পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা যখন ক্ষতির কারণ
প্রভাতী খবর ডেস্ক
২৪ অক্টোবর, ২০২২, 11:00 PM
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা যখন ক্ষতির কারণ
সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর না রাখলেই নয়। তবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে অতিরিক্ত সচেতনতা অনেকসময় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিছু জিনিস বেশি পরিষ্কার না করাই ভালো। যেমন-
* আয়না: আয়নায় একটি বা দুইটি আঙুলের ছাপ পড়লে অনেকেই আয়না পরিস্কার করা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন সবসময়। আয়নাতে ডিটারজেন্ট জাতীয় উপকরণ দিয়ে অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে আপনার আয়নাটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কেননা অতিরিক্ত আর্দ্রতার ফলে আয়নার পিছনে থাকা পারদের আস্তরণ ক্ষয়প্রাপ্ত হয় ফলে ধীরে ধীরে আয়না নষ্ট হয়ে যায়। সুতরাং আয়নাতে যথেষ্ট পরিমাণ দাগ যখন থাকবে, তখনই কেবল আয়না পরিষ্কার করুন। সামান্য দাগে নিয়মিত পরিষ্কার করতে যাবেন না।
* কার্পেট: কার্পেটে সামান্য নোংরা পড়লেই পরিষ্কার করার প্রবণতা রয়েছে অনেকেরই। কার্পেট পরিষ্কার করার উপকরণগুলো সাবান অথবা ডিটারজেন্ট জাতীয় পদার্থ দিয়ে তৈরি। যার অতিরিক্ত ব্যবহার আপনার কার্পেটে স্থায়ী দাগ তৈরি করতে পারে, যা আপনি চাইলেও আর কোনোদিন উঠিয়ে ফেলতে পারবেন না। তাছাড়া এসকল ক্ষয়কারী উপাদান আপনার কার্পেটটি নষ্ট করে ফেলতে পারে। কার্পেট পরিষ্কারের জন্য বেশি শক্তিশালী পরিষ্কারক ব্যবহার না করে সাবান, পানি এবং ভিনেগারের মিশ্রণ ব্যবহার করুন। কার্পেট পরিষ্কারের পর তা ভালো করে শুকিয়ে নিন।
* কাঠের আসবাব: অতিরিক্ত পরিচর্যা বা পরিষ্কার করার ফলে কাঠের আসবাব ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলে ধীরে ধীরে সেগুলোর সৌন্দর্য নষ্ট যায়। স্প্রে জাতীয় নানা পরিষ্কারক উপকরণ বেশি ব্যবহার করলে তা অনেকসময় ময়লা আকৃষ্ট করে, যার ফলে আসবাব স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি নোংরা হয়। কাঠের আসবাবপত্র মাসে সর্বোচ্চ দুইবার পরিষ্কার করুন। পরিষ্কারক উপাদান বেশি ব্যবহার না করে কাপড় দিয়ে ঘষে ময়লা পরিষ্কারক করার চেষ্টা করুন।
* জিন্স: জিন্স যত কম ধোয়া যায় তত ভালো। জিন্স নিজের মতো করে ধোয়ার পর লন্ড্রি থেকে ড্রাই ক্লিন করে নিন। এতে করে ময়লা কম হবে এবং আপনি আপনার পোশাক দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে পারবেন।
* অন্তর্বাস: অন্তর্বাস সবচেয়ে বেশি পরিষ্কারের মধ্যে দিয়ে যায়। অতিরিক্ত ধোয়াকাচার ফলে অন্তর্বাসের সাইজ যেতে পারে। কমপক্ষে ২-৩ বার ব্যবহারের পর আপনার অন্তর্বাস পরিষ্কার করুন। অন্তর্বাস পরিষ্কার করার সময় একটি নেটব্যাগে ভরে তারপর অন্যান্য কাপড়ের সঙ্গে পরিষ্কার করুন যাতে অন্যান্য কাপড়ের সংস্পর্শে তা না আসে।
* হাত: জীবাণু থেকে রেহাই এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার একটি বিশেষ দিক হচ্ছে, ভালো করে হাত ধোয়া। তবে হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে অতিরিক্ত ধোয়া বা পরিষ্কার করার ফলে আপনার হাতের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। হাতের ত্বকের শুষ্কতা, চামড়া ফেটে যাওয়া, হাত ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়া আছে যেগুলো অতিরিক্ত হাত ধোয়ার ফলে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। প্রয়োজন ছাড়া ঘনঘন হাত ধোয়া থেকে বিরত থাকুন। অনেক চিকিৎসক মনে করেন, অতিরিক্ত হ্যান্ডওয়াশের ব্যবহারের ফলে শিশুদের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধের ক্ষমতা আস্তে আস্তে কমে যায়।
* চুল: এক গবেষণায় দেখা গেছে, খুব স্বল্প সংখ্যক মানুষেরই প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করা প্রয়োজন যেমন- যারা প্রচুর ব্যায়াম করেন (ঘাম হয়) বা যারা বেশি আর্দ্রতাপূর্ণ জায়গায় বসবাস করেন। চুলে নিয়মিত শ্যাম্পু করার ফলে চুলের ত্বকে তৈরি হওয়া প্রাকৃতিক তেলগুলো ধুয়ে যায়। এতে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যাদের স্ক্যাল্প তৈলাক্ত বা শুষ্ক তাদের ক্ষেত্রে ঘনঘন শ্যাম্পু করা স্বাভাবিক হলেও যাদের চুল ঘন এবং কোঁকড়ানো তাদের ঘনঘন শ্যাম্পু করার প্রয়োজন নেই।
