ক্লাস বাদ দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে পরিসংখ্যান দিবসের র্যালী

নাগরিক প্রতিবেদক
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, 7:25 PM

ক্লাস বাদ দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে পরিসংখ্যান দিবসের র্যালী
ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিদ্যালয়ের ক্লাস বাদ দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে জাতীয় পরিসংখ্যান দিবসের র্যালী করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের আয়োজনে সকাল ১১টায় চন্ডিপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নান্দাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঘোষপালা ফাজিল মাদ্রাসা ও আচারগাঁও ফাজিল মাদ্রাসার কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস-২০২৩ এর র্যালী উদাপন করা হয়। শ্রেণি পাঠদান বাদ রেখে ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে জাতীয় দিবসের কথা বলে র্যালীতে যোগদানের বিষয়টি সুশীল সমাজ সহ অভিভাবক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে, ২০১২ সন থেকে নান্দাইল উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার হিসাবে কর্মরত শেখ সালাহ উদ্দিন আহাম্মেদ জাতীয় দিবসগুলো পালনে যেন অনিহা। দায় এড়ানোর চেষ্টাই যেন তাঁর দায়িত্ব। দিবসের দিন ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যালয় চলাকালীন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দিয়ে র্যালী করিয়ে দায় এড়াতে চেয়েছেন। পরিসংখ্যান দিবস-২০২৩ এর র্যালী প্রস্তুতি পূর্বক বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে অন্তত ৫০ জন করে ছাত্র-ছাত্রী পাঠানোর নির্দেশনা দেন। পরদিন তাদেরকে (ছাত্র-ছাত্রীদের) দিয়ে র্যালী উদযাপন করেছেন।
এ বিষয়ে নান্দাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠানের চাকুরী করি। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনা মোতাবেক ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পাঠাতে হয়েছে। অপরদিকে চন্ডিপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, অবশ্যই জাতীয় দিবসে ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ গ্রহন করতে পারে। এছাড়া একাডেমিক সুপারভাইজার মো. আনোয়ার হোসেন রোববার স্কুলে এসে বলে গেছেন যে, ছাত্র-ছাত্রীদেরকে র্যালীতে পাঠাতে হবে। ঠিক তেমনি বলেছেন ঘোষপালা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল হাসনাত মোহাম্মদ এনামুল হক।
তিনি বলেন, পরিসংখ্যান অফিসারের নির্দেশে ক্লাস বাদ দিয়ে র্যালীতে ৫০জন ছাত্র-ছাত্রী পাঠাতে হয়েছে। উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. আনোয়ার হোসেন উক্ত বিষয়ে কোন সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়টি আমি জানি না।’
নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল মনসুর বলেন, “ এখানে ছাত্র-ছাত্রী আনার বিষয়ে আমার কোন নির্দেশনা ছিল না। যতটুকু জানি যে উক্ত র্যালীতে সকলকে সম্পৃক্ত করার নির্দেশনা আছে। তারা (ছাত্র-ছাত্রীরা) আসছে। তেমন কিছু না, ছোট্ট একট র্যালী হয়েছে। পরিসংখ্যান অফিসারের সাথে কথা বলেন।”
উপজেলা পরিসংখ্যা অফিসার শেখ সালাহ উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, অফিস থেকে আমাকে বলা হয়েছে র্যালী করতে। ৪/৫জন লোক দিয়ে কি র্যালী হয় ? এটা জাতীয় প্রোগ্রাম, এর সচেতনতা আমরা কাকে জানাবো ? আমি নান্দাইলের ছেলে , এইটুকু যদি না করতে পারি তাহলে নান্দাইলে চাকুরী করবো কিভাবে ? পত্রিকায় লেখালেখি করলে কি হবে, আমার কি বদলী হয়ে যাবে ?
নাগরিক প্রতিবেদক
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, 7:25 PM

ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিদ্যালয়ের ক্লাস বাদ দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে জাতীয় পরিসংখ্যান দিবসের র্যালী করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের আয়োজনে সকাল ১১টায় চন্ডিপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নান্দাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঘোষপালা ফাজিল মাদ্রাসা ও আচারগাঁও ফাজিল মাদ্রাসার কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস-২০২৩ এর র্যালী উদাপন করা হয়। শ্রেণি পাঠদান বাদ রেখে ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে জাতীয় দিবসের কথা বলে র্যালীতে যোগদানের বিষয়টি সুশীল সমাজ সহ অভিভাবক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে, ২০১২ সন থেকে নান্দাইল উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার হিসাবে কর্মরত শেখ সালাহ উদ্দিন আহাম্মেদ জাতীয় দিবসগুলো পালনে যেন অনিহা। দায় এড়ানোর চেষ্টাই যেন তাঁর দায়িত্ব। দিবসের দিন ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যালয় চলাকালীন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দিয়ে র্যালী করিয়ে দায় এড়াতে চেয়েছেন। পরিসংখ্যান দিবস-২০২৩ এর র্যালী প্রস্তুতি পূর্বক বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে অন্তত ৫০ জন করে ছাত্র-ছাত্রী পাঠানোর নির্দেশনা দেন। পরদিন তাদেরকে (ছাত্র-ছাত্রীদের) দিয়ে র্যালী উদযাপন করেছেন।
এ বিষয়ে নান্দাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠানের চাকুরী করি। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনা মোতাবেক ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পাঠাতে হয়েছে। অপরদিকে চন্ডিপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, অবশ্যই জাতীয় দিবসে ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ গ্রহন করতে পারে। এছাড়া একাডেমিক সুপারভাইজার মো. আনোয়ার হোসেন রোববার স্কুলে এসে বলে গেছেন যে, ছাত্র-ছাত্রীদেরকে র্যালীতে পাঠাতে হবে। ঠিক তেমনি বলেছেন ঘোষপালা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল হাসনাত মোহাম্মদ এনামুল হক।
তিনি বলেন, পরিসংখ্যান অফিসারের নির্দেশে ক্লাস বাদ দিয়ে র্যালীতে ৫০জন ছাত্র-ছাত্রী পাঠাতে হয়েছে। উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. আনোয়ার হোসেন উক্ত বিষয়ে কোন সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়টি আমি জানি না।’
নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল মনসুর বলেন, “ এখানে ছাত্র-ছাত্রী আনার বিষয়ে আমার কোন নির্দেশনা ছিল না। যতটুকু জানি যে উক্ত র্যালীতে সকলকে সম্পৃক্ত করার নির্দেশনা আছে। তারা (ছাত্র-ছাত্রীরা) আসছে। তেমন কিছু না, ছোট্ট একট র্যালী হয়েছে। পরিসংখ্যান অফিসারের সাথে কথা বলেন।”
উপজেলা পরিসংখ্যা অফিসার শেখ সালাহ উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, অফিস থেকে আমাকে বলা হয়েছে র্যালী করতে। ৪/৫জন লোক দিয়ে কি র্যালী হয় ? এটা জাতীয় প্রোগ্রাম, এর সচেতনতা আমরা কাকে জানাবো ? আমি নান্দাইলের ছেলে , এইটুকু যদি না করতে পারি তাহলে নান্দাইলে চাকুরী করবো কিভাবে ? পত্রিকায় লেখালেখি করলে কি হবে, আমার কি বদলী হয়ে যাবে ?