শিক্ষা হবে আনন্দময়, পরীক্ষার চাপে জর্জরিত নয়: শিক্ষামন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৭ আগস্ট, ২০২২, 8:42 PM
শিক্ষা হবে আনন্দময়, পরীক্ষার চাপে জর্জরিত নয়: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন আনন্দময় হবে, পরীক্ষার চাপে জর্জরিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মিরপুরের মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
দীপু মনি বলেন, শিক্ষকের ভূমিকায় ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। আগে শিক্ষকের জ্ঞানের উৎস কম ছিল। এখন শিক্ষকদের জ্ঞানের উৎস ব্যাপক। করোনাকালে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়েছিলাম। শিক্ষার্থীরা বুঝতে পেরেছে অনলাইনে বিভিন্ন জায়গায় জ্ঞানের উৎস রয়েছে। সেগুলো থেকে প্রয়োজন মতো জ্ঞান আহরণ করা নিজের শেখার একটা পদ্ধতি। কাজেই যা কিছু, যখন, যেভাবে শেখা দরকার শিখতে পারবে।
শিক্ষকের ভূমিকা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তাদের ভূমিকা হতে হবে সহায়ক ও পথপ্রদর্শকের। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের গাইড হিসেবে ভূমিকা রাখবেন। তাই আমরা শিক্ষকদেরকে ব্যাপকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
তিনি আরও বলেন, সব নতুন পুস্তকগুলো তৈরি করেছি এমনভাবে- যাতে শিক্ষার্থীদের চিন্তা করতে শেখায়। সমস্যার নিরূপণ ও সমাধান করতে শেখায়। এককভাবে নয়, একযোগে, একসাথে সবার সাথে মিলে কাজ করতে শেখায়। শিক্ষার্থীদের সূক্ষ্ম চিন্তা ও সৃজনশীলতায় শিক্ষা হবে সহায়ক। সামাজিক সুনাগরিক হতে জরুরি নৈতিকতা, সামাজিক মূল্যবোধ, মানবিক বোধ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও দেশপ্রেমী হতে শিখবে শিক্ষার্থীরা। এ লক্ষ্যেই আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম তৈরি করা হয়েছে। আমরা আশা করি আগামী বছর থেকে এ শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন হবে।
বঙ্গবন্ধুর কথা স্মরণ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তিনি আমাদেরকে স্বাধীনতা ও পথ দেখিয়ে গেছেন। সেই পথেই তার কন্যার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ৭১ সালের পরাজিত অপশক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। তার মৃত্যু হয়েছে কিন্তু তার আদর্শের মৃত্যু হয়নি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনায় মনিপুর স্কুল ও কলেজ গড়ে উঠেছে। এই এলাকায় স্বাধীনতা বিরোধী জামাতচক্র ক্রমাগত অনাচারে এই স্কুলটি যাতে সামনের দিকে অগ্রসর না হতে পারে, বিভিন্ন সময় বিভ্রান্তিকর কাজ চালিয়ে স্কুলের সুনাম নষ্টের চেষ্টা করেছিল। আমাদের শিক্ষক সমাজ অত্যন্ত পরিশ্রমী। তাদের পরিশ্রমের ফলেই আমরা প্রতি বছর ভালো ফলাফল অর্জন করি। আমরা চাই এই প্রতিষ্ঠান দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে।
আলোচনা সভার পরিচালনা করেন মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অ্যাডহক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক রাশেদা আক্তার।
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৭ আগস্ট, ২০২২, 8:42 PM
শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন আনন্দময় হবে, পরীক্ষার চাপে জর্জরিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মিরপুরের মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
দীপু মনি বলেন, শিক্ষকের ভূমিকায় ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। আগে শিক্ষকের জ্ঞানের উৎস কম ছিল। এখন শিক্ষকদের জ্ঞানের উৎস ব্যাপক। করোনাকালে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়েছিলাম। শিক্ষার্থীরা বুঝতে পেরেছে অনলাইনে বিভিন্ন জায়গায় জ্ঞানের উৎস রয়েছে। সেগুলো থেকে প্রয়োজন মতো জ্ঞান আহরণ করা নিজের শেখার একটা পদ্ধতি। কাজেই যা কিছু, যখন, যেভাবে শেখা দরকার শিখতে পারবে।
শিক্ষকের ভূমিকা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তাদের ভূমিকা হতে হবে সহায়ক ও পথপ্রদর্শকের। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের গাইড হিসেবে ভূমিকা রাখবেন। তাই আমরা শিক্ষকদেরকে ব্যাপকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
তিনি আরও বলেন, সব নতুন পুস্তকগুলো তৈরি করেছি এমনভাবে- যাতে শিক্ষার্থীদের চিন্তা করতে শেখায়। সমস্যার নিরূপণ ও সমাধান করতে শেখায়। এককভাবে নয়, একযোগে, একসাথে সবার সাথে মিলে কাজ করতে শেখায়। শিক্ষার্থীদের সূক্ষ্ম চিন্তা ও সৃজনশীলতায় শিক্ষা হবে সহায়ক। সামাজিক সুনাগরিক হতে জরুরি নৈতিকতা, সামাজিক মূল্যবোধ, মানবিক বোধ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও দেশপ্রেমী হতে শিখবে শিক্ষার্থীরা। এ লক্ষ্যেই আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম তৈরি করা হয়েছে। আমরা আশা করি আগামী বছর থেকে এ শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন হবে।
বঙ্গবন্ধুর কথা স্মরণ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তিনি আমাদেরকে স্বাধীনতা ও পথ দেখিয়ে গেছেন। সেই পথেই তার কন্যার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ৭১ সালের পরাজিত অপশক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। তার মৃত্যু হয়েছে কিন্তু তার আদর্শের মৃত্যু হয়নি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনায় মনিপুর স্কুল ও কলেজ গড়ে উঠেছে। এই এলাকায় স্বাধীনতা বিরোধী জামাতচক্র ক্রমাগত অনাচারে এই স্কুলটি যাতে সামনের দিকে অগ্রসর না হতে পারে, বিভিন্ন সময় বিভ্রান্তিকর কাজ চালিয়ে স্কুলের সুনাম নষ্টের চেষ্টা করেছিল। আমাদের শিক্ষক সমাজ অত্যন্ত পরিশ্রমী। তাদের পরিশ্রমের ফলেই আমরা প্রতি বছর ভালো ফলাফল অর্জন করি। আমরা চাই এই প্রতিষ্ঠান দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে।
আলোচনা সভার পরিচালনা করেন মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অ্যাডহক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক রাশেদা আক্তার।