দোয়েলের যে ‘নিকটাত্মীয়’ রাশিয়ায় থাকে
প্রভাতী খবর ডেস্ক
০১ নভেম্বর, ২০২২, 9:45 PM
দোয়েলের যে ‘নিকটাত্মীয়’ রাশিয়ায় থাকে
চলে এসেছে শীত। চলে আসতে শুরু করে দিয়েছে শীতের পাখিরা। একশত বা দুইশত কিলোমিটার নয়, কিংবা নয় এক হাজার কিলোমিটারের পথও। দশ হাজার কিলোমিটারের পথ পেরিয়ে শীতের ‘পরিযায়ী পাখি’ এখন বাংলাদেশে। ভাবা যায়!
আর সে আমাদের জাতীয় পাখি দোয়েলের নিকটাত্মীয়। খুব কাছাকাছি পরিবারের পাখি এরা। কার্তিকের কুশায়াঘেরা বাংলাদেশের প্রথম সকালের প্রথম খাবারটা নিজের মতো করে খেয়ে ৫/৬ মাস এখানেই কাটিয়ে দেওয়ার জন্যে ১০ হাজার কিলোমিটারের দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে চলে এসেছে ‘সাইবেরীয় চুনিকণ্ঠী’।
এ প্রসঙ্গে বরেণ্য পাখিগবেষক, লেখক এবং বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের দেশে দুই প্রজাতির ‘চুনিকণ্ঠী’ আছে। ‘সাইবেরীয় চুনিকণ্ঠী’ সাইবেরীয়াতে গ্রীষ্মকালে বাচ্চা দেয়। চীন থেকে শুরু করে একেবারে রাশিয়ার অনেক উত্তর পর্যন্ত। যেটাকে তুন্দ্র অঞ্চল বলা হয়। কিন্তু শীতকালে ওরা চলে আসে দক্ষিণে। ‘সাইবেরীয় চুনিকণ্ঠী’ পাখিটা কিন্তু অল্প জায়গাজুড়ে থাকে। সারাব্যাপী নয়। গ্রীষ্মে ওরা মঙ্গোলিয়া থেকে রাশিয়ার পর্ব দিক তুন্দ্রা অঞ্চাল পর্যন্ত থাকে। আর শীতে ওরা ইন্ডিয়া, বাংলাদেশ, নেপাল, মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ড এই অঞ্চলগুলোতে বেশি থাকে। ইন্ডিয়াতেও ওদের বিচরণ কম। দক্ষিণ ইন্ডিয়ায় গেলে ওদের আর পাবেন না। শুধু বাংলাদেশের এই উত্তরের দিকেই বেশি। আমরা এটাকে বেশি দেখতে পাই কিন্তু এই সিলেট অঞ্চলেই। ‘সাইবেরীয় চুনিকণ্ঠী’ পাখিটি কিন্তু আমাদের দোয়েলের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। এরা ‘দোয়েল’-‘শ্যামা’ পরিবারের পাখি।
তাইগা এবং তুদ্রা অঞ্চলের পার্থক্য তুলে ধরে তিনি বলেন, রাশিয়ার তুন্দ্রা অঞ্চল হলো যেখানে শুধু হালকা ঝোপঝাড় হয়। কিন্তু গাছ হয় না। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা যেখানে অল্প সময় গরম থাকে, কিন্তু বড় গাছ আর হয় না। আর যেখানে গাছ হয় কিন্তু পুরো বরফের মধ্যে গাছগুলো দাঁড়িয়ে থাকে তাকে তাইগা অঞ্চল বলে। খুবই ঠাণ্ডা কিন্তু গরম থাকে বেশি সময়। আমাদের কিছু পাখি আছে যারা তাইগা অঞ্চলে বসবাস করে পুনরায় আমাদের দেশে ফিরে আসে। যেমন ‘তাইগা-চুটকি’। ওরা তাইগা অঞ্চলে বাসা করে। আবার অনেকে আছে যারা আরো উত্তরে চলে গিয়ে তুন্দ্রা অঞ্চলে বাসা করে। এই হলো দোয়েলের সেই আত্মীয় যে কিনা সাইবেরিয়ার তুন্দ্রা অঞ্চলে ডিম দিয়ে ছানা ফুটায়।
