ডিজিটাল ক্যামেরায় ফেস ডিটেকশান টেকনোলজির ফিচার এবং ব্যবহার

#
news image

ডিজিটাল ক্যামেরায় ফেস ডিটেকশান টেকনোলজি কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। এই ক্ষেত্রে আপনি ম্যানুয়ালি ক্যামেরার তোলা ছবির প্রিভিউ অপশন থেকে ফেস ডিটেক্ট করে তাতে আপনার মন মত ইফেক্ট এবং ফিনিশিং টাচ ও দিতে পারবেন। একটি ফেস ডিটেকশান টেকনোলজি ওয়ালা ডিজিটাল ক্যামেরার সিম্পল লজিক ডায়াগ্রামটি মূলত এইরকম হয়ে থাকে। এবার আসুন তাহলে দেখে নেয়া যাক এই ফেস ডিটেকশান টেকনোলজির ফিচার এবং ব্যবহার।
ফেস সিলেকশান এবং ট্র্যাকিং
সাবজেক্টের ফেস এর উপরে আপনার ফোকাস ফিক্স করে দেয়ার পর আপনি চাইলে সেই ফেস এ অনুপাতে সিলকশান রেজ্ঞ সিলেক্ট করতে পারবেন। ফেস সিলেক্ট করা এবং ফাংশান ট্র্যাক করার পর আপনাকে নিমোক্ত দুইটা সেটিংস কনফিগার করতে হবে। অঋ ফ্রেম সিলেক্ট করতে হবে ফেস ডিটেকশান এর জন্যে। এই ডিটেকশান কনফার্ম করার জন্যে প্রিন্ট শেয়ার বাটন অপশনে ফেস ডিটেক্ট সিলেক্ট করতে হবে।
এএফ পয়েন্ট জুমিং
এএফ ফ্রমের ব্যবহার একটু আগেই বলেছি। এর সাহাঘ্যে নির্দিষ্ট ফেস আপনি চাইলে ছবি তোলার সময় অথবা চাইলে পরেও সিলেক্ট করতে পারবেন। এই এএফ পয়েন্টে আরেকটি চমৎকার ফিচার হল এএফ পয়েন্ট জুমিং। আপনি চাইলে ছবি তোলার সময় অথবা তারপরেও এই জুমিং অপশন ব্যবহার করতে পারবেন। ফটো ফোকাসিং ঠিক করা এবং কারও এক্সপ্রেশানকে ঠিক করতে এই টেকনোলজি আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। আর আপনি যদি কোন শৌখিন ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন তাহলে তো আর কোন কথাই নাই। তাছাড়া ম্যাক্রো মোডের ক্ষেত্রেও আপনাকে ফোকাসিং করতে সাহাঘ্য করবে এই জুমিং অপশনটি।
ফেস ডিটেকশান অঋ/অঊ/ঋঊ/ডই
ফেস ডিটেকশান টেকনোলজি আরো সুবিধা যোগ করে দিয়েছে ডিজিটাল ক্যামেরার ক্ষেত্রে। ফেসকে ডিটেক্ট করা ছাড়াও ফোকাস, এক্সপোজার, হোয়াইট ব্যালান্স-এর মত সুক্ষ টাস্ক আপনি চাইলে ম্যানুয়ালি অথবা অটো সেটআপ করতে পারবেন। ফ্ল্যাশের সময় অটোমেটিক্যালি ফেস ইলুমিনেশান ফোকাসিংকে আরো সুবিধাজনক অবস্হায় নিয়ে এসেছে। এই ইলুমিনেশানের জন্যে ফোকাসিং এবং ফেসিং সব সময় সুবিধা জনক অবস্হানে রাখা হয়।
রেড আই কারেকশান
এখন থেকে ছবিতে রেড আই পরে গেলে ফটোশপে ঘষামাজা করতে হবে না। ফেস ডিটেকশান টেকনোলজি ব্যবহার করে রেড আই ইফেক্টটা রিজলভ করে দিলেই হবে। কিছুকিছু এক্সেপশনাল কেস এ এটি অটোমেটিক্যালি এই রেড আই খুঁজে বের করে এবং কারেকশান করে দেয়। আবার আপনি চাইলে অবশ্য ম্যানুয়ালিও ডিটেক্ট করে কারেক্ট করে নিতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে রেড আই শ্যাডো অপশনের সাহাঘ্যে আপনি কারেকশান করতে পারবেন। এর জন্যে আপনাকে বেছে নিতে হবে। আরেকটা কথা কারেক্ট করা হয়ে গেলে ইমেজ অটোমেটিক্যালি মেমরি কার্ডে সেভ হয়ে যাবে। আপনাকে আবার ম্যানুয়ালি করার ঝামেলায় যাওয়ার দরকার নেই।
ফোকাস চেকিং
আগের চাইতে আরও ভালোভাবে ফোকাসিং-এর কাজ করা যাবে। আপনি চাইলে ছবি তোলার সময় অথবা পরপরই ফোকাসটি দেখে নিতে পারেন। ফোকাস যদি আপনার মনের মতো জায়গায় না হয় তাহলে আপনি চাইলে প্লেব্যাক করে ফোকাস আরেক জায়গায় নিয়ে যেতে পারবেন।
ট্রিমিং
তোলা ছবির কোন নির্দিষ্ট অংশকে ট্রিমিং করতে চাইলে এখানে সংযুক্ত রয়েছে ক্যামেরাÑসাইড ট্রিমিং অপশন। এএফ ফ্রেমে ফেস ডিটেকশানের মাধ্যমে নির্দিষ্ট অংশ সিলেক্ট করা হয়ে গেলে। কোন কোন ক্ষেত্রে মাল্টিপল ইমেজ ডিটেকশান ও করা হয়ে থাকে। ট্রিমিং-এর এই ফ্রেম এক ফেস থেকে আরেক ফেসে সুইচ করাতে প্রিন্ট/শেয়ার অপশন ব্যবহার করা যেতে পারে। ঠিক ট্যাব বাটনের মত। তাছাড়া আরেকটি মজার বিষয় হল অন্য কামেরায় তোলা ছবিতে এই ফেস ডিটেকশান টেকনোলজির মাধ্যমে আরো সুন্দর ফিনিশিং টাচ দেয়া সম্ভব।

