গোপালগঞ্জে মনোরম পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণ করছে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা

#
news image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা মনোরম পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণ করছে। আধুনিক স্থাপত্য শিল্পের আদলে নির্মিত মাদ্রাসার ৪ তলা ভবন রংএ রাঙানো হয়েছে। এক ভবনেই ৯টি শ্রেণিকক্ষ, নামাজঘর,কমন রুম, ক্লাস রুম কাম হলরুম, অধ্যক্ষের কক্ষ, শিক্ষক মিলনায়তন, ছাত্র-ছাত্রীর জন্য পৃথক ওয়াশ ব্লক রয়েছে। এমন সুদৃশ্য ভবন পেয়ে পূর্ব-উত্তর কোটালীপাড়া দারুছুন্নাৎ ছালেহিয়া ফাযিল মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী উপস্থিতি বেড়েছে।
গোপালগঞ্জ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের  নির্বাহী প্রকৌশলী প্রতিভা সরকার বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সুন্দর পরিবেশে পাঠ দানের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধুনিক স্থাপত্য শিল্পের আদলে মাদ্রাসায় ভবন নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সেই আলোকে নির্বাচিত মাদ্রাসা সমূহে উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের  আওতায় গোপালগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলায় ১৯টি মাদ্রাসার ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮ কোটি ৮৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। এরমধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৫টি, কোটালীপাড়ায় ৫টি,মুকসুদপুরে ৪টি , কাশিয়ানীতে ৩ টি, টুঙ্গিপাড়ায় ২টি মাদ্রসা রয়েছে। ইতিমধ্যে পূর্ব-উত্তর কোটালীপাড়া দারুছুন্নাৎ ছালেহিয়া ফাযিল মাদ্রাসায়, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর দাখিল মাদ্রাসা ও করপাড়া ইউনিয়ন আলীম মাদ্রাসা ভবন নির্মাণ শেষে হস্তান্তর করা হয়েছে। ১৫টি মাদ্রসার নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ১টি মাদ্রাসা নির্মাণের দরপত্র আহবান করা হয়েছে। হস্তান্তরকৃত ভবন গুলোতে শিক্ষার্থীরা অধুনিক সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। সেখানে তারা শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ পেয়েছে। মাদ্রসায় আনন্দঘন পরিবেশে তারা শিক্ষা গ্রহণ করছে।
পূর্ব-উত্তর কোটালীপাড়া দারুছুন্নাৎ ছালেহিয়া ফাযিল মাদ্রাসার আলীম ১ম বর্ষের ছাত্র আব্দুল আলীম বলেন, আমাদের মাদ্রসায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সুন্দর ভবন করে দিয়েছেন। এ ভবনে শ্রেণি কক্ষ,  প্রত্যেক শ্রেণিকক্ষে ফ্যান, চেয়ার টেবিল, ব্লাক বোর্ড দেয়া হয়েছে। সেই সাথে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা রয়েছে এ ভবনে। প্রত্যন্ত গ্রামের মাদ্রসায় এমন ভবন আমরা প্রত্যাশা করিনি। শহরের অভিজাত এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মত এ ভবনে সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এ ভবন পেয়ে আমরা শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ পেয়েছি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমরা কৃতঞ্জতা প্রকাশ করছি।
ওই মাদ্রাসার দাখিল পরিক্ষার্থী কেয়া বলেন,এ ভবনে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক ওয়াশরুম রয়েছে। এছাড়া এখানে কমন রুম রাখা হয়েছে। শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি আমরা কমন রুমে সময় কাটতে পারছি। অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে বসে পড়াশোনা নিয়ে কথা বলতে পারি। ভবনটি আমাদের খুবই পছন্দ হয়েছে।
ওই মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্র মোঃ শাহাদাত হোসেন বলে, নতুন এ ভবনে ক্লাস করতে আমাদের খুব ভ ালো লাগে। আমরা সবাই আগ্রহ ভরে নতুন শ্রেণি কক্ষে শিক্ষা গ্রহণ করি। ওই মাদ্রাসার আরবি বিভাগের প্রভাষক কাওসার হোসাইন বলেন, নতুন ভবন পেয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা খুবই উচ্ছসিত ও উদ্বেলিত। তারা ক্লাসে এসে মনোযোগ সহকারে পাঠ গ্রহণ করছে। সরকার এখানে শিক্ষার পরিবেশ করে দিয়েছে। পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে আমরা মাদ্রাসা শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করতে পারব। প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সফল হবে ইনশাল্লাহ।
ওই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ শিহাব উদ্দিন বলেন, একটি ভবন আমাদের মাদ্রাসার শিক্ষার পরিবেশে আমূল পরিবর্তন এনে দিয়েছে।  শিক্ষার্থীরা এমন ভবন পেয়ে খুবই আনন্দিত। তারা শিক্ষার ভালো পরিবেশ পেয়েছে। এতে আমাদের মাদ্রসায় শিক্ষার্থী উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে। অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের মাদ্রাসায় পড়াতে আরো বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। আমাদের বসার জন্যও ভাল ব্যবস্থা হয়েছে এই মাদ্রাসায়। শিক্ষকরাও নতুন উদ্যামে পাঠদান করছেন। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে আমরা মাদ্রসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ করে যাব।