বাংলাদেশে আসা প্রসঙ্গে ইনাম আল হক বলেন, চুনিকণ্ঠী মানে এ পাখিটার গলাটা চুনি বা রুবি অর্থাৎ লালচে রঙের। লাল গলা যার সে-ই হলো ‘চুনিকণ্ঠী’। ‘দোয়েল’-‘শ্যামা’ ওর খুবই ঘনিষ্ঠ পরিবারের পাখি। ‘দোয়েল’-‘শ্যামা’ পরিবারের আরেকটি ঘনিষ্ঠ সদস্য হলো- ‘সাইবেরীয় চুনিকণ্ঠী’। বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে চা বাগানেই বেশি দেখতে পাওয়া যায় পাখিটিকে। আমি অনেকবার সেখান থেকে ছবি তুলেছি। যেহেতু নভেম্বর মাস শুরু হয়ে গেছে কিছু সংখ্যক ‘সাইবেরীয় চুনিকণ্ঠী’রা ইতোমধ্যে অবশ্যই বাংলাদেশে চলে এসেছে। বাকিরা হয়তো ধীরে ধীরে আসবে। ঝোপঝাড়ময় গাছে গাছে ঘুরে বেড়াচ্ছে ওরা। পোকা ধরে ধরে খাচ্ছে। আবার ওরা মার্চ-এপ্রিলে ফিরে যাবে। তখন আর বাংলাদেশে তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। উড়ে উড়ে প্রায় ১০ হাজার পথ পাড়ি দিয়ে আবার মঙ্গোলিয়া এবং রাশিয়ার তুন্দ্রা অঞ্চলে ফিরে যাবে।
পৃথিবীব্যাপী ৩ প্রজাতির চুনিকণ্ঠী পাখি সম্পর্কে তিনি বলেন, সাইবেরীয় চুনিকণ্ঠী ছাড়াও আরও একটা ‘চুনিকণ্ঠী’ আমাদের আছে কিন্তু। ওর নাম ‘ধলালেজ-চুনিকণ্ঠী’। সে কিন্তু সারা বছরই আমাদের দেশেই থাকে। তবে আমরা এই পাখিটিকে কখনোই দেখতে পারিনি। এর কারণ ও খুবই লুকানো পাখি। স্বভাবগতভাবে ‘চুনিকণ্ঠী’রা অত্যন্ত লুকানোচরিত্রের পাখি। বরং ‘সাইবেরীয় চুনিকণ্ঠীরা’ কখনো কখনো ঝোপের বাইরে বের হয়। কিন্তু ওই ‘ধলালেজ-চুনিকণ্ঠী’ একেবারেই ঝোপের বাইরে বেরু হয় না। তবে এই দুটো ‘চুনিকণ্ঠী’র বাইরে পৃথিবীতে ‘চাইনিজ-চুনিকণ্ঠী’ নামে আরেকটি ‘চুনিকণ্ঠী’ রয়েছে। যেটাকে আমরা আজও দেখিনি। ‘চুনিকণ্ঠী’ অর্থাৎ যাদের গলা লাল এমন পাখি পৃথিবীতে মোট ৩ প্রজাতির রয়েছে। এর মাঝে ২টি প্রজাতির চুনিকণ্ঠী আপনি বাংলাদেশে দেখতে পাবেন। আর আরেকটি প্রজাতি যেটার নাম ‘চাইনিজ-চুনিকণ্ঠী’ যেটা আমরা আজও বাংলাদেশে দেখিনি, কিন্তু দেখা যেতেও পারে।
‘চুনিকণ্ঠী’দের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সাইবেরীয় চুনিকণ্ঠী’ পোকাখেকো পাখি। ঝোপঝাড়ের মধ্যেই সে বিচরণ করে গাছেও উঠে কম। সে ঝোপের মধ্যে পোকা ধরে অথবা মাটির মধ্যে নেমে পোকা ধরে খায়। চা বাগানের চা গাছগুলোকে যেহেতু বাড়তে দেয়া হয় না তাই সেই চা গাছগুলো ‘ঝোপ’ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। ঝোপের পাখি বলেও ওরা চা বাগানে পছন্দ করে।
‘সাইবেরীয় চুনিকণ্ঠী’র ইংরেজি নাম Siberian rubythroat এবং বৈজ্ঞানিক নাম Luscinia calliope. এরা বাংলাদেশের বিরল পরিযায়ী পাখি। এর চোখের ওপরে রয়েছে সাদা ভ্রু-রেখা। পাখিটির দৈর্ঘ্য ১৫ সেন্টিমিটার এবং ওজন মাত্র ২২ গ্রাম। ছেলেপাখিটির গলা চুনিলাল এবং মেয়েপাখিটির গলা সাদা কিংবা বেগুনি। এদের খাদ্যতালিকায় রয়েছে প্রধানত পোকা ও পোকার লার্ভা। মাঝে মাঝে উইপোকার ঢিবির আশেপাশে অন্যান্য পতঙ্গভুক শিকারি পাখিদের দলে যোগ দিয়ে পোকা ধরে খায় বলে জানান পাখিবিদ ইনাম আল হক।
প্রভাতী খবর ডেস্ক
০১ নভেম্বর, ২০২২, 9:45 PM
চলে এসেছে শীত। চলে আসতে শুরু করে দিয়েছে শীতের পাখিরা। একশত বা দুইশত কিলোমিটার নয়, কিংবা নয় এক হাজার কিলোমিটারের পথও। দশ হাজার কিলোমিটারের পথ পেরিয়ে শীতের ‘পরিযায়ী পাখি’ এখন বাংলাদেশে। ভাবা যায়!
