হিজাববিরোধীদের সমর্থনে জাতীয় সংগীতে ‘না’ ইরানি ফুটবলারদের

অনলাইন ডেস্ক
২২ নভেম্বর, ২০২২, 1:55 AM

হিজাববিরোধীদের সমর্থনে জাতীয় সংগীতে ‘না’ ইরানি ফুটবলারদের
বিশ্বকাপের মতো আসরে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটা দারুণ গর্বের। জাতীয় সংগীত চলাকালে গলা মেলানো, আবেগে ফেটে পড়ার দৃশ্যটাও খুব বেশি অচেনা নয়। তবে আজ ইংল্যান্ডের মুখোমুখি যখন হলো ইরান, তখন ইরানিয়ান ফুটবলাররা সেই জাতীয় সংগীতই গাইলেন না। জাতীয় সংগীত বাজছে, তারা দাঁড়িয়ে রইলেন নির্বিকার!
এমন দৃশ্যের দেখা সচরাচর মেলে না। আজ কেন এমন করলেন ইরানি ফুটবলাররা? তার কারণটা লুকিয়ে আছে তাদের দেশে। ইরানে এখন চলছে হিজাববিরোধী আন্দোলন। দুই মাস আগে পুলিশি হেফাজতে এক তরুণীর মৃত্যু ঘটে দেশটিতে। হিজাব ও বোরকা না পরে বাড়ির বাইরে বের হওয়ায় মাশা আমিনি নামের সেই তরুণীকে গ্রেপ্তার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায় দেশটির নৈতিকতা পুলিশ।
হেফাজতে নিয়ে যাওয়ার দুই ঘণ্টা পরই গুরুতর আহত অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি; তিনি কোমায় চলে যান, শেষমেশ ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে। পুলিশি হেফাজতে তরুণীর মৃত্যুর পর থেকে দেশটিতে হিজাববিরোধী আন্দোলন করছেন ইরানের নারীরা। চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন ১৯৭৯ সালে দেশটিতে ইসলামিক বিপ্লবের পর থেকে চলে আসা আইনকেও।
সেই আন্দোলনকে সমর্থন জানাতেই আজ ইরানের খেলোয়াড়রা জাতীয় সংগীতে গলা মেলাননি। খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের লাউড স্পিকারে যখন ইরানের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়, তখন নির্বিকার দাঁড়িয়ে থাকেন সবাই। ফুটবলের বিশ্বআসরে জাতীয় ফুটবলােরদের এমন পদক্ষেপ আন্দোলনকারীদের বড় সমর্থন দেবে। তবে এজন্য খেলোয়াড়দের ওপর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
অনলাইন ডেস্ক
২২ নভেম্বর, ২০২২, 1:55 AM

বিশ্বকাপের মতো আসরে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটা দারুণ গর্বের। জাতীয় সংগীত চলাকালে গলা মেলানো, আবেগে ফেটে পড়ার দৃশ্যটাও খুব বেশি অচেনা নয়। তবে আজ ইংল্যান্ডের মুখোমুখি যখন হলো ইরান, তখন ইরানিয়ান ফুটবলাররা সেই জাতীয় সংগীতই গাইলেন না। জাতীয় সংগীত বাজছে, তারা দাঁড়িয়ে রইলেন নির্বিকার!
এমন দৃশ্যের দেখা সচরাচর মেলে না। আজ কেন এমন করলেন ইরানি ফুটবলাররা? তার কারণটা লুকিয়ে আছে তাদের দেশে। ইরানে এখন চলছে হিজাববিরোধী আন্দোলন। দুই মাস আগে পুলিশি হেফাজতে এক তরুণীর মৃত্যু ঘটে দেশটিতে। হিজাব ও বোরকা না পরে বাড়ির বাইরে বের হওয়ায় মাশা আমিনি নামের সেই তরুণীকে গ্রেপ্তার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায় দেশটির নৈতিকতা পুলিশ।
হেফাজতে নিয়ে যাওয়ার দুই ঘণ্টা পরই গুরুতর আহত অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি; তিনি কোমায় চলে যান, শেষমেশ ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে। পুলিশি হেফাজতে তরুণীর মৃত্যুর পর থেকে দেশটিতে হিজাববিরোধী আন্দোলন করছেন ইরানের নারীরা। চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন ১৯৭৯ সালে দেশটিতে ইসলামিক বিপ্লবের পর থেকে চলে আসা আইনকেও।
সেই আন্দোলনকে সমর্থন জানাতেই আজ ইরানের খেলোয়াড়রা জাতীয় সংগীতে গলা মেলাননি। খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের লাউড স্পিকারে যখন ইরানের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়, তখন নির্বিকার দাঁড়িয়ে থাকেন সবাই। ফুটবলের বিশ্বআসরে জাতীয় ফুটবলােরদের এমন পদক্ষেপ আন্দোলনকারীদের বড় সমর্থন দেবে। তবে এজন্য খেলোয়াড়দের ওপর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।