প্রথ/ সাদ্দাম

অনলাইন ডেস্ক

১৫ এপ্রিল, ২০২২,  6:18 AM

news image

ডিজিটাল ক্যামেরায় ফেস ডিটেকশান টেকনোলজি কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। এই ক্ষেত্রে আপনি ম্যানুয়ালি ক্যামেরার তোলা ছবির প্রিভিউ অপশন থেকে ফেস ডিটেক্ট করে তাতে আপনার মন মত ইফেক্ট এবং ফিনিশিং টাচ ও দিতে পারবেন। একটি ফেস ডিটেকশান টেকনোলজি ওয়ালা ডিজিটাল ক্যামেরার সিম্পল লজিক ডায়াগ্রামটি মূলত এইরকম হয়ে থাকে। এবার আসুন তাহলে দেখে নেয়া যাক এই ফেস ডিটেকশান টেকনোলজির ফিচার এবং ব্যবহার।
ফেস সিলেকশান এবং ট্র্যাকিং
সাবজেক্টের ফেস এর উপরে আপনার ফোকাস ফিক্স করে দেয়ার পর আপনি চাইলে সেই ফেস এ অনুপাতে সিলকশান রেজ্ঞ সিলেক্ট করতে পারবেন। ফেস সিলেক্ট করা এবং ফাংশান ট্র্যাক করার পর আপনাকে নিমোক্ত দুইটা সেটিংস কনফিগার করতে হবে। অঋ ফ্রেম সিলেক্ট করতে হবে ফেস ডিটেকশান এর জন্যে। এই ডিটেকশান কনফার্ম করার জন্যে প্রিন্ট শেয়ার বাটন অপশনে ফেস ডিটেক্ট সিলেক্ট করতে হবে।
এএফ পয়েন্ট জুমিং
এএফ ফ্রমের ব্যবহার একটু আগেই বলেছি। এর সাহাঘ্যে নির্দিষ্ট ফেস আপনি চাইলে ছবি তোলার সময় অথবা চাইলে পরেও সিলেক্ট করতে পারবেন। এই এএফ পয়েন্টে আরেকটি চমৎকার ফিচার হল এএফ পয়েন্ট জুমিং। আপনি চাইলে ছবি তোলার সময় অথবা তারপরেও এই জুমিং অপশন ব্যবহার করতে পারবেন। ফটো ফোকাসিং ঠিক করা এবং কারও এক্সপ্রেশানকে ঠিক করতে এই টেকনোলজি আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। আর আপনি যদি কোন শৌখিন ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন তাহলে তো আর কোন কথাই নাই। তাছাড়া ম্যাক্রো মোডের ক্ষেত্রেও আপনাকে ফোকাসিং করতে সাহাঘ্য করবে এই জুমিং অপশনটি।
ফেস ডিটেকশান অঋ/অঊ/ঋঊ/ডই