আর সে আমাদের জাতীয় পাখি দোয়েলের নিকটাত্মীয়। খুব কাছাকাছি পরিবারের পাখি এরা। কার্তিকের কুশায়াঘেরা বাংলাদেশের প্রথম সকালের প্রথম খাবারটা নিজের মতো করে খেয়ে ৫/৬ মাস এখানেই কাটিয়ে দেওয়ার জন্যে ১০ হাজার কিলোমিটারের দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে চলে এসেছে ‘সাইবেরীয় চুনিকণ্ঠী’।
এ প্রসঙ্গে বরেণ্য পাখিগবেষক, লেখক এবং বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের দেশে দুই প্রজাতির ‘চুনিকণ্ঠী’ আছে। ‘সাইবেরীয় চুনিকণ্ঠী’ সাইবেরীয়াতে গ্রীষ্মকালে বাচ্চা দেয়। চীন থেকে শুরু করে একেবারে রাশিয়ার অনেক উত্তর পর্যন্ত। যেটাকে তুন্দ্র অঞ্চল বলা হয়। কিন্তু শীতকালে ওরা চলে আসে দক্ষিণে। ‘সাইবেরীয় চুনিকণ্ঠী’ পাখিটা কিন্তু অল্প জায়গাজুড়ে থাকে। সারাব্যাপী নয়। গ্রীষ্মে ওরা মঙ্গোলিয়া থেকে রাশিয়ার পর্ব দিক তুন্দ্রা অঞ্চাল পর্যন্ত থাকে। আর শীতে ওরা ইন্ডিয়া, বাংলাদেশ, নেপাল, মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ড এই অঞ্চলগুলোতে বেশি থাকে। ইন্ডিয়াতেও ওদের বিচরণ কম। দক্ষিণ ইন্ডিয়ায় গেলে ওদের আর পাবেন না। শুধু বাংলাদেশের এই উত্তরের দিকেই বেশি। আমরা এটাকে বেশি দেখতে পাই কিন্তু এই সিলেট অঞ্চলেই। ‘সাইবেরীয় চুনিকণ্ঠী’ পাখিটি কিন্তু আমাদের দোয়েলের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। এরা ‘দোয়েল’-‘শ্যামা’ পরিবারের পাখি।
তাইগা এবং তুদ্রা অঞ্চলের পার্থক্য তুলে ধরে তিনি বলেন, রাশিয়ার তুন্দ্রা অঞ্চল হলো যেখানে শুধু হালকা ঝোপঝাড় হয়। কিন্তু গাছ হয় না। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা যেখানে অল্প সময় গরম থাকে, কিন্তু বড় গাছ আর হয় না। আর যেখানে গাছ হয় কিন্তু পুরো বরফের মধ্যে গাছগুলো দাঁড়িয়ে থাকে তাকে তাইগা অঞ্চল বলে। খুবই ঠাণ্ডা কিন্তু গরম থাকে বেশি সময়। আমাদের কিছু পাখি আছে যারা তাইগা অঞ্চলে বসবাস করে পুনরায় আমাদের দেশে ফিরে আসে। যেমন ‘তাইগা-চুটকি’। ওরা তাইগা অঞ্চলে বাসা করে। আবার অনেকে আছে যারা আরো উত্তরে চলে গিয়ে তুন্দ্রা অঞ্চলে বাসা করে। এই হলো দোয়েলের সেই আত্মীয় যে কিনা সাইবেরিয়ার তুন্দ্রা অঞ্চলে ডিম দিয়ে ছানা ফুটায়।
