খালি পেটে এই ৫টি ভেষজ খেয়েই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে ডায়াবেটিস

#
news image

বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের শরীরে ধরা পড়ছে ডায়াবেটিস। দীর্ঘমেয়াদী এই ব্যাধি মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন কমিয়ে দেয়, তেমনি শরীরের প্রায় সব অঙ্গে তৈরি করে নানা অসামঞ্জস্যতা। সেই সঙ্গে রক্তে বেড়ে যায় শর্করার মাত্রাও।

ইনসুলিন কিংবা ওষুধ দিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে তারপরও খাদ্যতালিকায় সঠিক খাবার রেখে জীবনধারার পরিবর্তন আনার কোনো বিকল্প নেই। ডায়াবেটিস রোগ পুরোপুরি নিরাময় করা না গেলেও পরিমিত পরিমাণে খাদ্যাভ্যাস এবং সুস্থ জীবনধারার মাধ্যমে অনেকাংশেই এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ভেষজ খাবার বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ ভেষজ খাবারের আয়ুর্বেদিক গুণাগুণ রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম। তবে সেগুলো খেতে হবে সঠিক সময়ে এবং সঠিক উপায়ে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ডা. দীক্ষা ভাবসার এমন ৫টি আয়ুর্বেদিক ভেষজের কথা উল্লেখ করেছেন, যেগুলোর মাধ্যমে টাইপ ওয়ান এবং টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীরা সহজেই রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।

মেথি

ডায়াবেটিস, স্থূলতা এবং কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভোগা রোগীদের জন্য অন্যতম কার্যকরী খাবার হতে পারে এই ভেষজটি। এর আয়ুর্বেদিক গুণাগুণ রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করে এবং গ্লুকোজ সহনশীলতা বাড়ায়। তাছাড়া, কোলেস্টেরল, এলডিএল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতেও মেথির জুড়ি নেই।

যেভাবে খাবেন

-খালি পেটে বা ঘুমানোর সময়ে গরম পানির সঙ্গে এক চামচ পাউডার (৫ গ্রাম) মিশিয়ে 

-এক চা চামচ মেথির বীজ সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে সেটি খালি পেটে পানির সঙ্গে খান।

গোলমরিচ

এ ভেষজটি মানবদেহের ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে গোলমরিচে থাকা পিপারেন নামক গুরুত্বপূর্ণ উপাদানটি।

যেভাবে খাবেন: একটি কালো মরিচ গুঁড়ো গুঁড়ো করে এক চামচ হলুদের সঙ্গে মিশিয়ে তা খালি পেটে বা রাতের খাবারের এক ঘন্টা আগে খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।

দারুচিনি

রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে শর্করার মাত্রা হ্রাস করতে দারুচিনি বেশ কার্যকর। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত চর্বি এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেও এর জুড়ি নেই।

যেভাবে খাবেন

-আধা চা চামচ হলুদ এবং সম পরিমাণ মেথির গুঁড়োর সঙ্গে এক চা চামচ দারুচিনি মিশিয়ে খালি পেটে খেতে হবে।

-ভেষজ চায়ে এক টুকরো দারুচিনি যুক্ত করেও খাওয়া যেতে পারে।

নিশা-আমালকি

আয়ুর্বেদিক গুণাগুণের জন্য অনেক চিকিৎসকই ডায়াবেটিস রোগীদের নিশা (হলুদ) এবং আমলকির (আমলা) সংমিশ্রণটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই ভেষজ খেলে রক্তের শর্করার মাত্রা ভারসাম্যপূর্ণ থাকবে এবং শারীরিক সক্ষমতা বাড়বে। এছাড়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ডায়াবেটিস সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতাও প্রতিরোধ করে এটি।  

যেভাবে খাবেন: আমলা পাউডারের সঙ্গে সমপরিমাণ হলুদ মিশিয়ে খালি পেটে এক চামচ খেতে হবে।

আদা

আদায় অ্যান্টি-ডায়াবেটিক, হাইপোলিপিডেমিক এবং অ্যান্টি-অক্সিডেটিভ উপাদান রয়েছে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি এটি বিপাক প্রক্রিয়াকে উন্নত করে থাকে।

যেভাবে খাবেন

-আদা চা হিসেবে খাবারের এক ঘণ্টা আগে বা পরে।

-নিশা-আমলকির সঙ্গে এক চা চামচ শুকনো আদা গুঁড়ো মিশিয়ে।

উপরোক্ত ৫টি ভেষজ একত্রে মিশিয়েও একজন ডায়াবেটিস রোগী খেতে পারেন। আধা চা চামচ মেথি, একটি কালো মরিচ (গুঁড়া), এক চিমটি দারুচিনি এবং শুঁটির (শুকনো আদা গুঁড়া) সঙ্গে এক চামচ নিশা-আমলকি একসঙ্গে মিশিয়ে সেটি খেয়ে সকাল শুরু করা যেতে পারে।

