ভূমিকম্পের সময় কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০ জঙ্গি

#
news image

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার একটি কারাগারে বিদ্রোহ করে কারাবন্দীরা। এরপর কমপক্ষে ২০ জন বন্দী কারাগার থেকে পালিয়ে যায়। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই জঙ্গি সদস্য ছিল।

সংবাদ সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে। সূত্রটি জানায়, তুর্কি সীমান্তের কাছে রাজো শহরের পুলিশ কারাগারে প্রায় ২০০০ জন বন্দী রয়েছে, তাদের মধ্যে প্রায় ১৩০০ জনই আইএস জঙ্গি বলে ধারণা করা হয়। রাজো কারাগারের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, “ভূমিকম্প আঘাত হানার পর রাজো কারাগারে এর প্রভাব পড়ে এবং বন্দীরা বিদ্রোহ করা শুরু করে।

তারা কারাগারের কিছু অংশের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে।” তিনি বলেন, “আইএস জঙ্গি হিসেবে সন্দেহভাজন প্রায় ২০ জন বন্দী পালিয়ে গেছে। ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের ফলে বেশ কয়েক বার ঝাঁকুনি অনুভূত হয় এতে কারাগারের দেয়াল এবং দরজায় ফাটলের সৃষ্টি হয়।” তবে ব্রিটিশ ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস ওয়ার মনিটর বলেছে, বন্দীরা পালিয়ে গেছে কিনা তা তারা নিশ্চিতভাবে যাচাই করতে পারেনি, তবে বিদ্রোহের ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে তারা।

এই আসামিরা সিরিয়ার রাজধানী রাকায় একটি নিরাপত্তা কমপ্লেক্সে আইএস হামলার ঘটনার সময় ধরা পড়েছিল, তাদের লক্ষ্য ছিল সেখানে একটি কারাগার থেকে সহকর্মী জিহাদিদের মুক্ত করা। হামলাটি ব্যর্থ হলেও ওই এলাকা নিয়ন্ত্রণকারী কুর্দি নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা বাহিনীর ছয় জন সদস্য নিহত হয়।

 

 

নাগরিক অনলাইন ডেস্ক

০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩,  10:01 PM

news image

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার একটি কারাগারে বিদ্রোহ করে কারাবন্দীরা। এরপর কমপক্ষে ২০ জন বন্দী কারাগার থেকে পালিয়ে যায়। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই জঙ্গি সদস্য ছিল।

সংবাদ সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে। সূত্রটি জানায়, তুর্কি সীমান্তের কাছে রাজো শহরের পুলিশ কারাগারে প্রায় ২০০০ জন বন্দী রয়েছে, তাদের মধ্যে প্রায় ১৩০০ জনই আইএস জঙ্গি বলে ধারণা করা হয়। রাজো কারাগারের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, “ভূমিকম্প আঘাত হানার পর রাজো কারাগারে এর প্রভাব পড়ে এবং বন্দীরা বিদ্রোহ করা শুরু করে।

তারা কারাগারের কিছু অংশের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে।” তিনি বলেন, “আইএস জঙ্গি হিসেবে সন্দেহভাজন প্রায় ২০ জন বন্দী পালিয়ে গেছে। ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের ফলে বেশ কয়েক বার ঝাঁকুনি অনুভূত হয় এতে কারাগারের দেয়াল এবং দরজায় ফাটলের সৃষ্টি হয়।” তবে ব্রিটিশ ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস ওয়ার মনিটর বলেছে, বন্দীরা পালিয়ে গেছে কিনা তা তারা নিশ্চিতভাবে যাচাই করতে পারেনি, তবে বিদ্রোহের ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে তারা।

এই আসামিরা সিরিয়ার রাজধানী রাকায় একটি নিরাপত্তা কমপ্লেক্সে আইএস হামলার ঘটনার সময় ধরা পড়েছিল, তাদের লক্ষ্য ছিল সেখানে একটি কারাগার থেকে সহকর্মী জিহাদিদের মুক্ত করা। হামলাটি ব্যর্থ হলেও ওই এলাকা নিয়ন্ত্রণকারী কুর্দি নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা বাহিনীর ছয় জন সদস্য নিহত হয়।