সরিষাবাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে ভিটেমাটি ছাড়াকরার অভিযোগ 

#
news image

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বসতঘর ভেঙে জোরপূর্বক জায়গা দখল করে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে ভিটেমাটি ছাড়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের বারইপটল গ্রামে ফকির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। 

ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে বাদল ফকির ২০০৭ সালে মারা যান। এরপর স্ত্রী শিউলি বেগম দুই মেয়েকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই বসবাস করে আসছিলেন। এরপর থেকে দেবর সৈকত ও তার পরিবার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর নানাভাবে অত‍্যাচার করতে থাকে। শিউলি বেগম অত‍্যাচার সইতে না পেরে ৪ বছর পূর্বে সন্তানদের নিয়ে সদর উপজেলার ছোনটিয়া এলাকায় জামাতা হারুন অর রশিদের বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। এ সুযোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদল ফকিরের জমিজমাসহ বসতঘর  জবর দখল  ও হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা শুরু করে  সৈকত ফকির। বাড়িতে মাঝে মাঝে আসলেও শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হতো বলে জানান শিউলি বেগম। সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধার  বসতঘর ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন সৈকত। এ সংবাদ পেয়ে শিউলী বেগম মেয়েদের নিয়ে বারইপটলের ওই বাড়িতে আসেন। তাদের দেখে উত্তেজিত হয়ে উঠেন সৈকত। শুধু তাই নয়, বাড়ির আঙ্গিনাতেও তাদেরকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। নিরুপায় হয়ে সরিষাবাড়ী থানার পুলিশের শরণাপন্ন হন শিউলী বেগম।

ভুক্তভোগী শিউলী বেগম বলেন,তার স্বামীর মৃত্যুর পর নানাভাবে অত্যাচার শুরু করে সৈকত ও তার পরিবারের লোকজন। তাকে না জানিয়ে তার বসতঘর ভেঙ্গে ফেলতে শুরু করে সৈকত।

এ ব্যাপারে দেবর সৈকত ফকির বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শিউলী বেগম ও তার সন্তানরা বাড়িঘরে আসেন না। তাছাড়া এ বাড়িতে তাদের কোন অংশ নেই।

এলাকাবাসী বলেন, এ পরিবারটি খুবই অসহায়। কোনভাবেই এ পরিবারটিকে এ বাড়িতে টিকতে দেওয়া হয়নি। নানাভাবে তাদের সম্পত্তি জবর-দখলের চেষ্টা চালানো হয়েছে।

এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদের বলেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বসতঘরসহ জমিজমা জবর-দখল করে নেওয়া হচ্ছে মর্মে ৯৯৯ থেকে থানায় ফোন আসে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে আইনী সহায়তার মাধ্যমে উদ্ধার করি।

রাইসুল ইসলাম খোকন, সরিষাবাড়ী (জামালপুর)

২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩,  5:23 PM

news image

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বসতঘর ভেঙে জোরপূর্বক জায়গা দখল করে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে ভিটেমাটি ছাড়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের বারইপটল গ্রামে ফকির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। 

ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে বাদল ফকির ২০০৭ সালে মারা যান। এরপর স্ত্রী শিউলি বেগম দুই মেয়েকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই বসবাস করে আসছিলেন। এরপর থেকে দেবর সৈকত ও তার পরিবার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর নানাভাবে অত‍্যাচার করতে থাকে। শিউলি বেগম অত‍্যাচার সইতে না পেরে ৪ বছর পূর্বে সন্তানদের নিয়ে সদর উপজেলার ছোনটিয়া এলাকায় জামাতা হারুন অর রশিদের বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। এ সুযোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদল ফকিরের জমিজমাসহ বসতঘর  জবর দখল  ও হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা শুরু করে  সৈকত ফকির। বাড়িতে মাঝে মাঝে আসলেও শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হতো বলে জানান শিউলি বেগম। সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধার  বসতঘর ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন সৈকত। এ সংবাদ পেয়ে শিউলী বেগম মেয়েদের নিয়ে বারইপটলের ওই বাড়িতে আসেন। তাদের দেখে উত্তেজিত হয়ে উঠেন সৈকত। শুধু তাই নয়, বাড়ির আঙ্গিনাতেও তাদেরকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। নিরুপায় হয়ে সরিষাবাড়ী থানার পুলিশের শরণাপন্ন হন শিউলী বেগম।

ভুক্তভোগী শিউলী বেগম বলেন,তার স্বামীর মৃত্যুর পর নানাভাবে অত্যাচার শুরু করে সৈকত ও তার পরিবারের লোকজন। তাকে না জানিয়ে তার বসতঘর ভেঙ্গে ফেলতে শুরু করে সৈকত।

এ ব্যাপারে দেবর সৈকত ফকির বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শিউলী বেগম ও তার সন্তানরা বাড়িঘরে আসেন না। তাছাড়া এ বাড়িতে তাদের কোন অংশ নেই।

এলাকাবাসী বলেন, এ পরিবারটি খুবই অসহায়। কোনভাবেই এ পরিবারটিকে এ বাড়িতে টিকতে দেওয়া হয়নি। নানাভাবে তাদের সম্পত্তি জবর-দখলের চেষ্টা চালানো হয়েছে।

এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদের বলেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বসতঘরসহ জমিজমা জবর-দখল করে নেওয়া হচ্ছে মর্মে ৯৯৯ থেকে থানায় ফোন আসে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে আইনী সহায়তার মাধ্যমে উদ্ধার করি।