তথ্যসূত্র: ইনসাইডার
প্রভাতী খবর ডেস্ক
২৪ অক্টোবর, ২০২২, 11:00 PM
সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর না রাখলেই নয়। তবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে অতিরিক্ত সচেতনতা অনেকসময় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিছু জিনিস বেশি পরিষ্কার না করাই ভালো। যেমন-
* আয়না: আয়নায় একটি বা দুইটি আঙুলের ছাপ পড়লে অনেকেই আয়না পরিস্কার করা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন সবসময়। আয়নাতে ডিটারজেন্ট জাতীয় উপকরণ দিয়ে অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে আপনার আয়নাটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কেননা অতিরিক্ত আর্দ্রতার ফলে আয়নার পিছনে থাকা পারদের আস্তরণ ক্ষয়প্রাপ্ত হয় ফলে ধীরে ধীরে আয়না নষ্ট হয়ে যায়। সুতরাং আয়নাতে যথেষ্ট পরিমাণ দাগ যখন থাকবে, তখনই কেবল আয়না পরিষ্কার করুন। সামান্য দাগে নিয়মিত পরিষ্কার করতে যাবেন না।
* কার্পেট: কার্পেটে সামান্য নোংরা পড়লেই পরিষ্কার করার প্রবণতা রয়েছে অনেকেরই। কার্পেট পরিষ্কার করার উপকরণগুলো সাবান অথবা ডিটারজেন্ট জাতীয় পদার্থ দিয়ে তৈরি। যার অতিরিক্ত ব্যবহার আপনার কার্পেটে স্থায়ী দাগ তৈরি করতে পারে, যা আপনি চাইলেও আর কোনোদিন উঠিয়ে ফেলতে পারবেন না। তাছাড়া এসকল ক্ষয়কারী উপাদান আপনার কার্পেটটি নষ্ট করে ফেলতে পারে। কার্পেট পরিষ্কারের জন্য বেশি শক্তিশালী পরিষ্কারক ব্যবহার না করে সাবান, পানি এবং ভিনেগারের মিশ্রণ ব্যবহার করুন। কার্পেট পরিষ্কারের পর তা ভালো করে শুকিয়ে নিন।
* কাঠের আসবাব: অতিরিক্ত পরিচর্যা বা পরিষ্কার করার ফলে কাঠের আসবাব ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলে ধীরে ধীরে সেগুলোর সৌন্দর্য নষ্ট যায়। স্প্রে জাতীয় নানা পরিষ্কারক উপকরণ বেশি ব্যবহার করলে তা অনেকসময় ময়লা আকৃষ্ট করে, যার ফলে আসবাব স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি নোংরা হয়। কাঠের আসবাবপত্র মাসে সর্বোচ্চ দুইবার পরিষ্কার করুন। পরিষ্কারক উপাদান বেশি ব্যবহার না করে কাপড় দিয়ে ঘষে ময়লা পরিষ্কারক করার চেষ্টা করুন।
* জিন্স: জিন্স যত কম ধোয়া যায় তত ভালো। জিন্স নিজের মতো করে ধোয়ার পর লন্ড্রি থেকে ড্রাই ক্লিন করে নিন। এতে করে ময়লা কম হবে এবং আপনি আপনার পোশাক দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে পারবেন।
* অন্তর্বাস: অন্তর্বাস সবচেয়ে বেশি পরিষ্কারের মধ্যে দিয়ে যায়। অতিরিক্ত ধোয়াকাচার ফলে অন্তর্বাসের সাইজ যেতে পারে। কমপক্ষে ২-৩ বার ব্যবহারের পর আপনার অন্তর্বাস পরিষ্কার করুন। অন্তর্বাস পরিষ্কার করার সময় একটি নেটব্যাগে ভরে তারপর অন্যান্য কাপড়ের সঙ্গে পরিষ্কার করুন যাতে অন্যান্য কাপড়ের সংস্পর্শে তা না আসে।
* হাত: জীবাণু থেকে রেহাই এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার একটি বিশেষ দিক হচ্ছে, ভালো করে হাত ধোয়া। তবে হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে অতিরিক্ত ধোয়া বা পরিষ্কার করার ফলে আপনার হাতের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। হাতের ত্বকের শুষ্কতা, চামড়া ফেটে যাওয়া, হাত ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়া আছে যেগুলো অতিরিক্ত হাত ধোয়ার ফলে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। প্রয়োজন ছাড়া ঘনঘন হাত ধোয়া থেকে বিরত থাকুন। অনেক চিকিৎসক মনে করেন, অতিরিক্ত হ্যান্ডওয়াশের ব্যবহারের ফলে শিশুদের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধের ক্ষমতা আস্তে আস্তে কমে যায়।
* চুল: এক গবেষণায় দেখা গেছে, খুব স্বল্প সংখ্যক মানুষেরই প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করা প্রয়োজন যেমন- যারা প্রচুর ব্যায়াম করেন (ঘাম হয়) বা যারা বেশি আর্দ্রতাপূর্ণ জায়গায় বসবাস করেন। চুলে নিয়মিত শ্যাম্পু করার ফলে চুলের ত্বকে তৈরি হওয়া প্রাকৃতিক তেলগুলো ধুয়ে যায়। এতে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যাদের স্ক্যাল্প তৈলাক্ত বা শুষ্ক তাদের ক্ষেত্রে ঘনঘন শ্যাম্পু করা স্বাভাবিক হলেও যাদের চুল ঘন এবং কোঁকড়ানো তাদের ঘনঘন শ্যাম্পু করার প্রয়োজন নেই।
তথ্যসূত্র: ইনসাইডার