অনলাইন ডেস্ক

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২,  1:00 AM

news image

বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের শরীরে ধরা পড়ছে ডায়াবেটিস। দীর্ঘমেয়াদী এই ব্যাধি মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন কমিয়ে দেয়, তেমনি শরীরের প্রায় সব অঙ্গে তৈরি করে নানা অসামঞ্জস্যতা। সেই সঙ্গে রক্তে বেড়ে যায় শর্করার মাত্রাও।

ইনসুলিন কিংবা ওষুধ দিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে তারপরও খাদ্যতালিকায় সঠিক খাবার রেখে জীবনধারার পরিবর্তন আনার কোনো বিকল্প নেই। ডায়াবেটিস রোগ পুরোপুরি নিরাময় করা না গেলেও পরিমিত পরিমাণে খাদ্যাভ্যাস এবং সুস্থ জীবনধারার মাধ্যমে অনেকাংশেই এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ভেষজ খাবার বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ ভেষজ খাবারের আয়ুর্বেদিক গুণাগুণ রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম। তবে সেগুলো খেতে হবে সঠিক সময়ে এবং সঠিক উপায়ে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ডা. দীক্ষা ভাবসার এমন ৫টি আয়ুর্বেদিক ভেষজের কথা উল্লেখ করেছেন, যেগুলোর মাধ্যমে টাইপ ওয়ান এবং টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীরা সহজেই রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।

মেথি

ডায়াবেটিস, স্থূলতা এবং কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভোগা রোগীদের জন্য অন্যতম কার্যকরী খাবার হতে পারে এই ভেষজটি। এর আয়ুর্বেদিক গুণাগুণ রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করে এবং গ্লুকোজ সহনশীলতা বাড়ায়। তাছাড়া, কোলেস্টেরল, এলডিএল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতেও মেথির জুড়ি নেই।

যেভাবে খাবেন

-খালি পেটে বা ঘুমানোর সময়ে গরম পানির সঙ্গে এক চামচ পাউডার (৫ গ্রাম) মিশিয়ে 

-এক চা চামচ মেথির বীজ সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে সেটি খালি পেটে পানির সঙ্গে খান।

গোলমরিচ

এ ভেষজটি মানবদেহের ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে গোলমরিচে থাকা পিপারেন নামক গুরুত্বপূর্ণ উপাদানটি।

যেভাবে খাবেন: একটি কালো মরিচ গুঁড়ো গুঁড়ো করে এক চামচ হলুদের সঙ্গে মিশিয়ে তা খালি পেটে বা রাতের খাবারের এক ঘন্টা আগে খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।

দারুচিনি

রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে শর্করার মাত্রা হ্রাস করতে দারুচিনি বেশ কার্যকর। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত চর্বি এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেও এর জুড়ি নেই।

যেভাবে খাবেন

-আধা চা চামচ হলুদ এবং সম পরিমাণ মেথির গুঁড়োর সঙ্গে এক চা চামচ দারুচিনি মিশিয়ে খালি পেটে খেতে হবে।

-ভেষজ চায়ে এক টুকরো দারুচিনি যুক্ত করেও খাওয়া যেতে পারে।

নিশা-আমালকি

আয়ুর্বেদিক গুণাগুণের জন্য অনেক চিকিৎসকই ডায়াবেটিস রোগীদের নিশা (হলুদ) এবং আমলকির (আমলা) সংমিশ্রণটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই ভেষজ খেলে রক্তের শর্করার মাত্রা ভারসাম্যপূর্ণ থাকবে এবং শারীরিক সক্ষমতা বাড়বে। এছাড়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ডায়াবেটিস সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতাও প্রতিরোধ করে এটি।  

যেভাবে খাবেন: আমলা পাউডারের সঙ্গে সমপরিমাণ হলুদ মিশিয়ে খালি পেটে এক চামচ খেতে হবে।

আদা

আদায় অ্যান্টি-ডায়াবেটিক, হাইপোলিপিডেমিক এবং অ্যান্টি-অক্সিডেটিভ উপাদান রয়েছে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি এটি বিপাক প্রক্রিয়াকে উন্নত করে থাকে।

যেভাবে খাবেন

-আদা চা হিসেবে খাবারের এক ঘণ্টা আগে বা পরে।

-নিশা-আমলকির সঙ্গে এক চা চামচ শুকনো আদা গুঁড়ো মিশিয়ে।

উপরোক্ত ৫টি ভেষজ একত্রে মিশিয়েও একজন ডায়াবেটিস রোগী খেতে পারেন। আধা চা চামচ মেথি, একটি কালো মরিচ (গুঁড়া), এক চিমটি দারুচিনি এবং শুঁটির (শুকনো আদা গুঁড়া) সঙ্গে এক চামচ নিশা-আমলকি একসঙ্গে মিশিয়ে সেটি খেয়ে সকাল শুরু করা যেতে পারে।