ফেস ডিটেকশান টেকনোলজি আরো সুবিধা যোগ করে দিয়েছে ডিজিটাল ক্যামেরার ক্ষেত্রে। ফেসকে ডিটেক্ট করা ছাড়াও ফোকাস, এক্সপোজার, হোয়াইট ব্যালান্স-এর মত সুক্ষ টাস্ক আপনি চাইলে ম্যানুয়ালি অথবা অটো সেটআপ করতে পারবেন। ফ্ল্যাশের সময় অটোমেটিক্যালি ফেস ইলুমিনেশান ফোকাসিংকে আরো সুবিধাজনক অবস্হায় নিয়ে এসেছে। এই ইলুমিনেশানের জন্যে ফোকাসিং এবং ফেসিং সব সময় সুবিধা জনক অবস্হানে রাখা হয়।
রেড আই কারেকশান
এখন থেকে ছবিতে রেড আই পরে গেলে ফটোশপে ঘষামাজা করতে হবে না। ফেস ডিটেকশান টেকনোলজি ব্যবহার করে রেড আই ইফেক্টটা রিজলভ করে দিলেই হবে। কিছুকিছু এক্সেপশনাল কেস এ এটি অটোমেটিক্যালি এই রেড আই খুঁজে বের করে এবং কারেকশান করে দেয়। আবার আপনি চাইলে অবশ্য ম্যানুয়ালিও ডিটেক্ট করে কারেক্ট করে নিতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে রেড আই শ্যাডো অপশনের সাহাঘ্যে আপনি কারেকশান করতে পারবেন। এর জন্যে আপনাকে বেছে নিতে হবে। আরেকটা কথা কারেক্ট করা হয়ে গেলে ইমেজ অটোমেটিক্যালি মেমরি কার্ডে সেভ হয়ে যাবে। আপনাকে আবার ম্যানুয়ালি করার ঝামেলায় যাওয়ার দরকার নেই।
ফোকাস চেকিং
আগের চাইতে আরও ভালোভাবে ফোকাসিং-এর কাজ করা যাবে। আপনি চাইলে ছবি তোলার সময় অথবা পরপরই ফোকাসটি দেখে নিতে পারেন। ফোকাস যদি আপনার মনের মতো জায়গায় না হয় তাহলে আপনি চাইলে প্লেব্যাক করে ফোকাস আরেক জায়গায় নিয়ে যেতে পারবেন।
ট্রিমিং
তোলা ছবির কোন নির্দিষ্ট অংশকে ট্রিমিং করতে চাইলে এখানে সংযুক্ত রয়েছে ক্যামেরাÑসাইড ট্রিমিং অপশন। এএফ ফ্রেমে ফেস ডিটেকশানের মাধ্যমে নির্দিষ্ট অংশ সিলেক্ট করা হয়ে গেলে। কোন কোন ক্ষেত্রে মাল্টিপল ইমেজ ডিটেকশান ও করা হয়ে থাকে। ট্রিমিং-এর এই ফ্রেম এক ফেস থেকে আরেক ফেসে সুইচ করাতে প্রিন্ট/শেয়ার অপশন ব্যবহার করা যেতে পারে। ঠিক ট্যাব বাটনের মত। তাছাড়া আরেকটি মজার বিষয় হল অন্য কামেরায় তোলা ছবিতে এই ফেস ডিটেকশান টেকনোলজির মাধ্যমে আরো সুন্দর ফিনিশিং টাচ দেয়া সম্ভব।

প্রথ/ সাদ্দাম