির এঁটেল মাটি। প্রতিটি চুলায় সাধারণত একটি করে জ্বালানি প্রবেশের মুখ থাকে। যেসব চুলায় একটি হাঁড়ি বসানো যায়, সেটিই একমুখো চুলা। যে চুলায় দুটি হাঁড়ি বসানো যায়, সেগুলো দুমুখো চুলা। দুমুখো মাটির চুলা দিয়ে সাধারণত বাড়িতে ধান সিদ্ধ বা অনুষ্ঠানের খাবার রান্নার জন্য ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া তোলা চুলা বলে এক ধরনের চুলা আছে।
চৌহালী উপজেলা খাষকাউলিয়া গ্রামের মোস্তফার স্ত্রী দুলু খাতুন বলেন, ‘পুরোনো মাটির আইশাল (চুলা) গুলা মাঝে মাঝে মেরামত করে সারা জীবন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। আইশাল ঘরের (রান্নাঘর) আইশাল যত পুরান অয়, তার মধ্যে মাটি পুড়তে পুড়তে তত বেশি নাল হয়। পুরান আইশাল তাপ বেশি ছড়ায়। কিন্তু চুলা সংস্কারের জন্য মাঝে মধ্যে কাদামাটি দিয়া ল্যাপ দেয়া লাগে।’
মাটির চুলা ব্যবহারকারী কোদালিয়া গ্রামের শওকতের স্ত্রী শিরিন আক্তার (৩০) বলেন, গ্যাসের চুলার চায়া মাটির আইশালি খুব বালো। খড়ি, পাতা-পুতা দিয়া রানলে শরীল ভালো থাহে। অসুখ-বিসুখ অয়না ৷
মাজেদা খাতুন (৫০) বলেন, আইশাল অনেক প্রকার ! ‘চুলাগুলোর নাম ছিল দো-চুলা, কয়লা চুলা, পাশ কাটা চুলা, আলোক চুলা ইত্যাদি। আওয়াল এর স্ত্রী আমিনা বলেন, অন্যান্য চুলার চেয়ে মাটির চুলায় কাজ করে আরাম, তবে আধুনিকতার ছোয়ায় গ্রাম থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মাটির চুলা, আমি আমার পুর্ব পুরুষদের ঐতিহ্য মাটির চুলা(আইশাল) ধরে রাখতে চেষ্টা করছি।
মাহমুদুল হাসান, চৌহালী (সিরাজগঞ্জ)
০৫ মার্চ, ২০২৩, 8:15 PM
কালের আবর্তে আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্য সিরাজগঞ্জের চৌহালী থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে মাটির চুলা। এক সময় গ্রামের মানুষের রান্নাবান্নার মূল ভিত্তি ছিল এ চুলা।
জানা যায়, মাটির চুলা তৈরি করতে ব্যবহার করা হতো জমির এঁটেল মাটি। প্রতিটি চুলায় সাধারণত একটি করে জ্বালানি প্রবেশের মুখ থাকে। যেসব চুলায় একটি হাঁড়ি বসানো যায়, সেটিই একমুখো চুলা। যে চুলায় দুটি হাঁড়ি বসানো যায়, সেগুলো দুমুখো চুলা। দুমুখো মাটির চুলা দিয়ে সাধারণত বাড়িতে ধান সিদ্ধ বা অনুষ্ঠানের খাবার রান্নার জন্য ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া তোলা চুলা বলে এক ধরনের চুলা আছে।
চৌহালী উপজেলা খাষকাউলিয়া গ্রামের মোস্তফার স্ত্রী দুলু খাতুন বলেন, ‘পুরোনো মাটির আইশাল (চুলা) গুলা মাঝে মাঝে মেরামত করে সারা জীবন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। আইশাল ঘরের (রান্নাঘর) আইশাল যত পুরান অয়, তার মধ্যে মাটি পুড়তে পুড়তে তত বেশি নাল হয়। পুরান আইশাল তাপ বেশি ছড়ায়। কিন্তু চুলা সংস্কারের জন্য মাঝে মধ্যে কাদামাটি দিয়া ল্যাপ দেয়া লাগে।’
মাটির চুলা ব্যবহারকারী কোদালিয়া গ্রামের শওকতের স্ত্রী শিরিন আক্তার (৩০) বলেন, গ্যাসের চুলার চায়া মাটির আইশালি খুব বালো। খড়ি, পাতা-পুতা দিয়া রানলে শরীল ভালো থাহে। অসুখ-বিসুখ অয়না ৷
মাজেদা খাতুন (৫০) বলেন, আইশাল অনেক প্রকার ! ‘চুলাগুলোর নাম ছিল দো-চুলা, কয়লা চুলা, পাশ কাটা চুলা, আলোক চুলা ইত্যাদি। আওয়াল এর স্ত্রী আমিনা বলেন, অন্যান্য চুলার চেয়ে মাটির চুলায় কাজ করে আরাম, তবে আধুনিকতার ছোয়ায় গ্রাম থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মাটির চুলা, আমি আমার পুর্ব পুরুষদের ঐতিহ্য মাটির চুলা(আইশাল) ধরে রাখতে চেষ্টা করছি।