বাংলাদেশে আসা প্রসঙ্গে ইনাম আল হক বলেন, চুনিকণ্ঠী মানে এ পাখিটার গলাটা চুনি বা রুবি অর্থাৎ লালচে রঙের। লাল গলা যার সে-ই হলো ‘চুনিকণ্ঠী’। ‘দোয়েল’-‘শ্যামা’ ওর খুবই ঘনিষ্ঠ পরিবারের পাখি। ‘দোয়েল’-‘শ্যামা’ পরিবারের আরেকটি ঘনিষ্ঠ সদস্য হলো- ‘সাইবেরীয় চুনিকণ্ঠী’। বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে চা বাগানেই বেশি দেখতে পাওয়া যায় পাখিটিকে। আমি অনেকবার সেখান থেকে ছবি তুলেছি। যেহেতু নভেম্বর মাস শুরু হয়ে গেছে কিছু সংখ্যক ‘সাইবেরীয় চুনিকণ্ঠী’রা ইতোমধ্যে অবশ্যই বাংলাদেশে চলে এসেছে। বাকিরা হয়তো ধীরে ধীরে আসবে। ঝোপঝাড়ময় গাছে গাছে ঘুরে বেড়াচ্ছে ওরা। পোকা ধরে ধরে খাচ্ছে। আবার ওরা মার্চ-এপ্রিলে ফিরে যাবে। তখন আর বাংলাদেশে তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। উড়ে উড়ে প্রায় ১০ হাজার পথ পাড়ি দিয়ে আবার মঙ্গোলিয়া এবং রাশিয়ার তুন্দ্রা অঞ্চলে ফিরে যাবে।
পৃথিবীব্যাপী ৩ প্রজাতির চুনিকণ্ঠী পাখি সম্পর্কে তিনি বলেন, সাইবেরীয় চুনিকণ্ঠী ছাড়াও আরও একটা ‘চুনিকণ্ঠী’ আমাদের আছে কিন্তু। ওর নাম ‘ধলালেজ-চুনিকণ্ঠী’। সে কিন্তু সারা বছরই আমাদের দেশেই থাকে। তবে আমরা এই পাখিটিকে কখনোই দেখতে পারিনি। এর কারণ ও খুবই লুকানো পাখি। স্বভাবগতভাবে ‘চুনিকণ্ঠী’রা অত্যন্ত লুকানোচরিত্রের পাখি। বরং ‘সাইবেরীয় চুনিকণ্ঠীরা’ কখনো কখনো ঝোপের বাইরে বের হয়। কিন্তু ওই ‘ধলালেজ-চুনিকণ্ঠী’ একেবারেই ঝোপের বাইরে বেরু হয় না। তবে এই দুটো ‘চুনিকণ্ঠী’র বাইরে পৃথিবীতে ‘চাইনিজ-চুনিকণ্ঠী’ নামে আরেকটি ‘চুনিকণ্ঠী’ রয়েছে। যেটাকে আমরা আজও দেখিনি। ‘চুনিকণ্ঠী’ অর্থাৎ যাদের গলা লাল এমন পাখি পৃথিবীতে মোট ৩ প্রজাতির রয়েছে। এর মাঝে ২টি প্রজাতির চুনিকণ্ঠী আপনি বাংলাদেশে দেখতে পাবেন। আর আরেকটি প্রজাতি যেটার নাম ‘চাইনিজ-চুনিকণ্ঠী’ যেটা আমরা আজও বাংলাদেশে দেখিনি, কিন্তু দেখা যেতেও পারে।
‘চুনিকণ্ঠী’দের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সাইবেরীয় চুনিকণ্ঠী’ পোকাখেকো পাখি। ঝোপঝাড়ের মধ্যেই সে বিচরণ করে গাছেও উঠে কম। সে ঝোপের মধ্যে পোকা ধরে অথবা মাটির মধ্যে নেমে পোকা ধরে খায়। চা বাগানের চা গাছগুলোকে যেহেতু বাড়তে দেয়া হয় না তাই সেই চা গাছগুলো ‘ঝোপ’ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। ঝোপের পাখি বলেও ওরা চা বাগানে পছন্দ করে।
‘সাইবেরীয় চুনিকণ্ঠী’র ইংরেজি নাম Siberian rubythroat এবং বৈজ্ঞানিক নাম Luscinia calliope. এরা বাংলাদেশের বিরল পরিযায়ী পাখি। এর চোখের ওপরে রয়েছে সাদা ভ্রু-রেখা। পাখিটির দৈর্ঘ্য ১৫ সেন্টিমিটার এবং ওজন মাত্র ২২ গ্রাম। ছেলেপাখিটির গলা চুনিলাল এবং মেয়েপাখিটির গলা সাদা কিংবা বেগুনি। এদের খাদ্যতালিকায় রয়েছে প্রধানত পোকা ও পোকার লার্ভা। মাঝে মাঝে উইপোকার ঢিবির আশেপাশে অন্যান্য পতঙ্গভুক শিকারি পাখিদের দলে যোগ দিয়ে পোকা ধরে খায় বলে জানান পাখিবিদ ইনাম আল হক।