অনলাইন ডেস্ক

২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২,  9:42 PM

news image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা মনোরম পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণ করছে। আধুনিক স্থাপত্য শিল্পের আদলে নির্মিত মাদ্রাসার ৪ তলা ভবন রংএ রাঙানো হয়েছে। এক ভবনেই ৯টি শ্রেণিকক্ষ, নামাজঘর,কমন রুম, ক্লাস রুম কাম হলরুম, অধ্যক্ষের কক্ষ, শিক্ষক মিলনায়তন, ছাত্র-ছাত্রীর জন্য পৃথক ওয়াশ ব্লক রয়েছে। এমন সুদৃশ্য ভবন পেয়ে পূর্ব-উত্তর কোটালীপাড়া দারুছুন্নাৎ ছালেহিয়া ফাযিল মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী উপস্থিতি বেড়েছে।
গোপালগঞ্জ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের  নির্বাহী প্রকৌশলী প্রতিভা সরকার বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সুন্দর পরিবেশে পাঠ দানের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধুনিক স্থাপত্য শিল্পের আদলে মাদ্রাসায় ভবন নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সেই আলোকে নির্বাচিত মাদ্রাসা সমূহে উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের  আওতায় গোপালগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলায় ১৯টি মাদ্রাসার ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮ কোটি ৮৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। এরমধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৫টি, কোটালীপাড়ায় ৫টি,মুকসুদপুরে ৪টি , কাশিয়ানীতে ৩ টি, টুঙ্গিপাড়ায় ২টি মাদ্রসা রয়েছে। ইতিমধ্যে পূর্ব-উত্তর কোটালীপাড়া দারুছুন্নাৎ ছালেহিয়া ফাযিল মাদ্রাসায়, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর দাখিল মাদ্রাসা ও করপাড়া ইউনিয়ন আলীম মাদ্রাসা ভবন নির্মাণ শেষে হস্তান্তর করা হয়েছে। ১৫টি মাদ্রসার নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ১টি মাদ্রাসা নির্মাণের দরপত্র আহবান করা হয়েছে। হস্তান্তরকৃত ভবন গুলোতে শিক্ষার্থীরা অধুনিক সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। সেখানে তারা শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ পেয়েছে। মাদ্রসায় আনন্দঘন পরিবেশে তারা শিক্ষা গ্রহণ করছে।
পূর্ব-উত্তর কোটালীপাড়া দারুছুন্নাৎ ছালেহিয়া ফাযিল মাদ্রাসার আলীম ১ম বর্ষের ছাত্র আব্দুল আলীম বলেন, আমাদের মাদ্রসায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সুন্দর ভবন করে দিয়েছেন। এ ভবনে শ্রেণি কক্ষ,  প্রত্যেক শ্রেণিকক্ষে ফ্যান, চেয়ার টেবিল, ব্লাক বোর্ড দেয়া হয়েছে। সেই সাথে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা রয়েছে এ ভবনে। প্রত্যন্ত গ্রামের মাদ্রসায় এমন ভবন আমরা প্রত্যাশা করিনি। শহরের অভিজাত এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মত এ ভবনে সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এ ভবন পেয়ে আমরা শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ পেয়েছি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমরা কৃতঞ্জতা প্রকাশ করছি।
ওই মাদ্রাসার দাখিল পরিক্ষার্থী কেয়া বলেন,এ ভবনে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক ওয়াশরুম রয়েছে। এছাড়া এখানে কমন রুম রাখা হয়েছে। শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি আমরা কমন রুমে সময় কাটতে পারছি। অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে বসে পড়াশোনা নিয়ে কথা বলতে পারি। ভবনটি আমাদের খুবই পছন্দ হয়েছে।
ওই মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্র মোঃ শাহাদাত হোসেন বলে, নতুন এ ভবনে ক্লাস করতে আমাদের খুব ভ ালো লাগে। আমরা সবাই আগ্রহ ভরে নতুন শ্রেণি কক্ষে শিক্ষা গ্রহণ করি। ওই মাদ্রাসার আরবি বিভাগের প্রভাষক কাওসার হোসাইন বলেন, নতুন ভবন পেয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা খুবই উচ্ছসিত ও উদ্বেলিত। তারা ক্লাসে এসে মনোযোগ সহকারে পাঠ গ্রহণ করছে। সরকার এখানে শিক্ষার পরিবেশ করে দিয়েছে। পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে আমরা মাদ্রাসা শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করতে পারব। প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সফল হবে ইনশাল্লাহ।
ওই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ শিহাব উদ্দিন বলেন, একটি ভবন আমাদের মাদ্রাসার শিক্ষার পরিবেশে আমূল পরিবর্তন এনে দিয়েছে।  শিক্ষার্থীরা এমন ভবন পেয়ে খুবই আনন্দিত। তারা শিক্ষার ভালো পরিবেশ পেয়েছে। এতে আমাদের মাদ্রসায় শিক্ষার্থী উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে। অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের মাদ্রাসায় পড়াতে আরো বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। আমাদের বসার জন্যও ভাল ব্যবস্থা হয়েছে এই মাদ্রাসায়। শিক্ষকরাও নতুন উদ্যামে পাঠদান করছেন। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে আমরা মাদ্রসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ করে যাব।